মোবাইল ফোন কিঃ মোবাইল ফোন এটি ছোট আকারের বৈদ্যুতিক ডিভাইস। এতে থাকে কতকগুলো 'সেল''।প্রতিটি সেলে থাকে বেতার' টাওয়ার'।
এ ছারা মোবাইল সেটে থাকে একটি অ্যানটেনা।এগুলোর মাধ্যমে একজনের সাথে আরেক জনের দ্রুত যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হয়।
আবিষ্কারঃ মোবাইল ফোন ব্যাক্তিগতভাবে বা একক চেষ্টায় কেউ আবিষ্কার করেন নি।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এটির উদ্ভাবন শুরু হয় আমেরিকার বিখ্যাত বিঙ্গানী গ্রাহাম বেল প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন।
তার দুই গবেষনা সহকারি ছিলেন রিচার্ড এইচ. ফ্রাংকিয়েল এবং জোয়েল এস. অ্যাঙ্জেল।তারা পরে মোবাইল ফোনের কৌশল বের করেন।আর হাতে ধরা ছোট মোবাইল ফোন তৈরি করেন মার্টিন কুপার ১৯৭৩ সালে
সুবিধাঃ মোবাইল ফোনের অনেক রকম সুবিধা আছে।এর মাধ্যমে দরকার মতো যে কারো সাথে যতক্ষণ খুশি কথা বলা যায়। নেটওয়ার্ক এর সমস্যা হলে টাইপ করে খুদেবার্তা (মেসেজ)পাঠানো যায়।
এটা দিয়ে ছবি তুলা যায় ভিডিওচিত্র ধারন করা যায়,রেডিও শুনা যায়,টিভি দেখা যায়,এমন কি গেমসও খেলা যায়, অনেক রকম হিসাব নিকার করা যায়, ক্যালকুলেটর করার পাশাপাশি এখন এটা দিয়ে ইন্টারনেটের তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
এখনকার দিনে মোবাইল ফোনে কথা বলার পাশাপাশি একে অপরের ছবিও দেখা যায়।আমাদের এই মোবাইল ফোন দিন দিন আরো বেশি উন্নত হয়ে যাচ্ছে। আশা করা যায় যে ভবিষ্যৎতে আরো ভালো ও উন্নত মানে কিছু পেতে পারি।
আবার আমাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে কম্পিউটারের কিছু কিছু কাজও করা যায়। বতমানে আমাদের সবার নজর কারা একটি মাধ্যম যার নাম হলো ছবি এডিট,
আমাদের এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছবিও এডিট করা যায়।
অসুবিধাঃ মোবাইল ফোনের কিছু অসুবিধাও আছে। এটি দিয়ে বেশি সময় কথা বলা ঠিক নয়। তাতে কানের ক্ষতি হয়,ফুসফুস ও হার্টে চাপ বাড়ে।এমনকি মস্তিষ্কেরও (ব্রেইন)ক্ষতি হতে পারে।
তাছারা এটির অপব্যবহারে সময়ের ক্ষতি হয়,পড়াশোনার ক্ষতি হয়, কাজকর্মের ক্ষতি হয়।
মোবাইল ব্যবহার মানুষের ভালোর জন্য, মানুষের উপকারের জন্য। কিন্তু মোবাইলে অপসংস্কৃতি চর্চা বাড়ছে,অনৈতিক বা ক্ষতিকর কাজকর্মের সুযোগ নেওয়া হচ্ছে।
এগুলো অসুস্থ চর্চা। এসব আইন করে বা যেকোনো কৌশল বন্ধ করতে হবে। তহলেই সুস্থ চিন্তা, সুস্থ চর্চা এবং মোবাইলের কল্যাণকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
মোবাইল ফোন আমাদের অনেক কাজ সুবিধা করে দিয়েছে।
বর্তমান সময়ে আমাদের স্কুল কলেজে অনলাইন ক্লাস চলছে যার কারনে আমাদের একটা স্মার্ট ফোনের প্রয়োজন। অনেকে আবার অনলাইন ক্লাস না করে মোবাইল ফোনের বিভিন্ন কাজে আসক্ত হয়ে পড়তেছে
মোবাইল ফোন যেমন আমাদের জিবন সুন্দর করে তুলছে তেমনি কিছু সমস্যার সৃষ্টি করতেছে।
