আপনি যদি সকালে উঠে খুব বেশি অলসতা অনুভব করেন কিংবা আপনার রাতের ঘুম ভালো হয়নি অথবা আপনি আপনার শরীর এবং মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা আরো বাড়াতে চান তাহলে আপনি দুপুর বেলায় খাওয়ার পর এক ঘন্টার মতো ঘুমাতে পারেন।
গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে আপনি যদি দিনের বেলায় ১ ঘন্টা কিংবা আধা ঘণ্টা ঘুমান তাহলে আপনার উৎপাদনশীলতা বা কার্যক্ষমতা আগের থেকে অনেকটা বেড়ে যায় এবং যেকোনো কাজ করার জন্য আপনার শরীর বেশি পরিমাণে শক্তি উৎপাদন করে। দুপুরে ঘুমানোর ফলে আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো বেশি সক্রিয় হয়ে যায়। ফলে আপনি অন্যান্যদের তুলনায় বেশি পরিমাণে কাজ করতে পারবেন।
আপনার যদি কখনো মনমরা ভাব থাকে কিংবা ভালো না লাগে তাহলে ভালোলাগার জন্য আপনি আপনার ঘরকে গুছিয়ে নিতে পারেন। গবেষণায় এটি দেখা গেছে যে আপনি যখন আপনার ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে সবকিছু গুছিয়ে রাখেন তখন আপনার পরিচ্ছন্ন ও গোছানো জিনিস দেখে মানসিকভাবে উৎফুল্ল অনুভব হয়। এর কারণ তখন আপনার মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক কেমিক্যাল নিঃসৃত হয়।
যদি আপনার কখনো রাত্রে বেলায় ঘুম না আসে এবং আপনি ঘুমানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছেন কিন্তু আপনার ঘুম আসছে না তাহলে আপনি জোরে জোরে গভীরভাবে কয়েকবার নিশ্বাস নিন এবং নিশ্বাস নিয়ে সাথে সাথেই ছেড়ে দেবেন না।
আপনি যতক্ষণ আপনার নিশ্বাসকে আটকে রাখতে পারেন ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্বাস আটকে রেখে আবার ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন। এটা করার ফলে আমাদের শরীরে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছে আর তাই শরীর অনেকটা রিলাক্স হয়ে আসে।
মনে করুন আপনি ঘুমানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছেন কিন্তু ঘুমাতে পারছেন না। বার বার ঘড়ি দেখছেন আর ভাবছেন অনেক সময় হয়ে গেল আর অনেক রাত হয়ে গেল কিন্তু আপনার ঘুম আসছে না। আসলে আপনি ঘুমোবার চেষ্টা করছেন বলেই আপনি ঘুমাতে পারছেন না।
ঘুমাবার সময় আপনি যদি তাড়াহুড়ো করে ঘুমোতে যান তাহলে হবে না। কারণ এরকম করলে মস্তিষ্ক ব্যস্ত থাকে আর নানা ধরনের চিন্তা আসতে থাকে। এমন না করে বরং উপর্যুক্ত ট্রিক্স কাজে লাগান।
আপনি যখন কারো সাথে কথা বলার সময় একটু পরপর অ্যা, উম ইত্যাদি শব্দ করেন তাহলে আপনার সামনের শ্রোতা মনে করে আপনি মিথ্যে কথা বলছেন। আর আপনি কোন মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার সময় যদি এরকম করেন তাহলে সবাই ভাববে আপনি নার্ভাস হয়ে পড়েছেন কিংবা ভুলে গেছেন অথবা আপনি আত্মবিশ্বাসী নন।
এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট যে আপনি কারো সাথে কথা বলার সময় এরকম করলে সে আপনাকে বিশ্বাস নাও করতে পারে কিংবা এতোটা সিরিয়াসলি নাও নিতে পারে। তাই কথা বলার সময় অস্পস্ট কিছু না বলে কিংবা অ্যা, উমম ইত্যাদি শব্দ না করে একটু চুপ করে থাকুন।
সামান্য চুপ করে থেকে তারপরে আবার বলুন। এতে এক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার ব্রেইন আপনাকে তৈরি করে নেবে যে এর পরে আপনি কি বলবেন। ফলে আপনাকে আর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবেনা।
আপনি যখনই কারো সাথে হ্যান্ডশেক করবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন আপনার হাত যেন গরম থাকে। কারণ আপনার হাত যখন গরম থাকে আর তখন যদি আপনি কোন ব্যাক্তির সাথে হাত মেলান তাহলে আপনি তার নজরে অনেক বেশি ইতিবাচক হয় উঠেন। এটি সাইকোলজিক্যালি প্রমাণিত।
মনে করুন আপনি কিছু ভুলে গেছেন আর এখন আপনি সেটা মনে করতে চান কিন্তু মনে করতে পারছেন না। কথাটা আপনার পেটে আসছে কিন্তু মুখে আসছে না তখন আপনার হাতটি মুঠো করে ফেলুন এবং আবার ছেড়ে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ করলে সম্ভাবনা থাকে যে আপনি যেটা মনে করতে পারছেন না সেটা মনে পড়বে।
আপনি যদি কোথাও সাক্ষাৎকারে যান কিংবা যদি এমন কারো সাথে দেখা করতে চান যার সাথে আপনার কোন দিন পরিচয় হয়নি অথবা এর আগে আপনি তার বা তাদের সাথে কোনোদিন কোনো কথা বলেননি কিংবা দেখেননি তবে তাদের সাথে দেখা করার আগে আপনি নিজেকে বলুন যে আমি এদেরকে অনেকদিন থেকে জানি এবং অনেক দিন থেকে আমি তাদের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সময় পাইনি।
আজ সময় পেয়েছি তাই আমি তাদের সাথে দেখা করার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী এবং উত্তেজিত। এভাবে চিন্তা করলে আপনার মস্তিস্ক তাদেরকে নিয়ে একটা ইতিবাচক ধারনা তৈরি করবে। আর আপনি যদি ভয় পেয়ে থাকেন আপনার ভয় কমে যাবে কিংবা চেনার ভান করলেও নার্ভাসনেস অনেকটা কমে যাবে।
আজ এ পর্যন্তই। সবাইকে ধন্যবাদ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
You must be logged in to post a comment.