বিটকয়েন এর মূল প্রক্রিয়া হচ্ছে, এটি একটি ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা। যেটি দিয়ে গ্রাহক থেকে গ্রাহকের মধ্যে লেনদেন করতে পারবে। অনলাইনে ডলার, পাউন্ড, ইউরো পাশাপাশি কেনাকাটা করা যায় বিটকয়েনে। তবে, অন্যান্য মুদ্রাব্যবস্থা যেমন সে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে বিটকয়েন এর ক্ষেত্রে তা নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বিটকয়েন আলোচনায় আসার কারণ মুদ্রাস্ফীতি। বিটকয়েনের যারা বিনিয়োগ করেছিল হঠাৎ করে তাদের সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ।
কিন্তু বিটকয়েন কেন জনপ্রিয় হচ্ছে : নিজের পরিচয় প্রকাশ না করে এতে লেনদেন করা যায়, অন্যদিকে লেনদেনের ব্যয় খুব কম, তবে সবচেয়ে বড় কারণটা হলো বিটকয়েনে বিনিয়োগ করলে কয়েকগুণ লাভ হবে, এমন একটা ধারণা অনেকের মধ্যেই আছে।
অনেক দেশে এখনো বিটকয়েন মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও, দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিটকয়েন। ফলে, অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েন এর জন্য নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
সম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বলেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের সংস্থার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির কাজ হবে কিভাবে বাংলাদেশে দ্রুত ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলন করা যায় তা খতিয়ে দেখা।
বিটকয়েন নিয়ে কিছু তথ্য থাকছে এখানে:
বিটকয়েন সীমিত। প্রচলিত পদ্ধতিতে দুই কোটি দশ লাখ বিটকয়েন এর প্রচলন সম্ভব অর্থাৎ সরবরাহ সীমিত। আর সেজন্যই বিটকয়েনের সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়। খনি থেকে দেখার অনেক সময় এক পর্যায়ে যেমন সরবরাহ ও শেষ হয়ে যাবে, এরপর উত্তোলিত সোনার বেচাকিনা হতে পারে। তবে নতুন করে উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। আর বিটকয়েনের ধারণাও তাই।
অ্যালগরিদম সমাধানের মাধ্যমে বিটকয়েন উত্তোলন করতে হয়। যা, বিটকয়েন মাইনিং হিসেবে পরিচিত। বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি, একমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি না। বিটকয়েনের সাফল্যের পর এমন এক হাজারের বেশি ভার্চুয়াল মুদ্রা চালু করা হয়। তবে অন্যগুলো বিটকয়েনের মত সফলতা অর্জন করতে পারেনি।
বিটকয়েন দু'ভাগে বিভক্ত। বিটকয়েন এর পাশাপাশি বিটকয়েন ক্যাশ নামে একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা আবিষ্কার হয়। বিটকয়েন যেহেতু প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা তাই এর ব্যবহার মানুষ বেশি করছে।
You must be logged in to post a comment.