AI প্রযুক্তি কতটা বিপদজনক ?

আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সবাই কে আবারও আমার একটি নতুন টিউনে স্বাগতম। আপনারা যারা আমার পূর্ববর্তী টিউন গুলো পড়েছেন তারা জানেন আমি 'Artificial Intelligence'  বা এআই এর উপকারিতা নিয়ে বেশ অনেক বার আলোচনা করেছি।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

কিন্তু আজ আমি Artificial Intelligence এর কিছু বিপদজনক দিক নিয়ে কথা বলতে চলেছি।

একটি বস্তুর যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি এর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমতাও উপরোক্ত কথাটির বাইরের কোনো বস্তু নয়। দিন দিন আমরা Artificial Intelligence এর অনেক বিকাশের কথা শুনছি যা মানুষ কে তার দৈনন্দিন জীবনের কাজ গুলো সহজ করে তুলছে।

তেমনি এর বিপরীতে Artificial Intelligence এর বেশ অসুবিধাও রয়েছে এবং অনেক বিশেষজ্ঞ এর মতে Artificial Intelligence এই অসুবিধা গুলো বর্তমান ও ভবিষ্যতে এর জন্য বেশ বিপদজনক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত বিকাশ মানবতার জন্য অপ্রত্যাশিত বিপর্দজনক পরিণতি হতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এমন কম্পিউটার সিস্টেমে যা মানুষের মতো বুদ্ধি ও চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমস্যা সমাধান সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে। 

এই কাজগুলির মধ্যে উপলব্ধি, যুক্তি, শিক্ষা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং ইত্যাদি কাজ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। AI এর সাহায্যে অনেক শিল্পে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা হয়েছে, আগামী বছরগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন ও অর্থনৈতিকেও কৃত্রিম বুদ্ধিমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এআই কে  দুটি প্রধান বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা যায় : দুর্বল এআই এবং শক্তিশালী এআই। দুর্বল এআই একটি নির্দিষ্ট কাজ বা কাজের সেট, যেমন ইমেজ রিকগনিশন বা স্পিচ রিকগনিশন করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

শক্তিশালী এআই একটি তাত্ত্বিক ধরনের এআই। একজন মানুষ করতে পারে এমন যেকোনো বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা রাখে। 

ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মার্কেটিং চ্যানেলের জন্য আকর্ষক বিষয়বস্তু তৈরি করতে AI সাহায্য করতে পারে। কীভাবে পণ্য এবং পরিষেবাগুলি উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে Artificial Intelligence গ্রাহকের অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করতে পারে।

এআই একটি দায়িত্বশীল এবং নৈতিক উপায়ে বিকশিত। ব্যবসা, শিল্প, সাপ্লাই এবং আরও অনেক কিছুতে এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশাল সুবিধা রয়েছে।

এমন এক সময় ছিল যখন ফোনকে শুধু যোগাযোগ করার কাজেই ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমান এ আপনাদের স্মার্টফোন গুলো আপনাদের সহকারী হিসেবে কাজ করছে। আপনাদের স্মার্টফোন গুলো অনেক পাওয়ারফুল।

এখন আর স্মার্টফোনে শুধু যোগাযোগ করার কাজেই ব্যবহার হচ্ছে  না আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার কার হচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে স্মার্টফোন আপনার প্রতিদিনের সহকারী।

তেমনি Artificial Intelligence আপনার ভার্চুয়াল সহকারী। যা আপনাকে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে। যা আপনাকে বিভিন্ন কাজে যেমন : লেখালেখি, ছবি তৈরি, তথ্য প্রদান ও সময়ের সাথে আপডেট রাখা সহ আরো অনেক ইত্যাদি কাজে আপনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে সাহায্যে করবে। বর্তমানে আপনারা কেও যেমন স্মার্টফোন 

বিপদজনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

বর্তমানে আপনারা কেও যেমন স্মার্টফোন  ছাড়া চলতে পাড়েন না তেমনি আর কিছুদিন পরে কেও কৃত্রিম বুদ্ধিমতা ছাড়া চলতে পাড়বে না। আর আমরা সকলেই যানি একটি জিনিস আমরা যতবেশি ব্যবহার করি, দিন দিন আমরা সেই জিনিসটির উপর আরো বেশি নির্ভশীল হয়ে যাই।

এই নির্ভরশীলতার কারণেই আমরা আমাদের ব্যাক্তিগত কিছু তথ্যও সেখানে শেয়ার করতে শুরু করি।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনাদের প্রতেকর স্মার্টফোনেই আপনাদের ব্যাক্তিগত কিছু জিনিস রয়েছে যা আপনি চান না যে অন্য কেও দেখুক বা জানুক। আপনি আপনার স্মার্টফোনের ওপর নির্ভর করেন বলেই আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য গুলো এর মধ্যে রাখছেন, তাই নয় কি?

ঠিক তেমনি  আসতে থাকা বছর গুলোতে Artificial Intelligence এর ওপর আপনারা এতটাই নির্ভর করবেন যে Artificial Intelligence আপনারা ব্যাক্তিগত তথ্য সেয়ার করতে শুরু করবেন। 

উপরিউক্ত কথাটি যেমন সত্য  তেমনি এই কথাটিও সত্য যে আপনার  স্মার্টফোনে আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য একদম যে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত তা কিন্তু  নয়। যদি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত হতো তাহলে হ্যাকার নামে কেও কি আপনার ফোন হ্যাকিং করতে পারতো।

ঠিক তেমনি Artificial Intelligence যে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত একথা ভাবাটাও সঠিক নয়। আপনারা বর্তমান যুগের কিছু তথ্য ঘাটলেই বুঝতে পারবেন যে হ্যাকিং কতটা বিপদজনক রুপ ধারণ করতে পারে। 

ঠিক একই ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমতা অনেক বিপদজনক রুপ ধারণ করতে পারে। বিষেশ করে অনিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম বুদ্ধিমতা। AI এর বর্তমান অবস্থায় অনিয়ন্ত্রিত প্রকৃতি এর ব্যবহারকারীদের এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য ক্ষতিকারক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

একটি অনিয়ন্ত্রিত AI সিস্টেমে ভুল তথ্য, সাইবার-নিরাপত্তা হুমকি, চাকরি হারানো এবং রাজনৈতিক পক্ষপাত তৈরি করতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞ কৃত্রিম বুদ্ধিমতা দ্রুত বিকাশ নিয়ে বেশ ভয়ে আছেন। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