টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২৩

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২৩: বর্তমান সময়ে আমরা সকলে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি প্রত্যেকের হাতে অবশ্যই একটি স্মার্টফোন রয়েছে আর তাই আমরা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ খুঁজে বেড়াই।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আমরা এ কারণেই এসব অ্যাপ্লিকেশন খুজে থাকি যেন ছোট ছোট কাজ করে এই এন্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারি।

এ সকল অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে বিশেষ ধরনের সুবিধা রয়েছে। এ সকল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে অনলাইনে আয় করতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন অনলাইনে আয় করার অ্যাপ গুলো থেকে টাকা উপার্জন করার পর উক্ত টাকা আমি কিভাবে উত্তোলন করব?

তাদের উদ্দেশ্যে বলছি! যেনারা এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে কাজ করে অনলাইনে টাকা উপার্জন করে, তারা বিভিন্ন ব্যাংক ট্রানস্ফার, পেপাল, মোবাইল রিচার্জ কিংবা অন্যান্য মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে অর্থ হাতে পেয়ে থাকেন।

আপনি যদি গুগল প্লে স্টোরে সার্চ করেন টাকা ইনকাম করার অ্যাপ্লিকেশন লিখে, তাহলে দেখবেন খুব সহজেই অনেকগুলো অনলাইন ইনকাম করার অ্যাপ্লিকেশন আপনার সামনে চলে আসবে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এইসব অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যে এসব করল বিশ্বাসযোগ্য নয়।

অ্যাপ্লিকেশন গুলোর মধ্যে অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যারা শুধুমাত্র ইউজারদের দ্বারা কাজ করে নেয় কিন্তু কাজের টাকা দেয় না। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।

আর তা না হলে অনলাইনে ইনকাম করার অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখানে কাজ করা বৃথা হয়ে যাবে।
ধৈর্য হারাবেন না।

এমন নয় যে অনলাইনে ইনকাম করার অ্যাপ্লিকেশন সবগুলোই খারাপ। অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যারা ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে আপনাকে পেমেন্ট করবে।

এবং এমন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যে অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে কাজ করলে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

এমনকি বাংলাদেশের যতগুলো পেমেন্ট গেটওয়ে রয়েছে আপনি চাইলে ব্যাংক ট্রান্সফার সহ অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়েতে আপনার উপার্জনকৃত টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২৩

আমি আগেই বলেছি যারা গুগলে অথবা প্লে স্টোরে সার্চ করেন টাকা ইনকাম করার অ্যাপ লিখে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানেন না ফ্রিল্যান্সিং জানেন না শুধুমাত্র এন্ড্রয়েড ফোন টা ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারেন।

কিন্তু তাদের অনেক শখ তারা অনলাইন থেকে ইনকাম করবে তাও আবার এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়েই। এজন্য অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২৩ লিখে।

তো বন্ধুরা শুধুমাত্র আপনার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে ইন্টারনেট জগতে থাকা সবচেয়ে ব্যাপক ব্যবহৃত দশটি অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

যে অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে দশটি টাকা আয় করার অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পকেট মানি অ্যাপ ( Pocket Money App 2023)

বাংলাদেশের মধ্যে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ যতগুলো রয়েছে তার মধ্যে পকেট মানি অ্যাপ সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত।

আমার জানা মতে অনেক বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজন রয়েছে যারা বর্তমানে এই অ্যাপ্লিকেশনে কাজ করে এখান থেকে ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারছে।

এবং সবচেয়ে মজার বিষয় হলো পকেটমানি অ্যাপ্লিকেশনে একটি বড় ধরনের কমিউনিটি রয়েছে। যদি আপনার পেমেন্ট নিয়ে তারা কোন ধরনের দুর্নীতি করে তাহলে আপনি চাইলে তাদের কমিউনিটি ফোরাম এ রিপোর্ট করতে পারেন।

আর যেহেতু তাদের কমিউনিটি ফোরাম অনেক বড় তাই তাদের কাস্টমার হারানোর ভয় থেকেই থাকে এজন্য তারা চাইলেও আপনার পেমেন্ট নিয়ে কোন ধরনের দুর্নীতি করবে না।

এখন পর্যন্ত শুনিনি এই অ্যাপ্লিকেশনটি কাজ করার বিনিময়ে টাকা প্রদান করে নি। তাই আপনি চাইলে পকেটমানি অ্যাপ্লিকেশনটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে এখানে কাজ করতে পারেন।

পকেট মানি অ্যাপ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যারা এই অ্যাপ্লিকেশনের কাজ করে তারা তাদের আয়কৃত টাকা কত সহজেই যে কোন পেমেন্ট গেটওয়েতে উত্তোলন করতে পারে।

এছাড়াও আপনি চাইলে এই অ্যাপ্লিকেশনটির জনপ্রিয়তা কেমন রয়েছে তা প্লে স্টোরে গিয়ে পকেট মানি অ্যাপ্লিকেশন লিখে সার্চ করতে পারেন। এবং অ্যাপ্লিকেশনের ডিটেলসে রিভিউ এবং রেটিং দেখে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন।

Pocket Money App থেকে কিভাবে আয় করব?

