আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন স্মার্টফোনের মূল অঙ্গ হচ্ছে প্রসেসর। ... প্রসেসর স্মার্টফোনের বডির সাথে লাগানো থাকে, ফলে তাপ অনুভব হয়। ফোন গরম হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে দুর্বল নেটওয়ার্ক।
আপনার ফোনে যদি নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকে তখন সিগন্যাল যায় আর আসে।
যে কারণে স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে যায় সেগুলো হলোঃ
• দুর্বল নেটওয়ার্ক সিগন্যাল
• প্রসেসর অতিরিক্ত প্রেসার
• অত্যাধিক লোড
• ব্যাটারি
• অত্যাধিক লোড
• পরিবেষ্টিত তাপমাত্রা
• অতিরিক্ত অ্যাপস
• অটোআপডেট অ্যাপস
দুর্বল নেটওয়ার্ক সিগন্যালঃ
ফোন গরম হওয়ার আরেকটি অন্যতম করণ হচ্ছে দুর্বল নেটওয়ার্ক।মনে করুন আপনি এমন একটা এলাকায় অবস্থান করছেন ঐ এলাকায় নেটওয়ার্ক সিগন্যাল খুবই দুর্বল, অথবা আপনার ওয়াইফাই ব্যবহারে সিগন্যালের জন্য অনেক বেগ পেতে হয়।
এই অবস্থায় আপনার স্মার্টফোনে বেশি চার্জ খরচ হয়। দুর্বল নেটওয়ার্ক সিগনাল পাওয়ার জন্য আপনার ফোনটি অ্যান্টেনাতে বেশি পাওয়ার প্রয়োগ করে হয়, যাতে ফোনটি ভালো সিগনাল ধরতে রাখতে পারে।
এতে স্মার্টফোনটির প্রসেসরে অনেক বেশি প্রেশার পড়ে । এবং এজন্যই স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে যায়।
প্রসেসরঃ
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন স্মার্ট ফোনের মূল অঙ্গ হচ্ছে প্রসেসর। স্মার্টফোন গরম হওয়ার জন্য প্রথম যে দায়ী তা হলো প্রসেসর। প্রসেসর আপনার ফোন এর প্রতিটি কাজ করে থাকে। আপনি ফোন ব্যবহার করেন আর নাই বা করেন প্রসেসর কিন্তু সবসময় চলতে থাকে এবং সে তার কাজ প্রতিনিয়ত করতে থাকে।
আর এই প্রসেসর নির্মাণ করা হয় অর্ধপরিবাহী পদার্থ দিয়ে। এবং এর ভেতর অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রন থাকে। যখন প্রসেসর তার কাজ করে তখন এই ইলেকট্রন গুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে। এবং এই দৌড়াদৌড়ি করার সময় ইলেকট্রন গুলো নিজেদের ভেতর সংঘর্ষ ঘটায় এবং তাপ উৎপাদন করে।
অর্থাৎ আপনার প্রসেসর যত বেশি কাজ করে তাপ ও ততো বেশি উৎপাদন হয়। আপনি যদি কম কাজ করেন, যেমন ধরুন শুধু ফোন এ কথা বলছেন, কিংবা মিউজিক শুনছেন তবে আপনার ফোনটি কম গরম হবে।
কিন্তু মনে করেন আপনি গেম খেলছেন এবং একসাথে ইন্টারনেট থেকে কোনো ফাইল ও ডাউনলোড করছেন, তবে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ফোন এর প্রসেসর কে বেশি কাজ করতে হবে এবং যার ফলে অনেক বেশি গরম হয় ফোন।
অত্যাধিক লোডঃ
স্মার্টফোন গরম হওয়ার আরেকটি কারন হচ্ছে মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে সেই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস গুলো। আবার প্রায়ই সময় দেখা যায় অতিরিক্ত ব্রাইটনেস এর কারনে এমন টা হয়।মোবাইলে ওয়াইফাই, হটস্পট চালু থাকার কারণে মোবাইল গরম হয়ে যায়।
স্বাভাবিক কাজ যেমন ফোন এ কথা বলা, এসএমএস সেন্ড করা বা গান শোনার মত ছোট কাজ এ কম গরম হবে আপনার ফোনটি। কিন্তু আপনি যখন অনেক গুলো কাজ এক সাথে করবেন বা কোনো বড় কাজ করবেন তখন আপনার ফোনটি অত্যাধিক লোড এর সম্মক্ষিন হবে এবং স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হবে।
ব্যাটারিঃ
সারারাত চার্জ দেয়ার ফলে দীর্ঘমেয়াদেব্যাটারির সক্ষমতার ওপর প্রভাব পড়ে এবং ফোন গরম হয়। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে ফোনে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটতে পারে। স্মার্টফোন গুলো দিনদিন চিকন হয়েই চলছে। কিন্তু ব্যাটারি প্রযুক্তিতে তেমন একটা বিশেষ উন্নতি আনা হচ্ছে না। তারপর ফোনটি অনেক চিকন হওয়ার কারনে যন্ত্রপাতি গুলোর একে অপরের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব থাকে না।
ব্যাটারি চার্জ বা ডিসচার্জ হওয়ার সময় কম বেশি গরম হয়েই থাকে। আর যন্ত্রপাতি গুলোর একে অপরের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব না থাকার ফলে এই ব্যাটারির গরম সব দিকে ছড়িয়ে পরে এবং আপনার স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে পরে।
পরিবেষ্টিত তাপমাত্রাঃ
স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম, হওয়ার আরেকটি বড় কারন হচ্ছে পরিবেষ্টিত তাপমাত্রা। সাধারণত গ্রীষ্মকালে ভারতের তাপমাত্রা প্রায় ৩৫-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে যায়। এই পরিবেশে আপনি ঘরে বসে থাকলেও আপনার আসেপাশের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মতো থাকে ।
আর এই তাপমাত্রার ভিতরে যদি আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তবে এটি আরো দ্রুত গরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অতিরিক্ত অ্যাপসঃ
আপনার ফোনে যত বেশি এপস বা গেইমস ইনস্টল করা থাকবে, ততই ব্যাটারির চার্জ শেষ হবে এবং তার একইসাথে নটিফিকেশন, রানিং এপ এর ব্যবহার এর ওপরেও প্রভাব ফেলবে। অতিরিক্ত অ্যাপস এর ফলে প্রসেসর এ বেশ প্রেশার পড়ে তাই আপনার ফোন অতিরিক্ত পরিমানে গরম হয়ে যায়।
অটো আপডেট অ্যাপসঃ
অটো আপডেট এপস। অনেক সময় দেখা যায় ইন্টারনেট কানেকশন দিতেই মোবাইলের ফোনের অ্যাপস গুলো অটোমেটিক অাপডেট হতে শুরু করে। এতে অাপনার ফোন হ্যাং বা স্লো হয়ে যায়। ফলে প্রসেসর বা জিপিইউ তে প্রচুর পরিমানে প্রেশার পড়ে। এর ফলে ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়।
You must be logged in to post a comment.