এই সমস্যার সমাধার প্রতিটা ছেলে মেয়ের অভিভাবকের করা উচিৎ।
ছেলে মেয়ের হাতে একটা স্মার্ট ফোন দিয়ে তারা নিশ্চিন্তে থাকে। তারা ভাবে তাদের ছেলে মেয়ে মন দিয়ে পড়াশোনা করতেছে কিন্তু এটা তাদের ভূল ধারনা।
বেশির ভাগ ছেলে মেয়েই মোবাইল ফোনে বিভিন্ন কাজে আসক্ত হয়ে পড়ে
আসুন এবার আমরা জানবো মোবাইল ফোনের কিছু আসক্ত হওয়ার কারণ
১.মোবাইল গেমসঃ মোবাইল গেমস খেলে অনেক ছেলে তাদের সুন্দর জিবন নষ্ট করতেছে। তারা পড়াশোনা না করে বিভিন্ন গেমে আসক্ত হয়ে পড়তেছে।
মোবাইল গেমে আসক্ত হওয়ার কারণে তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা গ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমান সময়ে বহুল জনপ্রিয় গেমস হচ্ছে (Free Fire && PUBG Mobile) .
এইসব Game খেলে অনেক ছাত্র ছাত্রী তাদের পড়াশোনার ক্ষতি করতেছে তাদের জিবন নষ্ট করতেছে।
পড়াশোনা না করে তারা এই সব গেমে মন দিচ্ছে অধিক সময় মোবাইল গেমস খেলার কারণে তাদের চোখের সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে। মোবাইল গেমস একটি মারাত্মক জিনিস।
প্রতিটা বাবা মার উচিৎ নিজেদের ছেলে মেয়েকে এই মোবাইল গেমস খেলার থেকে দুরে রাখা। মোবাইল গেমস একটি সুস্থ ও সুন্দর মস্তিষ্ককে নষ্ট করে দেয়।
২.Facebook: বর্তমান সময়ে অনেক ছেলে মেয়ে এই ফেসবুকে আসক্ত হচ্ছে। ফেসবুকে নিজেকে প্রকাশ করায় ব্যস্ত থাকে।
যে সম তাদের উচিৎ পড়াশোনা করা, সে সময় তারা ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যার ফলে তাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটতেছে।
প্রতিটা বাবা মার উচিৎ তাদের ছেলে মেয়ের হাতে স্মার্ট ফোন না দেওয়া।
বর্তমান সময়ে অনেক ছেলে মেয়ে এই ফেসবুকে অনলাইনে প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়তেছে।
আরো বিভিন্ন ভাবে তারা এই অনলাইনের জগতের সাথে আসক্ত হয়ে পড়তেছে।
৩.বর্তমানে ভিডিও দেখা ও বানানোর জনপ্রিয় app. Tik tok. এই tik tok দেখে অনেক ছাত্র ছাত্রী তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতেছে।
এবং অনেক ছাত্র ছাত্রী ভিডিও বানিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে চায় কিন্তু এতে তাদের ক্ষতিই হয়। এসব না করে তারা যদি পড়াশোনা করতো তাহলে ভবিষ্যতে তারা ভালো কিছু হতে পারতো।
আরো বিভিন্ন ভাবে ছেলে মেয়েরা এই মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়তেছে।
কোনো ছেলে বা মেয়ে যদি একবার এই মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ে তাহলে তাকে এই আসক্তি থেকে মুক্তি দেওয়া খুব কঠিন কাজ।
তাই তারা এই মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ার আগেই বাবা মাকে সতর
হতে হবে।
মোবাইল ফোন নিয়ে ২০টি অবাক করা তথ্য, আপনাদের জানা আছে কী?
