পাথর কুচি পাতা চিকিৎসা বিঙ্গানিদের গবেষনায় ওঠে এসেছে যে, এই পাতা রয়েছে বহু ওষধি গুনাগুন। পাথর কুচি পাতা অতি পরিচিত একটি ঔষধি উদ্ভিদ। পাথর থেকে গাছ হয় এমনি এক আশ্চর্য গাছের নাম পাথর কুচি পাতা। মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে প্রতিরোধ করে থাকে। চিকিৎসা বিঙ্গানিদের যেসব ওষধি গাছ প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে তার মধ্যে পাথর কুচি পাতা অন্যতম। এ
টি দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। পাতা মাংসল ও মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতন। চার পাশে আছে ছোটো ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়। অনেক সময় গাছের বয়স হলে ওই গাছের খাঁজ থেকে চারা গোজায়। পাথরকুুচি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলে অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। কাঁকর মাটিতে সহজে জন্মে, তবে ভেজাঁ , স্যাঁতস্যাতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে। পাথর কুচি পাতা যে কতভাবে আমাদের শরীরে উপকার করে থাকে তার ইয়ত্তা নেই।
প্রাচীন কাল থেকে এই পাতা ব্যবহার হলে আসছে। প্রাচীন কালের বয়জেষ্ঠ্যরা এই পাতার রস নানা প্রকার রোগের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করতো। তবে চিকিৎসা বিঙ্গানিনা এই পাতা সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ পেয়েছে যে এই পাতা বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসাবে কাজ করে। এই পাতার রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। চলুন যেনে নেওয়া যাক পাথর কুচি পাতার বিশেষ কিছু গুনাগুন ও উপকারিতা।
ত্বকের যত্নে:
পাথর কুুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে জ্বালা-পোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে। যারা ত্বক সম্বন্ধে অনেক সচেতন তা পাথর কুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুস্কুুড়ি জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
সর্দি সারাতে:
অনেকদিন ধরে যারা সর্দি সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পাথর কুচি পাতা অমৃতস্বরুপ। পাথর কুচি পাতার রস একটু গরম করে খেলে সর্দির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কলেরা ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথর কুচি পাতা:
কলেরা ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথার কুচি পাতার জুড়ি নেই। ৩ মি:লি পাথর কুচি পাতার জুসের সাথে ৩ গ্রাম জিরা এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পর্যন্ত খেলে এসব রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।
ক্ষত স্থান সারাতে:
পাথর কুচি পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে ক্ষত স্থান পরিস্কার করলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায়। পাথরকুচি পাতা বেটেও কাটা স্থানে লাগাতে পারেন তাতেও অনেক উপশম হবে।
পেট ফাঁপা:
অনেক সময় দেখা যায় পেট টা ফুলে গেছে, প্রসাব আটকে আছে, আধোবায়ু সরছে না, সেক্ষেত্রে একটু চিনির সাথে এক বা দুই চা-চামচ পাথর কুচি পাতার রস গরম করে সিকি কাপ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এর দ্বারা মূত্র তরল হবে. আধোবায়ুর নিঃসরণ হবে, পেট ফাঁপা টা ও কমে যাবে।
জন্ডিস নিরাময়ে:
লিভারের যেকোন সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথর কুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী। এর রসেও উপকার হতে পারে।
মেহ:
সর্দি জনিত কারণে শরীরে নানা স্থানে ফোঁড়া হলে ব্যাথা হয়। যাকে মেহ বলা হয়। এক্ষেত্রে পাথরকুচির পাতার রস এক-চামচ করে সকলে বিকালে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
মৃগী রোগ:
রোগাক্রান্ত সময়ে পাথর কুচি পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। রস টা যদি পেটে যায় তাহলে দ্রুত উপশম হতে শুরু করবে।
কিডনির পাথর অপসারণে:
পাথর কুচি পাতা কিডনি এবং গলব্লাডারে পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুই বার ২ থেকে ৩টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান উপকার পাবেন।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:
আমরা তো জানলাম যে পাথরকুচি পাতার অনেক উপকারিতা। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে এবং মূত্রথলি সমস্যা সমাধানে পাথর কুচি পাতার তুলনা হয় না। চির তরে মুক্তি দিতে পারে এই পাতা মূত্রথলির সমস্যা থেকে।
বিষাক্ত পকায় কামড়ালে:
বিষাক্ত পকায় কামড়ালে এই পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পাইলস ও অর্শ রোগ:
পাথর কুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
You must be logged in to post a comment.