টাকা তৈরি হয় কোথায়? টাকা তৈরির কারখানা কোথায়? টাকা তৈরীর মেশিন।

টাকা কোথায় তৈরি হয়? 

টাকা তৈরির মেশিন কোথায় আছে? আজকে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করব টাকা তৈরি হয় কোথায়? টাকা তৈরির মেশিন রয়েছে কোথায়? 

বাংলাদেশের টাকা কোথায় তৈরি হয়। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে বাংলাদেশের টাকা কোথায় তৈরি হয়?  টাকা তৈরি করতে কী কী জিনিস লাগতে পারে? 


আমরা আমাদের জীবন চালাতে অনেক সময় টাকার পেছনে ছুটে যাচ্ছি । কোথায় গেলে টাকা পাওয়া যাবে সেখানেই আমরা চলে যাচ্ছি।

টাকার লোভ ভাই মানুষ বিভিন্ন অনৈতিক কাজকর্ম করে থাকে। কিন্তু আমরা কি একবারও চিন্তা করেছি এ টাকা কোথা থেকে আসে,  টাকা তৈরি হয় কোথায়,কিভাবে আমরা টাকা পাই?

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে কোন কোন জায়গায় বাংলাদেশের টাকা তৈরি হয়? তাদের এই প্রশ্নের সমাধান দিতে আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব  কোথায় এবং কিভাবে টাকা তৈরি হয়।

টাকা কোথায় তৈরি হয়?

বাংলাদেশের টাকা যেখানে তৈরি হয় তা টাঁকশাল নামেই পরিচিত।সেখানে টাকা তৈরি হয় সে প্রতিষ্ঠানটার নাম হলো তার সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ। 

ইংরেজিতে এরকম লেখা থাকবে ( The security printing Corporation(BD) Ltd.  এখানে জায়গার পরিমাণ হলো ৬৬ একর।

এ প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।  সারা বিশ্বে মোট ১৯৫ টি দেশ রয়েছে। কিন্তু টাকা ছাপানোর জন্য ৬৫টি কারখানা রয়েছে। 

টাকা ছাপানোর ধাপগুলো অত্যন্ত গোপনীয়।  টাকা ছাপানোর জন্য সর্বমোট বারোটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়।

টাকা জরির কারখানা গুলোতে যারা কাজ করেন, তারা সেখানে মোবাইল ফোন বা কোনো ধরনের ডিভাইস নওয়ে যেতে পারবেন না।

এক কথায় সেখানে কোন প্রকার মোবাইল ফোন বা ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।

আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ১০০০ টাকা বানাতে কত টাকা খরচ হয়ঃ


এক হাজার টাকা তৈরি করতে বাংলাদেশ সরকারের খরচ হয় ৮ টাকা।

আর ৫০০ টাকা তৈরি করতে বাংলাদেশের সরকারের খরচ হয় ৬ টাকা। টাকা টাকা ছাপানোর পর সেটা আবার দুইভাবে গোনা হয়। 

হাতের মাধ্যমে টাকাগোনা হয়। এক্ষেত্রে অনেকসময় লাগতে পারে এটা স্বাভাবিক বিষয়।


মেশিনের মাধ্যমে টাকা গোনা হয়।  মেশিনেরমাধ্যমে টাকা গোনা অনেকটা সহজ৷  মেশিনের ভিতরে টাকা ডোকানোর সেখুনো অটোমেটিক গোনা হয়।  এক্ষেত্রে কোনো ভূল থাকবে না৷ 

তাই টাকা গুনতে কোন প্রকার ভূল হওয়ার সম্ভাবনাই নেই।

টাকা তৈরির কারখানাটি দেখতে এরকমঃ

এখানেই বাংলাদেশের টাকা তৈরি করা হয়। এখানে অনেক ধরনের সিকিউরিটি রয়েছে। 



এ কারখানাটি রয়েছে গাজীপুরের টাঁকশালে। এখানে অনেক অনেক কর্মকর্তারা কাজ করেন। তারা ঐখানে কোনো ডিভাইস বা মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে পারবে না।

কোনো প্রকার ডিভাইস এখানে Alow করা হয় না৷

ভালোমানের টাকার কাগজে আঠা ও সিকিউরিটি থ্রেড বসিয়ে দিয়ে ভাঁজ করা হয় এর।

সব দেশের প্রায় সব ব্যাংক নোট তৈরি করা হয় তুলার তৈরি কাগজ থেকে। যার ওজন হব প্রতি বর্গমিটার ৮০-৯০ গ্রাম। তুলার সেই কাগজের মধ্যেই লিনেন যোগ করা হয়।

এই কাগজগুলো প্রায় ২ বছর পর্যন্ত স্থায়ীত্ব পায়। হে কাগজ অনেক টেকসই হয় কারণ সিলেটিন বা পলিভিনাল অ্যালকোহল  যোগ করা হয়। 
Click here: https://www.facebook.com/profile.php?id=100087366003509&mibextid=ZbWKwL

আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনারা পড়েছেন। আমি সর্বদা সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি ৷ আমার পোস্টের লেখাতে যদি কোনোপ্রকার ভূল পেয়ে থাকলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করবেন। 

আপনারা আমার লেখা পোস্টটি  Facebook,  messanger,  বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইত্যাদি ছড়িয়ে দিতে পারেন, এতে অনেকেরই উপকার হতে পারে।

নামাজ বাদ দিয়ো না বন্ধু ।  নামাজ পড়ো বন্ধু , এপারের থেকে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর♥️ সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এ কামনায় করি।..….🥀আল্লাহ হাফেজ🥀

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles