আপনি আপনার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জি-মেইল আইডিকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন।

বর্তমান আমরা তথ্য প্রযুক্তিময় যুগে বসবাস করছি। এখানে আমাদের প্রযুক্তির যে বিশেষ অবদান গুলো রয়েছে সেগুলোকে আমরা এই সময় বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের জীবনে এই জিনিস গুলো এমন ভাবে প্রভাব পড়েছে যে আমরা এখন এই সময় সে সকল জিনিস গুলো ছাড়া আমারা নিজেদেরকে কল্পনা করতে পারি না।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

এখন প্রযুক্তির বিশেষ ভাবে এগিয়ে যাওয়ার মুল কারন হচ্ছে অনলাইনে এর দ্রুত প্রভাব বিস্তার। ইন্টারনেট জগতের প্রভাবে আমরা দ্রুত এগিয়ে গিয়েছি আজ আর এই  ইন্টারনেট জগতের মুল চালিকা শক্তি হচ্ছে কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে। 

আর এখন এই আধুনিক যুগে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে এই দুটো জিনিস। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এগুলোকে ছাড়া ভাবতেও পারি না। আমাদের বেশিভাগ সময় কাটে এখন এগুলো তে সময় ব্যায় করে। এখন সময়ের পরিবর্তনে আমরা এসবের মাধ্যমে যথেষ্ট ভাবে অনেক টাকা ইনকামও করতে পারি। এই আধুনিক যুগে বেশি ভাগ মানুষের মন জয় করে ফেলেছে এগুলো। 

এখন সারা বিশ্বে বেশিভাগ কাজ কর্ম এসবের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। আর এই অনলাইনে আপনাদের তথ্য আদান প্রদান কে অনেক সহজ করে দিয়েছে  যেই সাইটটি সেটি হচ্ছে জি-মেইল। এটি ব্যবহার করে আমদের অনেকের অনেক উপকার হয়ে থাকে। এটির সারা বিশ্বে বহু লক্ষ্য লক্ষ্য ব্যবহারকারী আছে, তবে এর ব্যবহার আরও ক্রমাগত বাড়ছে। এটি অনেক জনপ্রিয় একটি সাইট তবে এর কিছু গোপনীয়তাও আছে। 

আমরা অনেকেই আছি যারা সোস্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট ফেইসবুক ব্যবহার করে থাকি। আর ফেইসবুক ব্যবহার করে আমাদের কে অনেক ধরনের সমস্যাতেও পড়তে হয়। যার কারনে আমরা এসব থেকে ব্লক হয়ে যাই আবার নিজেস্ব অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। তবে অ্যকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনাটি প্রায় ঘটতে দেখা যাচ্ছে ইদানিং। বিভিন্ন ধরনের হ্যাকররা এক জনের অ্যাকাউন্টে তথ্য চুরি, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে দেওয়া তাছাড়া আরও বহুকরম সমস্যাতে ফেলতে পারে। আর এইসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রোয়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। 

ঠিক একই রকম এই জি-মেইলের ব্যবহারে এটি ব্যবহার করতে এখানেও আমাদের একটি মান সম্মত ভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। আর একটি অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে ফেইসবুকের মতন নানা রকম সমস্যায় আমাদের পড়তে হয়ে থাকে। সেই সব সমস্যাতে আমরা পড়লে আমাদের আ্যাকাউন্টির এই সমস্যা গুলো সমধান করা খুবই কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। আর তাই আমরা যদি এর কিছু করণীয়গুলোকে গ্রহন করে থাকি তাহলে আমাদের সেই সমস্যাতে পড়তে হয় না। 

তাই আজকে আমাদের মূল আলোচনা হল আপনি আপনার ব্যবহুত জিমেইল আইডিকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখাবেন। এটি হয়তো আমরা অনেকেই আছি তা জানি না তাদেরকে জানতে আমাদের এই পোস্ট টি। আর এটি নিয়ে আলোচনা করার আগে আমারা জিমেইল আইডি নিয়ে আর একটু বিস্তারিত জানবো। তাই নিচে সেটি বিস্তারিত আলোচনা করা হল: 

জি-মেইল আইডি:

