আসসালামু আলাইকুম। এসএসসি পরীক্ষার পর প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীরা চায় একটি ভাল প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে চায়। কোন বিষয়ে ভর্তি হলে পড়াশুনা করলে ক্যারিয়ারে ভাল হবে সে সম্পর্কে অনেক ছাএ ছাএীদের জানে নাহ কি়ংবা সে সম্পর্কে কোনো ধারণা থাকে না।
এসএসসির পর পড়াশুনার জন্য কোন কোন সেক্টরর
রয়েছে সে সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এসএসসি পাশ করার পর কোথায় ভর্তি হব?
এসএসসি পরীক্ষার পরে বিভিন্ন যায়গা পড়াশুনা কর যায় এবং এর পর উচ্চশিক্ষা করা যায়।
এগুলো হলোঃ-
- এইচএসসি
- ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং
- প্যারামেডিক্যাল
এইচএসসি
এসএসসি পাশ করার পর একজন শিক্ষার্থী এইচএসসি পড়ার জন্য বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি কলেজে রয়েছে। এসব কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করে এসএসসি পাশ করা যায়। এই সেক্টরে বেশির ভাগ ছাএ-ছাএী পড়াশুনা করে।
এইচএসসি পাশ করার পর কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
- যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ পাবে। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে বিসিএস ক্যাডার হতে পারবে।
- মেডিকেলে কলেজে পড়াশুনার পর এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করবে।
- বিএসসি ইন নার্সিং করতে পারবে।
- সরকারী বিভিন্ন চাকরির জন্য আবেদন করা যায়।
- ঢাকা ইউনিভর্সিটি অধীনে ৭ কলেজ ভর্তির সুযোগ পাবে।
এছাড়াও আরও অনেক কোর্স রয়েছে যেগুলো এইচএসসি কমপ্লিট করার পর করতে পারবে।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং
তথ্য প্রযুক্তির যুগে এ যুগে কর্মমুখী শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে শিল্প-কারখানা,গার্মেন্টস বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির সুবিদা রয়েছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে অধানে সেমিস্টার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পড়ানো হয়। এর যেকোনো একটা পড়লে কর্মদক্ষতা হওয়া চাকরি করা যায়। বাংলাদেশে সরাসরি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। বিষয়গুলো হচ্ছে-
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং
- কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং
- ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
- কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং
- এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং
- রিফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং ইঞ্জিনিয়ারিং
- ইন্সট্রুমেন্টশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং
- টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
- ডিপ্লোমা পাশ করার পর B.Sc ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে।
- সরকারিভাবে শুধু ডুয়েটে এবং অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পাড়তে পারবে।
- বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারিতে প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে আবেদন করতে পারে।
এই সুবিধা গুলো ছাড়াও বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে এ সেক্টরে।
প্যারামেডিক্যাল ডিপ্লোমা
চিকিৎসা সম্পর্কে পড়াশুনা করতে চাও যারা তাদের জন্য প্যারামেডিক্যাল পড়ার গুরুত অনেক। প্যারামেডিকল পড়ার পর তাদের কাজ হল তারা রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে, এমআরআই, সিটি স্ক্যান, আল্ট্রাসনোগ্রাম ইত্যাদি মানব দেহে যেকোনো রোগ নির্ণয়ে সহায়তা অনেক কাজ করতে পারবে।
