মোবাইলের নেশা কাটানোর উপায়?

আপনি কি মোবাইল অথবা কম্পিউটারের নেশায় আসক্ত? মোবাইলের নেশা ছাড়তে অনেক কষ্ট হচ্ছে?

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কি করলে আপনারা মোবাইলের নেশা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। 

একবার নেশা তৈরি হলে সে নেশা থেকে কাটিয়ে ওঠা আমাদের পক্ষে অনেক অসম্ভব হয়ে ওঠে।  কিন্তু আমরা যদি ভবিষ্যতে কোনো ভালো কাজ করতে চাই তাহলে অবশ্যই মোবাইলের নেশা থেকে দূরে থাকা উচিত। 

মোবাইলের নেশা আমাদের দিনে দিনে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে।  আমরা তা উপলব্ধি করতে পারছি না। 

মোবাইল ফোন আমাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর তাও আমরা সহজে উপলব্ধি করতে পারছি না। 

একসময় মোবাইল ফোন আমাদের জন্য যখন বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে তখন আমরা তা উপলব্ধি করতে পারব। 

সে বলতি বোঝার আগে আমরা চেষ্টা করব কিভাবে মোবাইলে নেশা থেকে অনেক দূরে থাকা যায়। কি করলে আমরা মোবাইলের নেশা সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারব। 

যেকোনো ধরনের নেশা ও আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেটা মোবাইলের নেশায় হোক আর অন্য কিছু নেশায় হোক না কেন। 

তার মধ্যে মোবাইলের নেশা আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মোবাইল অথবা কম্পিউটারের নেশা কাটিয়ে উঠতে হলে অবশ্যই আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। 

যেকোনো একটি কাজের অভ্যাস হলে সে অভ্যাস থেকে দূরে আসা আমাদের পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। 

যতই কঠিন হোক না কেন আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কোন উপায়টি অনুসরণ করলে আপনারা সহজে মোবাইল অথবা কম্পিউটার নেশা থেকে দূরে রাখতে পারবেন।

অনেকে আছেন আমাদের সমাজের অথবা আমাদের বাড়ির আশেপাশের লোকজন দেখবেন মোবাইলে অনেক আসক্ত হয়ে থাকেন।

মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত নেশা আমাদের মস্তিষ্ককে অনেক দুর্বল করে ফেলে। আপনারা হয়তো অনেকে দেখে থাকবেন অনেক মানুষ ও গেম খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েন। 

অতিরিক্ত গেম খেলায় আসক্ত হলে আমাদের মস্তিষ্ক অনেক সহজেই দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের উচিত মোবাইলের নেশা থেকে দূরে থাকা।

(১) মোবাইলের নেশা থেকে দূরে থাকার উপায়ঃ

আমরা অনেকে জানি মোবাইলের নেশা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর কারণ, কিন্তু আমরা সেটাই করে থাকি।  অনেক কাজ আমাদের জন্য ক্ষতিকর সেটা যেন আমরা সেই কাজগুলোই বেশি বেশি করে থাকি। আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।  অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ।  আপনি মোবাইলে গেম খেলবেন তাতেও কোন সমস্যা নেই।  কিন্তু যদি অতিরিক্ত গেম খেলেন তাহলে সেটা আপনার জন্য ক্ষতিকর হবে।

(২) আমরা মোবাইল ফোনে আসক্তি কিনা সেটা বুঝবো কিভাবেঃ

আপনি যদি মোবাইল ফোনে আসো তবে থাকেন, তাহলে আপনি নিজেই তা উপলব্ধি করতে পারবেন।  মোবাইলের নেশা হলে আপনি শুধু মোবাইল ছাড়া অন্য কিছু বুঝবেন না আর।

এক কথায় মোবাইলের নেশা এখানে আপনি অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করা হয়েছে।  ন্যাশনালে আপনি কারো কথা শুনবেন না,

যদি আপনাকে সাহায্য করতে বলে তাতেও আপনি কোন কান দেবেন না শুধু মোবাইল ব্যবহার করবেন,  তখন আপনি বুঝতে পারবেন আপনার মোবাইলে ব্যবহৃত নেশার হয়েছে।

এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিভাবে মোবাইলের নেশা সৃষ্টি হয়। 

মোবাইলের সাথে বের হওয়ার উপায় কি?  আমাদের মনে এরকম প্রশ্ন থাকতে পারে? 

