এন্ড্রয়েড ফোন হ্যাকারদের হাত থেকে নিরাপদে রাখার ৭টি কৌশল।

যুগের পরির্বতনের সাথে সাথে  দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এন্ড্রুয়েড ফোন ব্যবহারের সংখ্যা। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে হ্যাকারদের সংখ্যা।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

প্রিয় বন্ধুরা, আসসালামুআলাইকুম।কেমন আছেন সবাই?

আবার ও হাজির হয়ে গেলাম  আপনাদের সামনে নতুন আর একটি পোষ্টে নতুন আর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে।

আজকে আমরা আলোচনা করব এন্ড্রুয়েড ফোন নিরাপদে রাখার উপায়।

সূচনা:-

যুগের পরির্বতনের সাথে সাথে  দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এন্ড্রুয়েড ফোন ব্যবহারের সংখ্যা। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে হ্যাকারদের সংখ্যা। 

আর আপনার স্মার্টফোন আপনার মানিব্যাগ থেকেও বেশি মূল্যবান।কারন এতে আমাদের অনেক সংবেদনশীল তথ্য এবং পাসওয়ার্ড থাকে।

ত চলুন দেখে নেই কিভাবে আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসটি নিরাপদে রাখা যায় তা জেনে নেই।

১/ স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন।

২/ বিশ্বাসযোগ্য সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন।

৩/ নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট কোন।

৪/ অব্যবহৃত অ্যাপ আনইস্টল করুন।

৫/ ফোন রুট করবেন না।

৬/ ডিভাইস থেকে অ্যাপস লক করে রাখুন।

৭/ ব্লুটুথ সেটিং খুব ভালোকরে কনফিগার করুন।

৮/ অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখুন।

১/ স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন।

হ্যাকারের হাত থেকে আপনার এন্ড্রুয়েড ফোন নিরাপদে রাখার সব থেকে ভালো উপায় হলো, ফোনে স্ক্রিন লক ব্যবহার করা। আপনার স্মার্টফোন আপনার মানিব্যাগ থেকে ও বেশি মূল্যবান।

কারন বর্তমানে এতে আমাদের অনেক সংবেধনশীল তথ্য ও পাসওয়ার্ড থাকে। কিন্তু আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসটির নিরাপত্তার জন্য তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করি না।

আবার অনেকে দেখা যায় অলসতার কারনে ফোনে স্ক্রিন লক ব্যবহার করেন না।আর এর জন্য আপনি বিপদে পড়তে পারেন যখন আপনার ফোন চুরি হবে বা কোন কারনে যদি ফোন বেহাত হয় তবে।

তাই ভবিষ্যতের বিপদের কথা  চিন্তা করে আজই ফোনে স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন।

তবে, মনে রাখবেন পিন / পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমন কিছু ব্যবহার করোন যাতে কেউ আন্দাজে লক খুলতে না পারে। বা আপনি চাইলে ফিঙ্গার লক বা ফেস লক ও ব্যবহার করতে পারবেন।

২/ বিশ্বাসযোগ্য সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন।

আপনার এন্ড্রুয়েড বা স্মার্টফোন নিরাপদে রাখতে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন। আর এন্ড্রুয়েড বা স্মার্টফোনের জন্য সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য অ্যাপ ডাউনলোড দেওয়ার স্থান হলো গুগোল প্লে স্টুর।

তাই সবসময় গুগোল প্লে স্টুর থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করুন। তবে তার আগে অ্যাপ সর্ম্পকে যাচাই করুন।অ্যাপস এর রেটিং চেক করুন।

অ্যাপটি কত বার ডাউনলোড করা হয়েছে এটি দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন অ্যাপটির জনপ্রিয়তা কতটুকু।

৩/ নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট কোন।

আপনার স্মার্টফোন নিরাপদে রাখতে সর্বদা আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করুন।  কিন্তু অনেকে দেখা যায় ডেটা খরচের ভয়ে ফোন  আপডেট করতে চায় না।

এটা কিন্তু একটি খারাপ অভ্যাশ।কারন এটি হতে পারে আপনার ডিভাইস এবং আপনার গোপনীয় তথ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ।

অনেক সময় বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপের কোডের ভুল ত্রুটি ধরা পরে, যা হ্যাকাররা লুফে নেয়।

তাই ফোন নিয়মিত আপডেট করুন। কারন ফোন নিয়মিত আপডেট করলে আপনি এধরনের চিন্তা থেকে অনেকটা মুক্তি পেতে পারবেন।এছাড়াও ফোন আপডেট করার ফলে নতুন ফিচার ও যুক্ত হবে।

৪/ অব্যবহৃত অ্যাপ আনইস্টল করুন।

আপনার এন্ড্রুয়েড বা স্মার্টফোন নিরাপদে রাখতে আপনার অব্যবহৃত অ্যাপ আনইস্টল করে রাখুন।যদি এমন হয় আপনি একটি অ্যাপস ব্যবহার করেন না, কিন্তু অ্যাপটি ইনস্টল থাকে। তবে, ফোন নিরাপদে রাখতে আগে অ্যাপটি আনইস্টল করে নিন।