প্যারামেডিক্যাল কোর্স মূলত তিন ধরনের।
- ডিগ্রি কোর্স
- ডিপ্লোমা কোর্স
- সার্টিফিকেট কোর্স
ডিগ্রি কোর্স
ডিগ্রি কোর্স হলো ৩ থেকে ৪ বছর মেয়াদি। এই কোর্স করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য পড়া যায়।
ডিগ্রি কোর্সে যা থাকে তা হলোঃ-
- বিএসসি ইন ওটিটি অর্থাৎ অপারেশন থিয়েটর টেকনলজি।
- বিএসসি ইন মেডিক্যাল রেকর্ড টেকনোলজি
- বিএসসি ইন নিউক্লিয়ার মেডিসিন টেকনোলজি
- বিএসসি ইন রেন্যাল ডায়োলসিস টেকনোলজি
- বিএসসি ইন নার্সিং
- ব্যাচেলার অফ নেচারোপ্যাথি
- বিএসসি ইন মেডিক্যাল ইমেজিং টেকনোলজি।
- বিএসসি ইন অপটোমেট্রি
- ব্যাচেলার অব রেডিয়েশন টেকনোলজি ইত্যাদি অনেক কোর্স রয়েছে।
ডিপ্লোমা কোর্স
ডিপ্লোমা কোর্স ২ থেকে ৩ বছর মেয়াদি হয়। কোর্সের পর ভাল চাকরির সুযোগ রয়েছে। কোর্সটি করার জন্য অবশ্যই ১২ ক্লাস পাশ করতে হবে।
এই কোর্সে যা থাকে তা হলোঃ-
- ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি
- ডিপ্লোমা ইন এক্সরে টেকনোলজি
- ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ইমেজিং টেকনোলজি
- ডিপ্লোমা ইন ফিজিওথেরাপি
- ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট
- ডিপ্লোমা ইন ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান
- ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল রেকর্ড টেকনোলজি
- ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল হাইজিনিস্ট
- ডিপ্লোমা ইন অপথালমিক টেকনোলজি
- ডিপ্লোমা ইন অ্যানাস্থেশিয়া
- ডিপ্লোমা ইন অপারেশন থিয়েটর টেকনোলজি
- ডিপ্লোমা ইন ওটি টেকনিশিয়ান
সার্টসার্টিফিকেট কোর্স
সার্টসার্টিফিকেট কোর্স হলো স্বল্প সময়ের কোর্স। ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে হয়ে থাকে।বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সদ্য ১২ ক্লাস পাশ করতে হয়। সরকারি ভাবে কিছু প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে পড়ায়।
এই কোর্সে যা পড়ানো হয় তা হলঃ-
- এক্স-রে টেকনিশিয়ানের সার্টিফিকেট
- ডেন্টাল সহকারী সার্টিফিকেট
- ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট/টেকনিশিয়ানের সার্টিফিকেট
- নার্সিং কেয়ার সহকারী সার্টিফিকেট
- ডায়ালাইসিস টেকনিশিয়ানের সার্টিফিকেট
- অপারেশন সার্টিফিকেট থিয়েটার সহকারী
- ইসিজি এবং সিটি স্ক্যান টেকনিশিয়ানের সার্টিফিকেট
- পুষ্টি এবং শিশু যত্নে সার্টিফিকেট
- গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিচর্যায় শংসাপত্র
- হোম ভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার শংসাপত্র
- এইচআইভি এবং পারিবারিক শিক্ষার শংসাপত্র
- ইসিজি এবং সিটি স্ক্যান টেকনিশিয়ানের সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
তো আমরা প্যারামেডিক্যাল বিভিন্ন সেক্টর সম্পর্কে জেনেছি।
প্যারামেডিক্যাল পড়ার পর কি কি সবিধা পাওয়া যায়।
- বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতালে চাকরির সুযোগ রয়েছে ।
- সরকারি বেসরকারি ক্লিনিকে চাকরি করা যায়।
- বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করা যায়।
এইচএসসি, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্যারামেডিকেল এই সেক্টকে পড়াশুনা করতে পারো। এছাড়া আরো কিছু সেক্টর রয়েছে। আমদের অবশ্যই যে বিষয়ে পড়ি ভালভাবে পড়তে হবে। প্রত্যেককে মন দিয়ে পড়াশুনা করে মানুষের মত মানুষ হতে হবে এবং নিজের জীবনকে ঘুছিয়ে নিতে হবে।
আসাকরি সবাই পড়ার পর উপকৃত হয়েছেন।
Ok
ভালো করে পড়ার অনুরোধ রইল
ভালো
ভালো
You must be logged in to post a comment.