আপনি কি মোটা হতে চান? স্বাস্থ্য দিন দিন কমে যাচ্ছে? মোটা হওয়ার উপায়? মোটা হওয়ার ঔষধ।মোটা হওয়ার ইসলামিক উপায়?
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আপনারা কিভাবে স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন। অনেকেই আছেন, যারা অনেক চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী।
তারা অবশ্যই মোটা হতে চান? স্বাস্থ্য আল্লাহ তায়ালার দান। স্বাস্থ্য আপনি বাড়াতে চাইলেও পারবেন না।
আমরা সকলেই জানি, স্বাস্থ্যই সম্পদ। সে সম্পদই যদি না থাকে তাহলে কি আমাদের কোনো মূল্য থাকে। মোটা হওয়ার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের ঔষধ সেবন করেন।
কেউ calcium, vitamin D ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করে থাকেন। স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য কোনো ধরনের ঔষধ সেবন করতে হবে না। আমি যদি নিয়ম মেনে কাজ করে থাকেন এবং দৈনন্দিন জীবনের রুটিন মেনে চলেন তাহলেই আপনি স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের অধিকারী নারীরা পারবেন।
বর যদি দৈনন্দিন রুটিন ছাড়া চলাফেরা করেন এবং সময়মতো খাবার না খান তাহলে আপনি দিন অনেক রোগা হয়ে পড়বেন। অনেকেই আছেন যারা স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য / বডি বিল্টার হওয়ার জন্যজীমে যান।
যাদের জীমে যাওয়ার সামর্থ রয়েছে তারা জীমে যেতে পারেন। আর যাদের জীমে যাওয়ার সামর্থ নেই তারা দৈনন্দিন রুটিন অনুযায়ী চললেই স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন।
মোটা হওয়ার জন্য অনেক বডি বিল্টাররা তাদের বডিতে এক ধরনের ইনজেকশন নিয়েছিলেন। তাদের বডি অনেক মোটা হয়েছিলো।
বডি মোটা হয়ে লাভ কি তাদের দেহে কোনোরকম শক্তি ছিল না। দেখা গেছে তারা ৩০ বছর বয়সেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। আপনারা ভূলেও এই ধরনের কাজ করবেন না।
তাহলে আপনাদেও অল্প বয়সেই মৃত্যু হবে। কয়েদিন আগে ফেসবুকে একটা ভিডিও দেখলাম,ঠোঁটে ইনজেকশন পুশ করার মাধ্যমে ঠোঁট অনেক দেখাচ্ছে।
আপনারা মনে লরতে পারেন এই কাজ করলে আমার ঠোঁটও অনেক সুন্দর দেখাবে। কিন্তু এই সৌন্দর্যটা কয়েকদিনের জন্য। বেশিদিনের হবে না আমার জানামতে।
এই ধরনের বোকামির কাজ থেকে সর্বদা বিরত থাকাটা আপনার জন্য শ্রেয়। মোটা হওয়ার একটা উপায় হল সবসময় চিন্তা মুক্ত থাকা।
চিন্তা মুক্ত থাকলে আপনি স্বাভাবিক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন। অনেকে আছেন যারা অনেক সময় টেনশন নিয়ে থাকেন তারা কখনো তারা হতে পারবেন না।
মোটা হতে চাইলে অবশ্যই চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মানুষ দিন দিন অনেক চিকন হয়ে যাচ্ছ।
হলে তাদের চেহারাও দেখতে অনেক খারাপ লাগছে। তাদেরকে লোকজন দেখে পছন্দ তো দূরের কথা। তাদের সঙ্গে কথা বলতে চায় না।
একজন পুরুষের চেহারা যতো সুন্দর হোক না কেন! মানুষ এমন মানুষের চেহারা দেখে পছন্দ করে না। পছন্দ করে তার কথাবার্তা আচার-আচরণ ব্যবহার চালচলন সম্মান এসব গুনাগুন দেখে একজন মানুষ আরেকজনকে পছন্দ করে।
ওজন কমানো যত সহজ— ওজন বাড়ানো কিন্তু ততটা সহজ নয়। তবে হাদিসে উল্লেখিত একটি খাবার বা আমলের কথা আমরা উল্লেখ করব। এটি করলে আশা করা যায়— আল্লাহ তায়ালা সুস্বাস্থ্য ও সুঠাম দেহ দান করবেন।
মোটা হওয়ার ইসলামিক উপায়ঃ শরীয়তের দৃষ্টিতে মোটা হওয়ার উপায় হলো ‘খেজুরের সাথে শসা খাওয়া’।
হজরত আয়েশা রা. বর্ণনা করেছেন আমার মা আমাকে রাসূলুল্লাহ সা. এর সংসারে পাঠাতে চাচ্ছিলেন বিধায় আমার দৈহিক পরিপুষ্টির জন্য চিকিৎসা করাতেন।
কিন্তু তা কোন উপকারে আসলো না। অবশেষে আমি তাজা খেজুরের সাথে শসা মিশিয়ে খেলাম এবং উত্তমরুপে দৈহিক পরিপুস্টি লাভ করলাম।
(আবু দাউদ,হাদিস নংঃ ৩৩২৪)
আর খেজুর ও শসা একসঙ্গে খাওয়া সুন্নাহ!! আবদুল্লাহ ইবনু জাফর রা. বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী সা. শসা খেজুরের সাথে একত্রে খেতেন। (সহীহ্, ইবনু মা-জাহ ৩৩২৫) তাই যারা চিকন, মোটা হতে পারছেন না, তারা এই আমলটা নিয়মিত করুন, কয়েক মাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবার হবেন ইনশাআল্লাহ।
সব সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে টেনশন। ওজন বৃদ্ধিতে যেমন টেনশনমুক্ত থাকা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজনকমাতেও টেনশনমুক্ত থাকা খুবই প্রয়োজন।
আজকাল টেনশনমুক্ত থাকা খুবই কঠিন। সব সময় চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
ওজন বৃদ্ধির জন্য শরীরের চাহিদার তুলনায় বেশি ক্যালোরি নিন।
ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে চাইলে দিনে ৬০০- ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। আর যদি ওজন ধীরে ধীরে বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। এভাবে এক সপ্তাহ করলেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনারা পড়েছেন। আমি সর্বদা সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি ৷ আমার পোস্টের লেখাতে যদি কোনোপ্রকার ভূল পেয়ে থাকলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করবেন।
https://www.facebook.com/Ridoy-Bloggar-105200299056253/?mibextid=ZbWKwL
নামাজ বাদ দিয়ো না বন্ধু । নামাজ পড়ো বন্ধু , এপারের থেকে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর♥️। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এ কামনায় করি।...🥀আল্লাহ হাফেজ🥀
You must be logged in to post a comment.