ইন্টারনেট কি বা ইন্টারনেট সম্পর্কে অজানা সব তথ্য

ইন্টারনেট কি বা ইন্টারনেট কাকে বলে ? ইন্টারনেট কি বা ইন্টারনেট কাকে বলে? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

দুই বা তার অধিক কম্পিউটারকে যোগাযোগের কোন মাধ্যম দ্বারা এক সঙ্গে জুড়ে দেয়া হলে যদি তারা নিজেদের মধ্যে তথ্য- উপাত্ত আদান ও প্রদান করতে পারে তবে, সেটাকে আমরা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (Computer Network) বলতে পারি। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এ আসলে দুই বা তিনটি কম্পিউটার থাকে না। এই নেটওয়ার্কের সাথে অনেক কম্পিউটার থাকে। আসুন ইন্টারনেট কি বা ইন্টারনেট কাকে বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।

বর্তমানে এমন একটি পরিস্থিতি হয়ে গেছে যে, কোন ব্যক্তি একটি কম্পিউটার কিনলে যতক্ষণ সেই কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করা না হয় ততক্ষণ মনে হয় কম্পিউটারের আসল কাজ-ই বুঝি হলো না। এর কারণ হলো কম্পিউটারের নেটওয়ার্কে যখন কোন তথ্য (Data) দেওয়া হয তখন একটা অনেক বড় কাজ হয়। একজন কম্পিউটার ব্যবহার কারী তখন নেটওয়ার্কের অনেক কিছু ব্যবহার করতে পারে। যে সোর্স তার কাছে নাই সেটাও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে।

নেটওয়ার্কের যন্ত্রপাতি সম্পর্কের ধারণাঃ  

নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে গেলে অবশ্যই কিছু যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। যেগুলি মাধ্যমে আমরা  এই নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। তাই আসুন নেটওয়ার্কের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সম্পর্কে আমরা জেনে নেই।

সার্ভার (Server) এতক্ষণ হয়তো বুঝতে পারছেন, সার্ভার নাম শুনলেই বোঝা যায় এটা সার্ভ (Serve) করে। নেটওয়্যার্ক সার্ভ করার জন্য বা নেটওয়্যার সেবা দেওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী কম্পিউটার দরকার হয় যেটি নেটওয়্যার্ক সেবা দিয়ে থাকে। একটি নেওয়্যার্কে শুধু একটি নয় বহু গুলি সার্ভার (Server) যুক্ত থাকে।

ক্লায়েন্ট (Client) কোন ব্যক্তি যদি কারো কাছ থেকে কোন প্রকার সেবা নিয়ে থাকে তখন তাকে ক্লায়েন্ট (Client) বলা হয়। আর কম্পিউটার নেটওয়্যার্কের ক্ষেত্রেও মোটামুটি সে ধরণের-ই বোঝায়। যেসব কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভার থেকে কোন প্রকার তথ্যাদি নেয় তখন তাকে ক্লায়েন্ট (Client) বলে।

যদি তুমি কোন কম্পিউটারে কোন ই-মেইল (E-mail) পাঠাতে চাইলে আপনাকে তাহলে আপনি ক্লায়েন্ট হবেন। নেওয়্যার্কের মাধ্যেমে তথ্যাদি পাঠাতে চাইলে যে কম্পিউটার এই কাজটি করে দিবে তাকে নেটওয়ার্ক সার্ভার বলে।

যেসব বস্তুসমূহ (Elements) ব্যবহার করে কম্পিউটার গুলি জুড়িয়ে দেওয়া হয় তাকে মিডিয়া বলা হয়ে থাকে। বিদ্যুতের ক্যাবল (Electrical Cable), কো-এক্সিয়াল ক্যাবল (Coaxial Cable) , অপটিক্যাল ফাইবার (Optical Fiber) ইত্যাদিকে মিডিয়া বলা যায়। কোন মিডিয়া ছাড়াও তার ছাড়াও আবার এই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যায়। যেমন- ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) দিয়ে বিনা তারে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ইউজার (User): এবার আমরা জানবো নেওয়ার্ক ইউজার সম্পর্কে। নেওয়ার্ক সার্ভার থেকে যেসব ক্লায়েন্ট নেওয়ার্ক ইউজ (Use) বা ব্যবহার করে থাকে তাকে ইউজার (User) বলা হয়ে থাকে।

নেটওয়ার্ক এডাপ্টার (Network Adapter):

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সরাসরি একটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া যায় না। সে কাজটি করার জন্য অবশ্যই একটি নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড (NIC= Network Interface Card) লাগানোর প্রয়োজন হয়। সেটিকে নেটওয়ার্ক এডাপ্টার (Network Adapter) বলে। এই NIC Card গুলি কম্পিউটার থেকে নেওয়ার্ক নিয়ে অন্য কম্পিউটারে দিতে পারে আবার অন্য কম্পিউটার থেকে তথ্যাদি নিয়ে আসতে পারে।

রিসোর্স (Resource): ক্লায়েন্ট বা গ্রাহক এর কাছে ব্যবহার করার জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে সেই সুযোগ-সুবিধা গুলিকে রিসোর্স (Resource) বলা হয়ে থাকে। যদি কম্পিউটারের সাথে ১টি প্রিন্টার Printer) বা ১টি ফ্যাক্স (Fax) লাগানো হয়ে থাকে তবে সেটি হচ্ছে রিসোর্স (Resource).

কোন ব্যক্তি যদি কম্পিউটার ব্যবহার করে কোন ছবি বা চিত্র আঁকে যে কম্পিউটারটি নেটওয়ার্কে রয়েছে এই একটি ছবি আঁকার সফটওয়্যার হলো রিসোর্স। আবার যারা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা যে শুধু রিসোর্স গ্রহণ করে তা নয়। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি যদি অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেয় সেটাও একটি রিসোর্স।

প্রটোকল (Protocol): আলাদা আলাদা কম্পিউটারকে এক সাথে সংযুক্ত করতে চাইলে একটি কম্পিউটারের সাথে আরো অন্য কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। এ নিয়ম গুলি মেনে চলার মাধ্যমেই তথ্য আদান-প্রদান করা হয়।

জেনে রাখা ভাল, যারা নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায় তারা পূর্ব থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে যে, তারা কোন ভাষায়, কোন নিয়ম মেনে একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটার যুক্ত করবে। আর এই নিয়ম গুলিকেই প্রটোকল (Protocol) বলা হয়ে থাকে। যথা ইন্টারনেট ব্যবহার করার প্রটোকল হচ্ছে “হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল” (Hyper Text Transfer Protocol) বা সংক্ষেপে http বলা হয়ে থাকে।

উপসংহারঃ তাহলে বন্ধুরা আমরা জানলাম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যাদি। এভাবে আমরা বই পড়ে অথবা ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারি। আরো বিভিন্ন বিষয়ে জানতে হলে এই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন আর্টিকেল পড়া যেতে পারে। আশা করি, উপরোক্ত তথ্য গুলি মাধ্যমে নেটওয়ার বিষয়ে জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ সবাইকে আর্টিকেল পড়ার জন্য।

 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