দৈনন্দিন জীবনে হেডফোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ।হেডফোন হলো ১ জোড়া ট্রান্সডুসার। যেটি মিডিয়া প্লেয়ার থেকে নির্গত হওয়া বৈদ্যুতিক তরঙ্গ রূপান্তরিত করে, মানুষের কানের শ্রবণযোগ্য শব্দ সৃষ্টি করে।
হেডফোন মানুষ সাধারণত গান শোনার জন্য এবং মোবাইলের কথা শোনার জন্য ব্যবহার করে। হেডফোনে থাকা দুই ট্রান্সডুসারকে, দুটি কানে লাগানো হয়।
হেডফোন কয় প্রকার ও কি কি?
সাধারণত হেডফোন দুই প্রকারের হয়ে থাকে। কিছু হেডফোন আছে, যেগুলি তারের মাধ্যমে কোন ডিভাইসে যুক্ত করা হয়। আর কিছু হেডফোন আছে যেগুলি ব্লুটুথের মাধ্যমে, তারবিহীনভাবে কানেক্ট করা হয়।
হেডফোন কোন ধরনের ডিভাইস?
যেহেতু হেড ফোনের মাধ্যমে সাউন্ড বা শব্দ নির্গত হয়। তাই এটি হলো এক ধরনের আউটপুট ডিভাইস।
আমরা জানি যে কম্পিউটার থেকে কোন কিছু আউটপুট ইউজারকে পরিবেশন করা হলে, সেটিকে আউটপুট ডিভাইস বলা হয়। এখানে যেহেতু আমরা শব্দ শুনতে পাচ্ছি, তাই হেডফোন ও একটি আউটপুট ডিভাইস এর উদাহরণ। হেডফোন ব্যাবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে।এতে কানের ক্ষতি হতে পারে।তাই এ ব্যাপার এ সর্তক হওয়া প্রয়োজন।
হেডফোন ব্যাবহার এ স্বাস্থ্য ঝুঁকি :
কানের যন্ত্রণা
আপনি যখন হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করছেন বা দীর্ঘ সময় ধরে গান শুনছেন, কেবল তখনই আপনার কানের ভিতরে একটি অদ্ভুত শব্দটি অনুরণিত হয় এবং কানে ব্যথা হয়। ৯০ ডেসিবেল বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে লাগলে এই সমস্যা হতে পারে।
মনের উপর খারাপ প্রভাব
আপনি হয়ত জানেন না, Headphone এবং Earphone ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ উৎপন্ন করে। অতএব, আপনি যদি এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার করেন তবে এটি মস্তিষ্কে খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে। তাই ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করার সময় আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।
কানের যন্ত্রণা
আপনি যখন হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করছেন বা দীর্ঘ সময় ধরে গান শুনছেন, কেবল তখনই আপনার কানের ভিতরে একটি অদ্ভুত শব্দটি অনুরণিত হয় এবং কানে ব্যথা হয়। ৯০ ডেসিবেল বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে লাগলে এই সমস্যা হতে পারে।
মনের উপর খারাপ প্রভাব
আপনি হয়ত জানেন না, Headphone এবং Earphone ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ উৎপন্ন করে। অতএব, আপনি যদি এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার করেন তবে এটি মস্তিষ্কে খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে। তাই ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করার সময় আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।
হেডফোন থেকে যে ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ সৃষ্টি হয় সেটি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই কারণে ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই হেড ফোন কেনার আগে সতর্ক হন। সুস্থ থাকতে বুঝে হেডফোন ব্যবহার করুন।
কানের সংক্রমণ
কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ অন্যদের সঙ্গে তাদের হেডফোন শেয়ার করে। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে ব্যাকটিরিয়া এবং জীবাণু ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে ইয়ারফোন স্পঞ্জের মধ্য দিয়ে চলে যায়, যা কানে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
তাই কোনও বন্ধু যদি আপনার ইয়ারফোন বা হেডফোন স্পঞ্জ সহ ব্যবহার করে থাকে তবে আপনার অবশ্যই দুবার চিন্তা করা উচিত। এছাড়াও, সংক্রমণ এড়াতে এগুলি পরিষ্কার রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হাই ভলিউমে কখনই হেডফোন ব্যবহার করবেন না।
৯০ ডেসিবেল বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে লেগে হতে পারে কানের সমস্যা। এমনকি আপনি হারিয়ে ফেলতে পারেন শ্রবণ শক্তিও।
হেডফোনের ভলিউম কতটা হওয়া উচিত?
স্বাভাবিক কাজের জন্য সাধারণত ১০২ ডেসিবলে এককের কাছাকাছি থাকা উচিত। তবে কমপক্ষে ৯০dB/mW থেকে ১১৫dB/mW রেঞ্জ ফ্রিকোয়েন্সি উৎপাদনে সক্ষম, এমন হেডফোন কেনা উচিত। এক্ষেত্রে আপনার ইচ্ছানুসারে নিতে পারেন।
সাধারণত ৯ থেকে ১৬ মিলিমিটার ব্যাসের ড্রাইভার বিশিষ্ট হেডফোন নেয়া উচিত। মোটামুটি ভালো ভাবেই উপভোগ করতে পারবেন।হেডফোনের ভলিউম রেঞ্জ বিবেচনার ক্ষেত্রে সাধারণ মাপকাঠি হলো ৩০ ওহম।
ভলিউম রেঞ্জ সর্বনিম্ন ১০ হার্জ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার হার্জ এর মধ্যে থাকা সবচেয়ে ভাল। এর বেশিও নিতে পারেন।
ইম্পিডেন্স ভ্যালু কম হলে বেশি জোরে আওয়াজ শোনা যাবে সেই হেডফোনে। যদিও মাথায় রাখা প্রয়োজন হাই ইম্পিডেন্স হেডফোনের নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। এই হেডফোনে জোরে আওয়াজ দিলেও আওয়াজ ফেটে যাওয়ার সুযোগ কম।
প্রফেশানাল অডিও মিক্সিং এর জন্য হাই ইম্পিডেন্স হেডফোন বেশি ভালো।
আমাদের উচিত কিছুটা বেশি টাকা খরচ হলেও উন্নত মানের হেডফোন কেনা এবং নিজের কানের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। অন্যথায় ভবিষ্যৎে হতে পারে বড় সমস্যা ?
You must be logged in to post a comment.