এই সময়কে ঘিরে আদিকাল থেকে মানুষের অনেক কৌতূহল। অনেকেই ভাবে সময় কে যদি হাতের মুঠোয় করা যেতো বা নিজের মতো করে আগানো বাড়ানো অর্থাৎ অতীতে বা ভবিষ্যতে যাওয়া যেতো চাইলেই।
মানুষ কম চেষ্টা করেনি,সময় কে নিজের মতো করে পরিচালনা করার জন্য,মানুষ ভেবেছে যদি সময় কে হাতের মুঠোয় করা যায় তাহলে হয়তো চিরজীবন পৃথিবী থেকে যাওয়া সম্ভব হবে। যদি অমরত্ব লাভ করা যায়!
এছাড়া ও মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই । তাই মানুষ সময় নিয়ে অনেক প্রযুক্তি আবিষ্কার করার চেষ্টা করে চলেছে,এখনও চলছে গবেষণা এবং প্রযুক্তি আবিষ্কারের চেষ্টা । মানুষ আসলে সময় কে বেধে রাখতে চায় তেমন নয়,কিন্তু এমন টা চায় যে প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ চাইলেই আজ থেকে ১০ বছর পর কি হবে তা জানতে অথবা আবার অতীতে ফিরে যেতে। অনেক আগে থেকেই চলছে গবেষণা এবং টাইম মেশিন তৈরি করার এক অবিচলিত চেষ্টা ও উদ্যমতা।
বিজ্ঞানীরা টাইম মেশিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছে এবং এখনও করে চলেছে,কিন্তু তারা কতটুকু সফল হয়েছে? আদে ও কি এরকম অষ্টমাশ্চর্য কিছু আবিস্কার করা সম্ভব?
আমাদের মনে এরকম প্রশ্ন খুব স্বাভাবিক ভাবেই হয়।
আমাদের জানতে ইচ্ছে হয়, আমার সাথে ঠিক কি কি ঘটতে পারে ভবিষ্যতে, আমদের দেখতে কেমন হবে বা আমরা তখন কি কাজ করবো বা কি পর্যায়ে থাকবো; এছাড়া আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম সেই শৈশব কালে!
এই সময় নিয়ে প্রথম ধারণা ব্যাক্ত করেন বিজ্ঞানী নিউটন। যার মতামত ছিল,পৃথিবীতে যদি ১সেকেন্ড অতিবাহিত হয় তাহলে মহাবিশ্বে ও এক সেকেন্ড অতিবাহিত হবে।
আর নিউটনের এই ধারণা ভুল প্রমাণ করেন আইনস্টাইন ;১৮৭৯ সালে তার আপেক্ষিক তত্ত্বের মাধ্যমে।আমরা যারা সাইন্স নিয়ে কৌতুহল তারা সবাই আপেক্ষিক তত্ত্ব সম্পর্কে কম বেশি জানি।
আইনস্টাইন এর মতে,আলোর গতির কাছাকাছি কোনো গতিতে ছুটতে শুরু করলে তার সময় ধীর হয়ে আসে!
অর্থাৎ , আপনি যদি মহাকাশে ২০২১ সালে ভ্রমণে যান; ব্ল্যাক হোলের কাছকাছি অথবা মহাকাশ ভ্রমণ করেন ২০২২সালে আপনি পৃথিবী তে ফিরে আসলে পৃথিবীর সব কিছু পরিবর্তন দেখবেন। এই এক বছরে ঠিক কতটা পরিবর্তন হতে পারে সেটা থাকবে আপনার অকল্পনীয়।
আপনার সাথে থাকা সব মানুষ হয়তো বৃদ্ধ হয়ে যাবে যারা এক বছর আগে আপনার সমবয়সী ছিল, এবং অধিকাংশ মানুষ মারা গিয়েছে এমন টা হবে।
কারণ আপনি যখন ১ বছর মহাকাশ ভ্রমণ থেকে পৃথিবী ফিরবেন তখন পৃথিবীতে কেটে গেছে প্রায় ৭০বছর। তত্ত্বীয় ভাবে কিন্তু আমরা ভবিষ্যতে প্রবেশ করবার উপায় পেয়ে গিয়েছি।
এমন ই বিস্ময়কর এই সময়। তাহলে বলা যায় আমরা চাইলে খুব সহজে ভবিষ্যতে যেতে ই পারি। কিন্তু অতীতে? অতীতে যাবার মতো কি কোনো উপায় আছে? বা কোনো মেশিন আবিষ্কৃত হয়েছে?
সময় নিয়ে আমাদের এই কৌতূহল গুলো থেকেই যায়। আমাদের এই কৌতূহল গুলো দুর করতে অনেক প্রযুক্তির আবিষ্কার হয়েছে এবং ভবিষ্যতে মানুষ সময় কে আরো হাতের মুঠোতে আনতে চেষ্টা করে যাবে। যেভাবে ভবিষ্যতে যাবার একটা উপায় বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে ফেলেছে।
কিন্তু এখনো সঠিক ভাবে নির্দিষ্ট করে কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়নি যার মাধ্যমে খুব সহজে মানুষ প্রবেশ করতে পারে,বা যে মেশিনের মাধ্যমে মানুষ নিজের ভবিষ্যত জানতে পারে!বা অতীতে ফিরতে পারে।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এমন কোনো যন্ত্র আবিষ্কারের,যেখানে সময়ের চাকা থাকবে মানুষের হাতে!
দেখা যাক ভবিষ্যতে এই " সময় " নিয়ে সময়ের পরিবর্তনে আরো কি কি প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটে!
কতোটা রহস্য উন্মোচিত হয় এই সময় ঘটিত ব্যাপারটির!
_ অমানিশা
You must be logged in to post a comment.