প্রযুক্তির এই বিশ্বায়নে ভিডিও এডিটিং একটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম ইউটিউবের প্রতি বেশ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
ফলে ইউটিউবারের সংখ্যাও বেড়েছে আশংখ্যাজনকভাবে। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য প্রতিটা সেবা ও প্রডাক্টের ভিজুয়াল দৃশ্য কাষ্টমারেরা চাক্ষুষ দেখতে চাই। ফলে ভিডিও এর কোন বিকল্প নেই।
কিন্তু ভিডিও এডিটিং খুবই ভারি কাজের মধ্যে একটি যা সাধরন প্রসেসরের দ্বারা সম্পন্ন করা সম্ভবপর নয়। এখানে গ্রাফিক্স কার্ড ও গ্রাফিক্স প্রসেসর একটু উন্নতমানের হতে হয়। ফলে এই দুটি বিষয়ই প্রসেসরের সাথে জড়িত। তাই বন্ধুরা আসুন জেনে নেই ভিডিও এডিটিং এর কাজ করার জন্য কোন প্রসেসরটি ভালো।
বন্ধুরা কোন প্রসেসরটি ভাল তা জানার আগে আমাদের জেনে নেয়া দরকার প্রসেসর কী এবং কী কাজে ব্যবহৃত হয় বা কীভাবে হয়।
প্রসেসরের কাজ হল প্রসেস করা অর্থাৎ কোন কমান্ড দিলে সেই কমান্ডটি প্রসেস করার জন্য যা যা করা দরকার তা হলো একটি প্রসেসরের কাজ। প্রসেসরকে কম্পিউটারের CPU নামেও কল করা হয়। একটি প্রসেসরে গানিতিক যুক্তি, নিয়ন্ত্রক অংশ এবং মেমোরীও থাকে।
বন্ধুরা আমরা এখন একটা সুখবর দিতে যাচ্ছি আর তা হলো ইন্টেল কোম্পানি ১২ জেনারেশনের প্রসেসর নিয়ে মার্কেট কাপাচ্ছে।
বাজারে এই প্রসেসরগুলির কদর বেড়েছে বিশেষ করে যারা একটু ভারি কাজ করে থাকে যামন গেমিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি, তাদের জন্য একটি বিশেষ উপহার এই বৎসরের জন্য। আপনি ১২ জেনারেশনের যে যে মডেলগুলি বাংলাদেশেই পাচ্ছেন তার ভিতর অত্যন্ত জনপ্রিয় হলোঃ Intel Core i5 12600K ,Intel Core i7 12700KF , Intel Core i7 12700K ,Intel Core i9 12900Kইত্যাদি।
বন্ধুরা এই নতুন প্রজন্মের প্রসেসরগুলি অত্যন্ত উন্নতমানের কারন এটি অনেকগুলি সকেট সাপোর্টেড। তাছাড়া এই প্রসেসরগুলিতে রয়েছে দুই ধরনের ফ্রিকয়েন্সিঃ বেজ ফ্রিকয়েন্সি ও টার্বো ফ্রিকয়েন্সি। টার্বো ফ্রিকয়েন্সি হলো একটি ঝড়ের গতির নাম।
বন্ধুরা মজা করে হলেও সত্য কথাই বলা হচ্ছে। কারন হাইয়েন্ড ইউজারেরা যখন ভারি কাজ করে তখন এই প্রসেসরগুলি সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট দিয়ে থাকে কিন্তু সাধারন কাজের জন্য এই প্রসেসর একটু নিচের লেভেলে ফ্রিকোয়েন্সি দেয় যাতে করে সিপিইউ গরম হয়ে কোন দূর্ঘটনা না ঘটে।
আবার গ্রাফিক্সের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য কারন এখানেও রয়েছে গ্রাফিক্স বেজ ফ্রিকোয়েন্সি ও গ্রাফিক্স ডায়ানামিক ফ্রিকোয়েন্সি ম্যাক্স যা সাধারন ও ভারি কাজে আলাদা আলদা সাপোর্ট প্রদান করে থাকে।
কিন্তু পূর্ববর্তী প্রজন্মগুলিতে একটি মাত্র ফ্রিকোয়েন্সি ও গ্রাফিক্স লেভেল থাকার দরুন কম্পিউটার গরম হয়ে পড়ত। এছাটড়া এখানে কুলিং সিস্টেমও বেশ উন্নত করা হয়েছে।
ফলে বন্ধুরা আপনারা যারা ভিডিও এডিটিং এর মত গুরুত্বপুর্ণ ভারি কাজ করে থাকেন তাদের জন্য ১২ জেনারেশনের প্রসেসর একটি আশির্বাদস্বরপ। ভালো থাকুন, ভাল রাখুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
You must be logged in to post a comment.