আস্সালামু আলাইকুম।আশা করছি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছেন। বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন একটি যেমন উপকারী যন্ত্র। তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর অপব্যবহার অনেক ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশুদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বর্তমানে শিশুরা মোবাইল ফোন , বিশেষ করে স্মার্ট ফোনের প্রতি বেশী আসক্ত হয়ে পড়ছে।আর এই মোবাইল ফোনের আসক্তির ফলে শিশুদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
শিশুরা কিভাবে মোবাইল ফোনে আসক্ত হচ্ছে :আমরা প্রত্যেকেই খুব ভালোভাবেই জানি যে, শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। তারা যা দেখে তাই শিখে ফেলে। বিশেষ করে বাবা-মা পরিবারের লোকজনকে বেশি অনকরণ করে। তারা কি করে ,কি খায়, কি পড়ে, তাদের লাইফস্টাইল কেমন,তাদের চলাফেরা কেমন, তারা নিজেরাও মোবাইল ফোন এ বেশিক্ষণ থাকে কিনা। ঠিক এভাবেই এই সমস্ত কিছু অনসরণ করে শিশুরা মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হচ্ছে।
শিশুদের কে মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে বের করার উপায়:
শিশুদের কে এই মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে বের করতে চাইলে শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখা খুব প্রয়োজন। পরিবারের অভিবাবকদের যে সমস্ত উপায় অবলম্বন করে মোইল ফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব ,তা নিম্নরুপ:
1) সময় দেওয়া: একটি পরিবার কে স্বচ্ছলভাবে টিকিয়ে রাখতে কে না চায়। জীবন এবং জীবিকার তাগিদে সকলেই চাকুরী কিংবা ব্যবসা এর সাথে জড়িত রাখে নিজেকে। তাই পরিবারের বাবা-মা ব্যস্ত সময় পার করে। শত ব্যস্তথার মাঝেও শিশুদের জন্য আলাদা করে সময় বের করতে হবে। তাদের কে সময় দিতে হবে।
2) খেলাধুলা তে উৎসাহ প্রদান: একটি শিশুকে জন্মের পর থেকেই পরিবার যেভাবে বড় করবে ,সে সেভাবেই বড় হতে থাকবে। এই মোবাইল এর আসক্তি থেকে শিশুদের নিরাপদে রাখতে হলে, শিশুকে খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ প্রদান করতে হবে।বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার মাধ্যমে তাকে আনন্দে রাখতে হবে।
3) পড়াশুনা: একটি শিশুর পরিবারই হচ্ছে প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই প্রাথমিক পড়াশুনা টা তার পরিবার থেকেই শুরু হয়। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যদি পরিবার শিশুকে ঠিকভাবে পড়াশুনার দিকে ধাবিত করে তাহলে এই মোবাইল ফোন থেকে শিুদের দুরে রাখা সম্ভব হবে।
4) ঘুড়তে বের হওয়া: শিশুরা ঘুড়তে অনেক পছন্দ করে। তাই মন খারাপ থাকতে মোবাইল হাতে ধরিয়ে না দিয়ে মিশুকে নিয়ে ঘুরতে বের হন।মোবাইল এর আসক্তি কমে যাবে।ঘুরতে বের হলে শিশুরা হাসিখুশি থাকে।
5) স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেওয়া: শিশুরা সহজেই খেতে চায়না। অনেক কৌশলে শিশুকে খঅওয়াতে হয়। আর খিদা লাগলেও সহজে শিশুরা বলতে চায়না। বাহিরের খাবারের প্রতি শিশুদের আকর্ষণ টা বেশি থাকে।বাহিরের খাবার না দিয়ে ঘরের বানানো স্বাস্থসম্মত খঅবার শিশুকে খাওয়ালে এতে করে তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। মেজাজ ভালো থাকবে। পরিবার এর কথা শুনবে।অনেক শিশুরা মোবিইল দেখে খাওয়ার অভ্যস তৈরী করে। এই অভ্যাস বাদ দিয়ে শিশুকে অন্য কৌশলে খাবার খাওয়াতে হবে।
6) গল্প করা: যুগের পর যুগ দেখে আসতেছি বাড়ির বয়স্করা থেকে শুরু করে অবিভাবকরা শিশুদের গল্প শোনাতেন। শিশুরাও গল্প শুনে মজা পায়।শিশুদের আনন্দে রাখতে তাদের সাথে গল্প করলে মোবা্েলি ফোনের আসক্তি থেকে শিশুদের মুক্তি দেওয়া যাবে।
7) প্রকৃতির ছোয়া দেওয়া: মাঝে প্রকৃতির সাথে শিশুদের পরিচিতি করাতে হবে। চিরত্তন সবুজ প্রকৃতি মনকে প্রফুল্ল রাখে । শিশুরাও প্রকৃতি ভালোভাবে। বেশির ভাগ শিশুরা শহরের বড় বড় দালানকোঠাতে আটকা পড়ে থাকে। তাই তারা বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোনকে বেচে নেয়। যাহা শিশুর জন্য ক্ষতিকর। এই ক্ষতি থেকে শিশুদের মেুক্তি দিকত হলে শিশুদের প্রকৃতির কাছে প্রকৃতির ছোয়া দিতে হবে।
8) অবিভাবকদের সচেতন হওয়া: একটি শিশুর ভালো-মন্দ সব নির্ভর করে অবিভাবকদের সচেতন এর উপর। অবিভাবকরা যদি সচেতন হন। তাহলে শিশুরা ভালোভাবে বেড়ে ওঠতে পারে। শিশূদের ভালো মন্দ এর দিকে খেয়অল রাখলে শিশুকে মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি দেওয়অ সম্ভব হবে।
আমরা জানি , যেহেতু শিশুরা অনুকরণপ্রিয় তাই মিশুদের কে সবসময় চোখে চোখে রাখতে হবে। শিুদের কে সময় দিতে হবে। আর বর্ত
মানে মোবাইল ফোন আসক্তি সকল বয়সের লোকের মাঝে পরিলক্ষিত হচ্ছে ।এই আসক্তিতে শিশুদের কে বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই শিশুদের কে ওনিরাপদে রাখতে হলে। ভয়ানক মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে রক্ষা পেতে সবসময় সচেতন হতে হবে। উপরিক্ত ্পায় গুলো কাজে লাগিয়ে শিশুদের কে খেয়াল রাখা যেতে পারে। পরিশেষে সকল শিশুরা ভালেঅ থাকুক।তাদের সময় ভালো কাটুক।
ধন্যবাদ
মোছাঃ শারমিন আক্তার সোনিয়া
Jihad
কার্টুন
হে
১৫ বয়সে নিচে মোবাইল ফোন দেওয়া ঠিক না
গেমস খেলে খারাপ হয়ে যায়
You must be logged in to post a comment.