এটি অনেক জনপ্রিয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইট যার মাধ্যমে এক বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকি। এটি একটি বিনামূল্যে ওয়েবমেইল যার সার্ভিস দেয় গুগল। যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে এটি গুগলমেইল নামে পরিচিত হয়ে আছে। এটি সর্বসাধারনের জন্য উম্মুক্ত হয় ৭ই ফ্রেব্রুয়ারি ২০০৭ এ কিন্তু পর্বতীতে তা পরিপূর্ণ সংস্করন হয় ২০০৯ সালের ৭ই জুলাই। তবে এটির সেবা চালু হয় ২০০৫ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর। খুব সহজেই এখন গুগলের নানা সেবার মতন জিমেইল মোবাইল ফোনে ব্যবহার করে এর সেবা নেয়া যায়। 

এটি সাধারনত বিন্যামূল্যে ব্যবহার করা যায় স্মার্টফোন বা মোবাইল ফোনে। এতে ব্যবহারকারীরা সাধারনত মেইল কম্পোজ, পড়া, আর্কাইভ করা, মেইলের রিপ্লাই করা, ফরওয়ার্ড করা, না পড়া মেইলকে আনরিড করা, স্টার আইকোন অ্যাড করা আপনি চাইলে কাস্টম লেভেল অ্যাড করতে পারেন এবং আপনি আপনার যেকোন মেইলকে মুছে ফেলতে পারেন।  

জিমেইলের ইন্টাফেস দেখতে ওয়েবমেইলের মতন যা বর্তমানে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ভাবে সাজানো যায়। ল্যাব থেকে ইন্টাফেসের ল্যাবটি চালু করে লম্বভাবে, সমতল ভাবে ইন্টাফেস দেখতে পাওয়া যায়। এটি আমাদের ভালো মানের সুবিধা প্রদান করে থাকলেও এটি নিয়ে আমাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। এটির প্রতি গোপনীয়তা বজায় না রেখে চলার কারনে পড়তে হয় নানবিদ সমস্যা তে। বিভিন্ন হ্যাকার রা আপনার ব্যবহার কর জিমেইল আইডি তে নানা ধরনের সমস্যা তৈরী করে থাকে, আর তাদের হাত থেকে আপনাকে ব্যবহৃত জিমেইল আইডি সুরক্ষিত রাখতে যা জানা আপনার বিশেষ জরুরী তা আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে।  তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল: 

জিমেইল অ্যাকাউন্টকে হ্যাকারদের থেকে নিরাপদে রাখার উপায়: 

১. আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে একটি শক্তিশালী বা স্ট্রং পাসওয়ার্ড তৈরি করুন: 

এখানে আপনাকে একটি ভালোমানের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। যাতে আপনার অ্যাকাউন্টি হ্যাক হওয়া সমস্যায় পড়তে হবে না। তাছাড়াও একটি মেইল অ্যাকাউন্টে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার নাম বা জন্মের তারিখ, আপনার প্রিয় পোষা প্রাণী, শিশুর নাম অথবা আপনার আশে পাশে কোন রাস্তার নাম দিয়ে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। এই রকম বিভিন্ন কৌশলে হ্যাকাররা আপনার লোকেশন ট্রাক করে সহজে অনুমান  করতে পারে। 

একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের দৈর্ঘ্য সর্বচ্চো ১০ অক্ষরের হওয়া চাই। তাই আপনার পাসওয়ার্ড যত দীর্ঘ হবে তখন হ্যাকার সহজে ক্র্যাক বা অনুসন্ধান করতে পারবে না। তারাপরে আপনার আরএকটি বিষয়ে নজর রাখতে হবে সেটি হল, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরীতে প্রতিটি অক্ষরের মধ্যে কমপক্ষে একটি আপার কেইস ও লেয়ার কেইস থাকা দরকার।

যা আরও ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয়ে সেটি হল পাসওয়ার্ড ছোট হাতের অক্ষর বড় হাতের অক্ষরের সহিত সংখ্যা যুক্ত করা ও বিশেষ অক্ষর যেমস স্পেশিয়াল কারেক্টর যুক্ত করা। তাতে অনেক ভালো মানের একটি পাসওয়ার্ড তৈরী হতে পারে। যা আপনার পাসওয়ার্ড সম্পর্কে তারা অত সহজেই কোনভাবে অনুমান করতে পারবে না। আপনার অ্যাকাউন্টকে সুরক্ষিত রাখার সবচেয়ে কার্যকরী একটি উপায় এটি।

২. নিজের মেইলের পাসওয়ার্ড অন্য সাইটে ব্যবহার করবেন না:

