আপনারা কি জানেন বিজ্ঞানীদের যে বিশেষ বিশেষ অবদান তা কোন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আশা ? বিজ্ঞান মানে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে বিভিন্ন রকম। কেউ মনে করে নতুন কিছুর আবিষ্কারি হলো বিজ্ঞান আবার কেউ মনে করে কোন কিছুর সম্পর্কে জ্ঞানই হলো বিজ্ঞান।
১. বিজ্ঞান কিঃ- আমরা যদি একটা স্ট্যান্ডার্ড সংঙ্গাকে নির্বাচিত করতে যায় তাহলে আমরা বলতে পারি বিশ্বের যা কিছু প্রর্যবেক্ষনযোগ্য, পরিক্ষাযোগ্য, যাচাইযোগ্য তার গবেষণা ও গবেষণালব্ধ ফলকেই বলে বিজ্ঞান।
২. বিজ্ঞান বলতে কি বোঝায়ঃ- বিজ্ঞান বলতে তোমরা বোঝ নিউটনের সূএ। তোমরাকি জানার চেষ্টা করেছ এই বিজ্ঞানের সূএ গুলো কিভাবে তৈরী হয়েছে?বিজ্ঞান তার প্রথম স্টেপ শুরু করে অবজারভেশন বা প্রর্যবেক্ষনের মধ্যে দিয়ে।
৩. অবজারভেশন বা প্রর্যবেক্ষন বিজ্ঞানের প্রথম ধাপঃ- তুমি তোমার আশেপাশে ঘটে যাওয়া যে কোন ঘটনাকেই এই প্রর্যবেক্ষনের আওতায় আনতে পারো।ধরো তুমি লক্ষ্য করে দেখলে একদিন সন্ধা বেলায় তোমার মাথার উপর এক ঝাঁক মশা ঘুরাঘুরি করছে এটা তোমরা সবাই দেখেছ তাই না?এইযে তুমি দেখলে এটাকেই বলে অবজারভেশন বা প্রর্যবেক্ষন।এটাই হচ্ছে বিজ্ঞানের প্রথম ধাপ।
৪. হাইপোথিসিস বিজ্ঞানের দ্বিতীয় ধাপঃ- বিজ্ঞানের দ্বিতীয় ধাপ হলো হাইপোথিসিস।হাইপোথিসিস আবার কি জিনিস?হাইপোথিসিস এর যদি বাংলা বলতে যায় তাহলে খুব কষ্টের একটি বাংলা হয়ে দাঁড়াবে। হাইপোথিসিস হচ্ছে একটা এডুকেট্টে গেস্ট করা অর্থ্যাত তুমি কিছু একটা ধারণা করবে এই ধর তোমার মাথার উপর সন্ধাবেলা এক ঝাঁক মশা উরে সেটা ব্যাখা করতে গিয়ে তুমি কতগুলো হাইপোথিসিস দিতে পারো।তুমি যেকোনো কথাকে হাইপোথিসিস বলে চালিয়ে দিতে পারো।তবে হাইপোথিসিস এর উপর ভরসা করা যাবেনা।
যেমনঃ তুমি বলতে পারো আমার মাথার উপর মশা ঘুরে
ধারণা একঃ আমাদের চুল কালো মশা কোনভাবে কালো রঙের প্রতি আসক্ত।তাহলে এটাকে আমরা ধরি আমাদের হাইপোথিসিস নাম্বার এক।যে মশা আমাদের চুলের প্রতি বা কালো কালারের প্রতি আসক্ত।
ধরণা দুইঃ আমরা চুলে সাম্পু দিয়েছি সুগন্ধে মশা আমাদের মাথার উপর ঘুরতেছে।এরকম তুমি যতো গুলো চাও গেষ্ট করতে পারো এই গেষ্টের প্রত্যকটাকে বলবো হাইপোথিসিস।
তাহলে হাইপোথিসিস হচ্ছে তোমার পর্যবেক্ষণকে ব্যাখ্যা করার জন্য তুমি যাই গেষ্ট বা অনুমান করো তাই হলো হাইপোথিসিস।
৫.এক্সপেরিমেন্ট বিজ্ঞানের ত্বিতীয় ধাপঃ- বিজ্ঞানের তিন নাম্বার ধাপ হচ্ছে খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ যেটাকে আমরা বলে থাকি এক্সপেরিমেন্ট।তুমি অসংখ্য হাইপোথিসিস তৈরী করতে পারো কিন্তু সেগুলোকে পরিক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখাতে হবে অর্থ্যাত যে পরিক্ষাটা তুমি করবে সেটাকেই বলে এক্সপেরিমেন্ট।
আমাদের প্রথম ধরণা ছিল মশা আমাদের মাথার উপর কালো চুল দেখে ঘুরছে এখন সেটাকে আমাদের পরিক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।
পরিক্ষাঃ খোলা মাঠে তুমি তোমার চারজন বন্ধু নিয়ে যাও তারপর দুজনের মাথায় সাদা কাপড় দিয়ে বেধে দাও আর দুজনের মাথায় কালো চুল থাকবে তুমি খেয়াল করে দেখবে মশা কাদের মাথার উপর ঘুরছে।অর্থ্যাত আমরা এভাবেই হাইপোথিসিস কে এক্সপেরিমেন্টে প্রমাণ করতে পারি।
এভাবে যতক্ষণনা পর্যন্ত হাইপোথিসিস কে প্রমাণ করতে না পারো এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু কখনো কখনো যদি সৌভাগ্যক্রমে এক্সপেরিমেন্টটা হাইপোথিসিস কে সঠিক প্রমাণ করতে পারে তাহলে অভিনন্দন তোমার হাইপোথিসিস আর হাইপোথিসিস না একটা থিয়রীর দিকে এগিয়ে গেল।
৬. থিয়রীঃ- যখন মানুষ এই হাইপোথিসিসটাকে এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে প্রমাণ করে সেটাকে আমরা বলি থিয়রী।
সুতরাং আমরা দেখলাম বিজ্ঞানের হাইপোথিসিস আছে সেটাকে আমরা এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে প্রমাণ করে বের করলাম থিয়রী আর থিয়রী গুলো যদি সকল জাইগায় সবার কাছে সঠিক প্রমাণিত হয় তাহলে সেটাকে আমরা বলে থাকি লও।অর্থ্যাত এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বিজ্ঞান কাজ করে আজকে বিজ্ঞানীদের যে অসংখ্য বিশেষ অবদান গুলো তোমরা আমাদের চারপাশে দেখতে পাচ্ছো তার সবি কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আশা।
You must be logged in to post a comment.