আপনি চাইলে পকেট মানি অ্যাপ থেকে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার মাধ্যমে পকেট মানি অ্যাপস থেকে আয় করতে পারবেন

এই অ্যাপ্লিকেশনে আপনার মন মত যে কোন গেম খেলে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আপনার বন্ধু এবং আত্মীয় পরিজনদের কাছে এই অ্যাপ্লিকেশনটির রেফারেল করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

অ্যাপ্লিকেশনে অনেক ভালোবাসা হারাবে কাজ রয়েছে, সার্ভে গুলো করেও আপনি পকেট মানি থেকে আয় করতে পারবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

আপনার উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি যে, আপনি যদি অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান এবং দীর্ঘমেয়াদিভাবে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই hard-working এবং যোগ্যতা অর্জন করার মনোভাব থাকতে হবে।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কথা চিন্তা করলে আপনি অনলাইন ক্যারিয়ারে বেশিদূর এগোতে পারবেন না তবে হয়তো আপনার ছোট চাহিদা পূরণ হবে

পল পে (Poll Pay) থেকে ইনকাম।

আমার অনেক বন্ধু সকল রয়েছেন যারা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের সার্ভে পূরণ করতে খুব পছন্দ এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তাদের জন্য Poll Pay অ্যাপ্লিকেশনটি দারুন একটি সুযোগ হতে পারে।

পূর্বের ন্যায় এই অ্যাপ্লিকেশনটি অনেক বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয়। আপনি চাইলে প্লে স্টোরে এই অ্যাপ্লিকেশনটির রিভিউ এবং পর্যালোচনা দেখে ইন্সটল করে কাজ শুরু করতে পারেন।

Poll Pay থেকে কিভাবে আয় করবেন?

অন্যান্য অনলাইনে ইনকাম করার অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মত এটিতেও কিছু ছোট ছোট এবং সহজ কাজ রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়েই আয় করতে পারবেন।

কিছু নির্দিষ্ট ছোট ছোট ছাড়বে পূরণ করার মাধ্যমে এই ওয়েব সাইট থেকে আয় করতে পারবেন।

প্রতিদিন এখানে অনেকগুলো টাস্ক দেয়া হয় যেগুলো কমপ্লিট করলে আপনি এখান থেকে আয় করতে পারবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ “পল পে” অ্যাপ্লিকেশনের যারা টাকা উপার্জন করতে চান, আপনাদের আয়কৃত টাকা বাংলাদেশী কোন পেমেন্ট গেটওয়ে তে নিতে পারবেন না।

Poll Pay থেকে পেমেন্ট নিতে হলে আপনাকে পেটিএম কার্ড, আমাজন গিফট কার্ড এবং ভিন্ন ধরনের কুপন ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে হবে।

মিশু অ্যাপ(Meesho app) থেকে টাকা আয়

শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় পুরো পৃথিবী জুড়ে যে কোন প্রোডাক্ট রেসেলিং করার মাধ্যমে এই অ্যাপ্লিকেশন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। এই অ্যাপ্লিকেশনটি অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত কাজ করে।

সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলছি! যখন আপনি এই অ্যাপ্লিকেশনের রেজিস্ট্রেশন করবেন, পরে এই অ্যাপ্লিকেশনের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলো আপনাকে লিংক আকারে দেয়া হবে।

আর আপনি অন্য সকল প্রোডাক্ট এর লিংক গুলো আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট কিংবা আপনার নিজস্ব ব্লগ অথবা ওয়েবসাইটে দিতে পারেন।

যখন কোন ব্যক্তি ওই প্রোডাক্ট এর লিংকে প্রবেশ করে প্রোডাক্টটি ক্রয় করবে তখন আপনি ওই বিক্রয় ঢাকা থেকে কিছু অংশ কমিশন পাবেন।

এক্ষেত্রে বিক্রয়ের কোন লিমিটেশন না থাকায় আপনি যত প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন আপনার ইনকাম ততই বৃদ্ধি হতে থাকবে।

যেহেতু এই অ্যাপ্লিকেশনটি অনেকদিন ধরে মার্কেটপ্লেসে রয়েছে তাই ধরে নিতে পারেন এটি একটি বিশ্বস্ত অ্যাপ্লিকেশন। এবং এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আমার অনেক বন্ধু মাসের 25 থেকে 30 হাজার টাকা আয় করছেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