আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মজার সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এটা একটি সুপরিচিত মহাকাশ যান। এটা মহাকাশে ভেসে থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এটা কোনো স্টেশন না। এটা হলো একটি বিশাল মহাকাশ যান। এটি পৃথিবী থেকে ২৪০ মাইল উপরে ভেসে বেড়াচ্ছে। এই মাহাকাশ যানকে কৃত্রিম উপগ্রহ বলা হয়ে থাকে।
এই মহাশযানে বিজ্ঞানীরা একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে বসবাস করে মহাকাশ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। এই মাহাকাশযানটির ভেতরে ৬-৭ জন মহাকাশ যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এই মহাকাশযানটি প্রতি ঘন্টায় ২৮০০০ কিলোমিটারের বেশি ৯০ মিনিটে ১ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করতে পারে।
এই মহাকাশযানটির আয়তন:
এই মহাকাশ যানটির আয়তন অনেক বড়। এটি ৩৫৭ ফুট লম্বা। এটি ৪৬০ টন ওজন নিয়ে মহাকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন কেন ব্যবহার করা হয়:
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন মহাকাশ সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের তথ্য সংগ্রহ করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি মহাকাশ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার কাজে বেশি ব্যবহার করার জন্য তৈরী করে।এছাড়াও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই মহাকাশ স্পেস স্টেশনে নভোচারীরা বছরের পর বছর গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকে।
মহাকাশ স্টেশন কত সালে তৈরী হয়:
এই মহাকাশ স্পেস স্টেশনটি ১৫ টি দেশের লোকের প্রচেষ্টায় তৈরী করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়াসহ আরও অনেক। এই মহকাশ স্টেশনটি ১৯৯৮ সালে সর্ব প্রথম তৈরীর কাজ শুরু করতে থাকে। ২০১১ সালে নাসা এটি নির্মান কাজ সম্পুর্ণ করে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের গঠন:
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটি একটি জটিল ব্যবস্থা এটা বৈদ্যুতিক শক্তি,তাপ নিয়ন্ত্রণ, মনোভাব নির্ধারন, অটোমেশন,রোবোটিকস,কম্পিউটিং, স্ক্রুসহ অনেক ব্যবস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যেতে কত সময় লাগে:
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ৬ ঘন্টারও কম সময়ে রশিয়ার নভোচারীরা গিয়েছে। এই মহাকাশ স্পেস স্টেশনে এখন দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায়।রাশিয়ার নভোচারীরা ৬ মাস মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন তারা। তারা সেখানে
মহকাশ স্টেশনে টিকিট কত:
এই মহাকাশ স্টেশনের টিকিটসহ থাকা খাওয়া হলো ৫০০ কোটি টাকা। যে কেউ চাইলে এই স্পেস স্টেশনে ঘুরে আসতে পারে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটির ভেতরে কি কি ব্যবস্থা রয়েছে:
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ভেতরে রয়েছে বিশাল সু ব্যবস্থা।
খাবারের ব্যবস্থা:
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। নভচারীগন সেখানে তরল পানীয় স্ট্র ব্যাগ থেকে পান করে। স্ট্রো ব্যাগ থেকেই নভোচারীরা খাবার গ্রহন করে থাকে।
টয়লেটের ব্যবস্থা:
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দুইটা টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। নভোচারীরা প্রয়োজন হলে ব্যবহার করে থাকে। এটা খুবই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হয়। নভোচারীদের মুত্র ফিল্টার করে পান যোগ্য পনিতে করে পান করা হয়।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা:
এই মহাকাশ স্টেশনে ইন্টারনেটের অনেক সু ব্যবস্থা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ৬০০ মেগাবিটস এর ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের গবেষণাগার :
এই মাহাকাশ যানের ভেতরে অনেকগুলো গবেষনাগার রয়েছে। মহাকাশ স্টেশনের গবেষণা চলতেই থাকে।মাকাশ বিজ্ঞানীরা নিজ নিজ গবেষণা কেন্দ্রে গবেষণা করে থাকে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সময়ের পরিবর্তন :
আন্তর্জাতিক মহাশ স্টশনে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এখানে পৃথিবীর চেয়ে সময় খুব ধীরে কাটে।পৃথিবীর বয়সের চেয়ে কম বয়স নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে। মহাকাশ যানটিতে ৬ মাস কাটানোর পরে পৃথিবীর মানুষের চেয়ে ছোট হয়। মুলত. ০০০৫ সেকেন্ড ছোট হয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যে কেউ ঘরে আসতে পাারে:
যে কেউ চাইলে এই মহাকাশ স্পেস স্টেশনটি পৃথিবী থেকে ঘুরে দেখতে পারবে:
আপনি চাইলে গুগল স্ট্রিট ভিউ ব্যবহার করে এই মহাকাশ যানটি পৃথিবী থেকে দেখতে পারবেন।
শেষ কথা :
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এটি একটি বিশাল মহাকাশযান এখানে থাকা খাওয়া গবেষণার সবই রয়েছে। এখানে বিভিন্ন নভোচারীরা যাতায়াত করে থাকে। এটিকে কৃত্রিম উপগ্রহ বলা হয়। এটা পৃথিবী থেকে বড় তারার মত রাতের বেলা ঝলমল করে।
চমৎকার বিষয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা রইলো
You must be logged in to post a comment.