কারন বিভিন্ন অ্যাপ আপনার ডিভাইসে অনেক সময় বিভিন্ন কারনে আপনার কাছে পারমিশন চায়।

আপনার ফোনে যত কম অ্যাপ ইনস্টল থাকবে তত আপনার ফোন হ্যাক হওয়া থেকে নিরাপদে থাকবে।

৫/ ফোন রুট করবেন না।

আপনার স্মার্টফোন নিরাপদে রাখতে কখনও রোটিং করবেন না।কারন স্মার্টফোন রোটিং করার অর্থ হলো অপারেটিং সিস্টেম আনলক করা। 

এসব করবেন না কারন এগুলো করে আপনি নিজেই নিজের অজান্তে আপনার সমস্ত তথ্য হ্যাকার দের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

ফোন রোটিং করলে আপনার ফোনে অনেক ধরনের ম্যালওয়্যার আক্রমন করতে পারে। তাই, আপনার স্মার্ট ফোন নিরাপদে রাখতে কখনও ফোনে রোটিং করবেন  না।

৬/ ডিভাইস থেকে অ্যাপস লক করে রাখুন।

আপনার স্মার্টফোন নিরাপদে রাখতে আপনার ডিভাইসে থাকা অ্যাপস গুলো লক করে রাখুন।বিষেশ করে মোবাইল ওয়ালেট এবং অনলাইন শপিং অ্যাপ গুলো শক্ত পাসওয়্যার্ড দিয়ে অ্যাপস লক করে রাখুন।

আপনার ডিভাইসের নিরাপত্তার জন্য গুগোল প্লেস্টুর থেকে আপনি চাইলে অ্যাপ লক ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।এধরনের অ্যাপ লক ডাউনলোড করে আপনি অ্যাপ নিরাপদে রাখতে শক্তিশালী পাসওয়্যার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

৭/ ব্লুটুথ সেটিং খুব ভালোকরে কনফিগার করুন।

আপনার স্মার্টফোন নিরাপদে রাখতে ব্লুটুথ সেটিং খুব ভালো করে নিশ্চিত করুন।আর এটি করার জন্য প্রথমেই আপনার ডিভাইসটি নন-ডিসকভারেবল করুন।

কারন হলো যদি আপনার ফোনে সবসময় ব্লুটুথ ভিজিবল থাকে তবে সহজেই হ্যাকাররা আপনার ফোন সহজেই হ্যাক করে নিতে পারবে।

তাই সব সময় ব্লুটুথ ব্যবহার করা শেষে ব্লুটুথ অফ করে রাখুন।

৮/ অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ ডাউনলোড করুন।

আপনার স্মার্টফোন নিরাপদে রাখার জন্য ফোনে অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখুন।তবে, অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে অ্যাপসটির রেটিং সর্ম্পকে জেনে নিন।

অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ ডাউনলোড করা থাকলে এটি আপনার ফোনকে হ্যাকারদের হাত থেকে নিরাপদে রাখতে সাহায্য করবে। তাই নতুন বা পুড়াতন যেকোন ফোনেই আগে থেকে অ্যান্টি ভাইরাস অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখুন।

আর যতটা সম্ভব পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।আর এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন যেন আপনার ফোনে অটোমেটিক কোন ওয়াই কানেক্ট না হয়।

আবার নিজের ঘরে যদি ওয়াইফাই থাকে তবে এটা নিশ্চিত করুন যেন এই ওয়াইফাই আপনি এবং আপনার পরিবারের লোকজন ছাড়া যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে।

তাই ওয়াইফাই ব্যবহার করা শেষ হয়েগেলে ফোনের ওয়াইফই আফ করে রাখুন।আর তাই নিজের বাড়ির ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ও নিরাপদে রাখুন।

উপসংহার:-

ত প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা এন্ড্রুয়েড বা স্মার্টফোন হ্যাকারদের হাতে থেকে নিরাপদে ৮টি উপায় নিয়ে।

আসা করছি আপনারা ও এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন। এবং উপরোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনারাও আপনাদের ফোন নিরাপদে রাখতে পারবেন।

আর আপনাদের যদি আমার পোষ্ট সর্ম্পকে কোন প্রশ্ন থাকে তবে অব্যশই নিচে কমেন্ট করে আমাকে জানিয়ে দেবেন। আমি ইনশাআল্লাহ আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

ত আজ এই পর্যন্তই সবাই অনেক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবে,নিরাপদে থাকবেন।আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

আর আমার পোষ্টটি এতক্ষন ধৈর্য ধরে মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্যা ধন্যবাদ।

আল্লাহ হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

আস্সালামু আলাইকুম, আমি জহুরা। বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাস করছি। এবং পাশাপাশি একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করছি।