(৩) মোবাইলের নেশা কাটিয়ে উঠার উপায়/মোবাইল থেকে দূরে থাকার উপায়ঃ

আপনি কি আগে বাড়ার মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে চান? 

নাকি শুধু অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে চান?

আপনার আপনাকে একেবারে মোবাইল ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে না। আপনি শুধু মোবাইলে নেশা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

কিভাবে তা সম্ভব তা নিয়ে আজকে আমার আর্টিকেলট। চলুন জেনে না করে জানা যাক কিভাবে মোবাইলের নেশা থেকে দূরে থাকা যায়। 

আপনি কি একজন স্কুলের ছাত্র/ ছাত্রী।  আপনি যদি একজন স্কুলের ছাত্র অথবা ছাত্রী তাহলে আপনার অবশ্যই উচিত মোবাইল কম ব্যবহার করা। 

আপনাদের স্কুল শিক্ষকরা যে পড়াতে থাকেন সেসব পড়া কমপ্লিট করাই আপনার প্রধান কাজ। যেদিন স্কুলে পড়া কমপ্লিট করে স্কুলে যাওয়া একজন আদর্শ স্টুডেন্টের বৈশিষ্ট্য। মোবাইলের নেশা থেকে বিরত থাকার সবচেয়ে সহজ গল্পের বই পড়া। 

গল্পের বই পড়লে আপনার জ্ঞান অনেক বৃদ্ধি পাবে এতে মোবাইলে নেশা থেকে দূরে থাকা যায়।

গল্পের বই পড়ার এক প্রকার নেশা সৃষ্টি করবেন,তাহলে আপনার মোবাইল ফোনব্যবহার থেকেদূরে থাকতেপারবেন।

আপনি যদি বেশি বেশি গল্পের বই পড়েন তাহলেই মোবাইলের নেশা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

এটা হল মোবাইলের নেশা থেকে দূরে থাকার সেরা পদ্ধতি।  এছাড়া মোবাইলের নেশা থেকে দূরে থাকার অনেক উপায় রয়েছে।

আপনি মোবাইলের নেশা থেকে দূরে থাকার জন্য সব সময় বই পড়তে থাকুন এবং ভালোভাবে পড়াশোনা করুন। 

ভালোভাবে আপনি পড়াশোনা করলে মোবাইলের আসক্ত অনেকটা কমে যাবে।  আপনি যদি একজন ভালো শিক্ষার্থী হতে চান তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে। 

তাই দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশোনা করেন পড়াশোনা করলে মোবাইল নেশা কমে যাবে । 

এছাড়া মোবাইলের নেশা তোমার জন্য আপনি আরেকটা কাজ করতে পারেন।  আপনি মোবাইল ব্যবহারের জন্য একটি রুটিন তৈরি করতে পারবেন।  মনে করেন আপনি দিনে দুই ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করবেন। 

এই দুই ঘন্টা কোন কোন সময় ব্যবহার করবেন সেটা লিখে রাখুন।  আপনি যদি সর্বনিম্ন দিনে ২ ঘণ্টা মোবাইল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মোবাইল নেশা থেকে দূরে থাকা হবে। 

দুই ঘন্টার অধিক মোবাইল ব্যবহার করতে যাবেন না। এতে আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে।

(৪) অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের সাথে ক্ষতি হয়ঃ

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।  যেমন মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা করা,  কোমরে ব্যথ, পায়ে ব্যথা,কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার মনে রাখতে না পার, 

চোখের নিচে কালো দাগ পড়া, চোখে কম দেখা এছাড়াও আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

https://www.facebook.com/Ridoy-Bloggar-105200299056253/?mibextid=ZbWKwL

আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনারা ভালোভাবে পড়েছেন। আমি সর্বদা সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি ৷

আমারলেখা আর্টিকেলে যদি কোনোপ্রকার ভূল পেয়ে থাকলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করবেন। 

আমার আর্টিকেলটা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন!

নামাজ বাদ দিয়ো না বন্ধু ।  নামাজ পড়ো বন্ধু , এপারের থেকে ওপারের জীবন অনেকবেশি সুন্দর♥️।

 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
MD Masud - Apr 2, 2023, 2:06 PM - Add Reply

Op

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles