আমরা আজ প্রগতিশীল বিশ্বের উন্নত সভ্যতার উন্নত মানুষ। আদিম যুগের চিন্তাভাবনা কার্য পরিচালনার পরিবর্তন ও পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে নানান আবর্তন ও বিবর্তনের মাঝখান দিয়ে আমরা হলাম আজ উন্নত সভ্য ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন বিশ্বের মানুষ।
বিগত দিনে পৃথিবীর কোথায় কি ঘটছে কোথায় কি আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, ভৌগলিক অবস্থান আমরা তা কিছুই জানতাম না।
কিন্তু 1973 সালে মটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত মার্টিন কুপার ও জন ফ্রান্সিস মিচেল 2 kg ওজনের একটি মোবাইল ফোন আবিস্কার করেন।
যার নাম ছিল মোটরোলা ডায়না টিএসসি 8000 এক্স ( Dyna TAC 8000X). উনাদের দুজনেই ছিলেন মোবাইল ফোনের উদ্ভাবক।
মোবাইল ফোন সংক্রান্ত:-
মোবাইল ফোন এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে বেতার তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটা গ্রাহকের হ্যান্ডসেট বা সেলুলার ফোন হিসাবে পরিচিত। তাছাড়া এটাকে মুঠোফোন হিসাবে ও দেখা হয়ে থাকে।
এই ফোন 'স্থানান্তরযোগ্য' বা মোবাইল। এই ফোন সহজে যেকোন জায়গায় বহন করা যায় বলে এটাকে "মোবাইল ফোন" নামকরণ করা হয়েছে।
ব্যবহার প্রসারণ:-
1990 সাল থেকে 2021 সালের মধ্যে পৃথিবীব্যপী মোবাইল ফোন ব্যবহার কারীর সংখ্যা 12.4 মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 6 বিলিয়নের বেশি হয়ে গেছে।
আজ তাই সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে মোবাইল ফোনের এত কদর। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় 87% মোবাইলফোন যোগাযোগের আওতায় এসেছে।
নেটওয়ার্ক স্টেশন:-
নেটওয়ার্ক স্টেশন বা আমরা যাকে মোবাইল এন্টিনা বা মোবাইল টাওয়ার বলি। এই টাওয়ার অনেকগুলো সেলে বিভক্ত থাকে।
বেতার তরঙ্গ পরিবাহী সিস্টেমে পরিবেশের চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এই তরঙ্গ,যার ফলে আমরা এই নেটওয়ার্কের এলাকার আওতায় যেখানে থাকি না কেন আমরা বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন জায়গায় সুন্দর যোগাযোগ বিস্তার করতে পারি। যার ফলে মানুষের জীবন জীবিকার প্রশ্নে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের এক অভূতপূর্ব আবিস্কার আমাদের কাছে শ্রেষ্ঠতের দাবি রাখে।
মোবাইল ফোনের স্মার্ট ফোন হিসাবে ব্যবহার:-
আর আজকাল আমরা প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহারে আসক্ত। কারন এই ফোনের এমন এমন দারুণ কার্যকরী সিস্টেম আছে যা ব্যবহারের সুফল আমরা প্রতিনিয়ত উপভোগ করতে পারছি। তাই স্ফার্টফোন আমাদের কাছে এই বর্তমান যুগে এক দামি সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। কেন আমরা এই স্মার্টফোন ব্যবহার করবো।
ব্যবহারের উপযোগিতা:-
স্ফার্ট ফোন ব্যবহারের নানা কারণ জড়িয়ে আছে। আর এই ফোন ব্যবহার করে মানুষ নানা উন্নত পরিসেবা গ্রহন করতে পেরেছে।যা নিচে লিপিবদ্ধ করলাম।
1. সরাসরি দূর থেকেও অন্য ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ সাধন
2. ইমেল ও এসএমএস আদান প্রদান।
3. ইন্টারনেট ব্যবহারযোগ্য।
4. বিভিন্ন গেমস খেলা।
5. ছবি তোলা ও ভিডিও করা ও ডাউনলোড করা।
6. ঘড়ির সময় দেখা।
7. যেকোন ভয়েস রেকর্ডিং করা।
8. বিভিন্ন লেনদেন ও ট্রেন বাসের টিকিট,খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদি বুকিং করা।
9. বিদ্যুৎ ও গ্যাস ইত্যাদির বিল পেমেন্ট করা।
10. বিভিন্ন ওয়েব সাইট বানিয়ে ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত করা।
11.এছাড়াও আরো অনেক অবিশ্বাস্য পরিসেবা এই স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে করা যায়।
শেষ কথা:-
মোবাইল ফোন আমাদের কাছে এক যুগান্তকারী আবিস্কার। মানুষের জীবন যাত্রার প্রয়োজনে এটি এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। আজ আমরা সভ্য দুনিয়ার সভ্য মানুষ।
এই সম্পদ হাতে আসার পর আমাদের জীবন জীবিকার অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। এই পরিসেবা না থাকলে আমরা অনেটা ব্যাকডেটেট পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে থাকতাম।
কিন্তু এই চমৎকার আবিস্কারের সুফল আমাদের জীবনের ধারাবাহিকতা পরিবর্তনশীল সভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিখিয়েছে।
এক কথায় মোবাইল ফোনের আবিস্কার আমাদের জীবনকে এক নতুনত্বের আস্বাদ দিয়ে আমাদের জীবনে নব দিগন্তের সূচনা করেছে।
তাই মোবাইল ফোন আজ সর্বজন প্রিয় এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। আজ আপনারা এই আলোচনায় নিশ্চয়ই মোবাইল ফোন সংক্রান্ত অনেক কিছু তথ্য পেলেন। পরবর্তীকালে নতুন লেখনীতে আবার দেখা হবে। ধন্যবাদ।
You must be logged in to post a comment.