এখন পার্ট টাইম জব এর কথা উঠলেই যে কাজটির নাম আগে আসবে সেটি হচ্ছে ইন্টারনেট। শুধু পার্ট টাইম না ফুল টাইম হিসেবে ও এটি অনেক দিনের পর দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আপনার ও যদি অনলাইনে ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে তাহলে করতে পারেন অনলাইনে ইনকাম করা খুব কঠিন কাজ না ৷
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক ইনকাম তো করেন কিন্তু, টাকা উঠাতে পারেন না। এটা কোন কথা হলো বলুন তো এতদিন কাজ করলেন অথচ কোন টাকা হাতে পাবেন না। এভাবে চললে যে কারোরই অনলাইনে ইনকামের প্রতি অনিহা তৈরি হবে।
শেষে দেখবেন আপনার অনলাইনে ইনকাম করাই হলো না। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য কিছু কজ করতে হবে। এই কাজগুলো আগে করুন তারপর অনলাইনে ইনকাম করতে শুরু করুন। নয়তো শেষে দেখা যাবে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পেরেছেন ঠিকই কিন্তু সে টাকা আপনার হাত পর্যন্ত পোছালো না।
আপনি যে সাইটে কা করুন না থাকেন সে সাইটে পেমেন্ট এর জন্য এটি ব্যবস্থা থাকবে৷ সেই পেমেন্ট সিস্টেমে আপনি টাকা পেলে পেলেন কি পেলেন না এটা তাদের দেখার বিষয় না।
তার জন্য আপনাকে আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে এই পেমেন্ট সিস্টেমে টাকা পাবেনকি না। যদি এই পেমেন্ট সিস্টেমে কিভাবে কি করতে হয় তা আপনার জানা থাকে তাহলে সেখানে কাজ করুন, আর যদি জানা না থাকে তাহলে সেখানে কাজ না করে অন্য কোন সাইটে কা করুন। কিছু জনপ্রিয় পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো ।
বিকাশ কিংবা নগদ পেমেন্ট
এটি হচ্ছে আপনাদের জন্য সবচেয়ে সহজ পেমেন্ট ব্যবস্থা। এর চেয়ে সহজ পেমেন্ট ব্যবস্থা আমাদের জন্য আর হয় না। আপনি যদি বিকাশে কিংবা নগদে পেমেন্ট নিতে চান তাহলে আপনাকে দেশি সাইট গুলোতে কাজ করতে হবে। দেশি সাইট গুলোতে কাজ করলে আপনি আপনার টাকা বিকাশে কিংবা নগদে পেয়ে যাবেন।
এই দেশী সাইট গুলোতে পেমেন্ট সিস্টেম সহজ থাকলেও দুটো সমস্যা দেখা যায় এই সমস্যা দুটোর জন্য অনেকে দেশি সাইট গুলোতে কাজ করতে চায় না। সে সমস্যা দুটির মধ্যে একটি হচ্ছে কাজ খুব কম। এখানে কাজের পরিমান অনেক কম৷ বিদেশি সাইট গুলোতে যে পরিমান কাজ পাবেন দেশি সাইট গুলোতে তার চেয়ে অনেক কম কাজ পাবেন।
দ্বিতীয় সমস্যাটি হচ্ছে এই কাজগুলো করে আপনাকে কম টাকা দেয়া হবে। মানে আপনি যে টাকা ইনকাম করবেন সেটার পরিমান বিদেশি সাই গুলোর চেয়ে কম।
আপনি এ দুটি সমস্যা কে নিয়ে দেশি সাইট গুলোতে কাজ করতে চাইলে কাজ করতে পারেন। আমার মতে দেশী সাইট গুলোতেই আগে কাজ শুরু করুন পরে যখন আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে তখন নাহয় বিদেশি সাইট গুলোতে কাজ করবেন ।
ব্যাংক একাউন্ট
এটি ও একটি সহজ মাধ্যম। যেসব ভালো আউটসোর্সিং এর সাইট আছে সেসব সাইটে ব্যাংক একাউন্টে টাকা পেয়ে যাবেন।
পেপাল
এটি হচ্ছে জনপ্রিয়তার দিক থেকে সবচেয়ে উপরে আছে। সবচেয়ে বেশি টাকা আদান -প্রদান করা হয় এটির মাধ্যমে। এবং কি বেশির ভাগ আউটসোর্সিং সাইটে এই মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়া হয়।
এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম এর মধ্যে পড়লেও এটি আমাদের বাংলাদেশে এখনো আসেনি। তাই, যেসব সাইটে পেপাল এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা হয় সেসব সাইটে কাজ করবেন না। করলে আপনি পেমেন্ট নিয়ে সমস্যায় পড়ে যাবেন।
পেপাল এর মাধ্যমে পেমেন্ট নেয়ার একটা ব্যবস্থা আছে। আপনারা চাইলে এই মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারেন। পেপাল আমাদের দেশে না থাকলেও অন্যান্য দেশে আছে। সেসব দেশে যদি আপনার চেনা পরিচিত কেউ থাকে তাহলে আপনি তাকে বলবেন তার একটা পেপাল একাউন্ট তৈরি করে নিতে। তারপর, আপনি যখন টাকা উঠাবেন তখন তার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবেন।
সে ব্যাক্তি টাকা পেয়ে আপনাকে সেই টাকা ব্যাংকে কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে পাঠিয়ে দেবে। এই ভাবে আপনি আপনার টাকা হাতে পেয়ে যাবেন।
যাদের অন্য দেশে কোন চেনা পরিচিত কেউ নেই তাদের জন্য যেসব সাইটে পেপাল পেমেন্ট করে সেসব সাইটে না যাওয়াই ভালো হবে।
এমন কিছু সাইট আছে যেসব সাইটে পেপাল এর সাথে অন্যান্য পেমেন্ট মাধ্যম আছে আপনারা সেখানে কাজ করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই।
যারা নতুন কাজ শিখছেন তাদের জন্য একটি সুখবর আমাদের দেশে খুব শ্রীঘই পেপাল আসছে। আপনাদের জন্য পেমেন্ট নেয়া টা খুবই সহজ হয়ে যাবে। এখন কার মতো সমস্যায় পড়তে হবে না।
পেওনিয়ার
অনলাইনে ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নেয়ার জন্য আরও একটি মাধ্যম হচ্ছে পেওনিয়ার। অনেক সাইটে এটির মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে। আপনারা কাজ করে টাকা পেওনিয়ার একাউন্টে নিয়ে আসতে পারেন। সেখান থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারেন।
এটি আমাদের বাংলাদেশে আছে। তাই যেসব সাইটে পেওনিয়ার এ পেমেন্ট করে আপনি সেসব সাইটে কাজ শুরু করে দিন। আপনাকে পেমেন্ট নিয়ে কোন সমস্যায় পড়তে হবে না।
এগুলো হচ্ছে পেমেন্ট নেয়ার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনাদের মধ্যে অনেক আছে যারা পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারেন না। তারা ইউটিউবে ভিডিও দেখে পেওনিয়ার একাউন্ট তৈরি করা শিখে নিতে পারেন।
আশা করি এখন আপনারা আর পেমেন্ট নিয়ে সমস্যায় পড়বেন না।
You must be logged in to post a comment.