যদি আপনি ওয়েব সাইট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার আবার যেটি করণীয় থাকে সেটি হলো আপনার ব্যবহৃত প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য পৃথক পৃথক পাসওয়ার্ড তৈরী করা দরকার। আপনার মেইলে ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড ভালো মনে থাকার জন্য আপনি এটি অন্য সাইটে একেবারে ব্যবহার করবেন না, এতে আপনার জিমেইল আইডি নিয়ে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। যা অনেক বড় আকার ধারন করতে পারে। তাই এই বিষয়ে আপনাকে ভালোভাবে সর্তক থাকা উচিত। 

৩. পাসওয়ার্ড সেইভ করে না রাখা ও কারো সাথে শেয়ার না করা:

আপনার অফিসে বা অন্য কোনখানে আপনার ব্যবহৃত মেইল অ্যকাউন্টি সেইভ করে রাখবেন না। যেখানে দেখবেন যে আপনি ছাড়াও সেই কম্পিউটার ল্যাপটপ অথবা মোবাইলে অন্য কেউ চালিয়ে থাকে, সেখানে কোনভাবেই আপনার ব্যবহৃত জিমেইল আইডি টি পাসওয়ার্ড সেইভ রাখার জন্য একটি পপ আপ মেসেইজ বক্স আসবে সেখানে আপনারা সেইভ পাসওয়ার্ডে ক্লিক করবেন না। 

বা অন্য কারো ব্যবহৃত কম্পিউটার অথবা মোবাইলে পাসওয়ার্ড সেইভ করে রাখবেন না। এতে আপনি সমস্যাতে পড়তে পারেন। আবার আপনি আপনার জিমেইলে ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করবেন না্। এটি অনেক বড় একটি মারাত্নক ভুল, যার ব্যাপরে আপনার নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে। আপনার বন্ধু বান্ধব , আত্নীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি , বেশি প্রিয়জন ব্যাক্তি কারো সাথে আপনার ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড শেয়ার করে থাকবেন না এতে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। 

৪. আপনার জিমেইল পাসওয়ার্ডটি পুনরুদ্ধার বা অ্যাকাউন্টি রিকভারীর জন্য যা করা দরকার: আপনার ব্যবহার করা জি মেইল আইডি টি পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করার জন্য অ্যাকাউন্টি রিকভারী জন্য আপনাকে আপনার একটি ফোন নাম্বার বা বিকল্প জিমেইল আইডি যুক্ত করুন। পুনরুদ্ধার ফোন বা ইমেইল যুক্ত জন্য আপনি যদি কখনও নিজের পাসওয়ার্ড ভুলে যান তবে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরায় খুলতে সাহায্য করে থাকবে। যার ফলে আপনাকে হ্যকারদের হাতে থেকে রক্ষা করবে। এবং আপনি আপনার ব্যবহৃত জিমেইল আইডি টি নিরাপদে রাখতে পারবেন। 

৫. আপনার ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড সম্পর্কিত কোন তথ্য মোবাইলে নোট করে না রাখা:

আপনার ব্যবহৃত জিমেইল আইডি তে আপনি পাসওয়ার্ড সম্পর্কিত কোন তথ্য আপনার মোবাইল ফোনে নোট করে রাখবেন না। এতে আপনার মোবাইল যদি তৃতীয় ব্যাক্তির হাতে আসে তাহলে আপনার জি মেইল সহ সমস্ত তথ্য পেতে পারে এবং ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডটি সে সুকৌশলে জেনে যেতে পারে। তাতে আপনি বিভিন্ন ভাবে সমস্যায় পড়তে পারেন। 

আপনার ব্যবহৃত মেইল আইডিকে সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে উপরের নিয়ম গুলো ফলো করুন। এতে আপনি সাধারনত জিমেইল আইডি হ্যাক ও নানা সমস্যা থেকে আপনার ব্যবহৃত জিমেইল আইডিকে  বিরত রাখতে পারবেন। 

আমাদের আলোচিত আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পছন্দ মতন যে কোন সাইটে একটি শেয়ার করবেন আপনার করা একটি শেয়ার আামাদের আরও ভালো আর্টিকেল লিখতে উৎসাহ প্রদান করবে। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

নাম: বাধন কুন্ডু । একজন আর্টিকেল রাইটার । ১০০% ইউনিক ও কপি মুক্ত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।