প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি হয় ৪৭ বছর আগে। আজ থেকে প্রায় ৪৭ বছর আগে, ১৯৭৩ সালে সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন তৈরি করা হয়,
মোবাইল ফোনটি তৈরি করেন মটোরোলা কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপারতখন সারা বিশ্বে আলোরন ফেলে এই মোবাইল ফোন। তখন অবাক করা বিষয় ছিল এই মোবাইল ফোন।
পারসোনাশ কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইল ফোনের সংখ্যা বেশি।
বর্তমানে পৃথিবীতে ব্যবর্রিত পারসোলান কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইল ফোনের সংখ্যা প্রায় ৫ গুন বেশি।
মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক না পাওয়ার দুশ্চিন্তা কিন্তু একটি রোগ। মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাচ্ছে না, কিংবা যদি নেটওয়ার্ক না পায় তাহলে কী হবে।
এমন দুশ্চিন্তা কি আপনাদের মধ্যে কাজ করে। অনেকের মাথার মধ্যে নেটওয়ার্ক না পাওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা কাজ করে, এটি একটি মানসিক রোগ, এই রোগের নাম হলোঃনোমোফোবিয়া।
ওয়াটারপ্রুফ মোবাইল সবচেয়ে জনপ্রিয়।
আপনারা হয় তো বলবেন যে ওয়াটারপ্রুফ কি?
জবাবঃ ওয়াটারপ্রুফ মোবাইল হচ্ছে একটি পানি নির্বাহক মোবাইল, অথাৎ যে মোবাইল ফোন পানিতে কোনো ক্ষতি হয় না। পানি এই ফোনের কোনো ক্ষতি করতে পারে না।
বর্তমানে জাপানে এই ওয়াটারপ্রুফ মোবাইল ফোনের চাহিদা খুব বেশি।
জাপানে যত মোবাইল ফোন বিক্রি করা হয় তার বেশিরভাগ মোবাইল হচ্ছে ওয়াটারপ্রুফ।
যাতে করে তারা তাদের নিজেদের মোবাইল ফোনটি যেকোনো সময় ব্যবহার করতে পারে।
আমরা রাস্তায় চলাফেরা করার সময় হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয় তখন আমাদের মোবাইল ফোনটি সেফ করেত হয় কিন্তু আমাদের মোবাইল ফোন যদি ওয়াটারপ্রুফ হয়,
তাহলে পানি থেকে আমাদের ফোন সেফ করার দরকার হবে না, এই সুবিধার জন্য অনেকে এই ওয়াটারপ্রুফ মোবাইল পছন্দ করে।
আমাদের সবার সাধের মোবাইল ফোন ১ ফুর উপর থেকে পড়ে গেলেই বুক চিনচিন করে কিন্তু আপনারা কি জানেন মোবাইল ফোন ছুরে ফেলা ফিনল্যান্ডের একটি অফিসিয়াল খেলা।
#আমরা যেই মোবাইল ফোন এত ভালোবাসি,তার ওজন কি আমাদের জানা আছে, বা তার কত ওজন হতে পারে তার কোনো আইডিয়া আছে কী আপনাদের।
#বর্তমানে মোবাইল ফোনের ওজন বেড়েছে প্রায় ৭ গুন।
সর্বপ্রথম মোবাইল ফোনের ওজন ছিল ২.৭ পাউন্ড,বা ১ কেজি ১৪০ গ্রাম প্রায়। যা বর্তমানে ৭ গুন বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ গ্রামে,বর্তমানে স্মার্ট ফোনের চেয়ে ৭ গুন ভারি।
আমাদের মোবাইল ফোনটির মাঝে মাঝে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে।
আমরা যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তারা নিশ্চিয় এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে ভালো ভাবেই জানি।
আবার আমাদের মোবাইলের কিছু সেটিং আছে যা এই সমস্যা গুলো দূর করতে পারে, কিন্তু এ কাজ সবাই করতে পারে না, এই কাজ একজন দক্ষ মোবাইল চালক বা মোবাইল ইঞ্জিনিয়ার করতে পারে।
আমরা তাদের কাছে থেকে সাহায্য নিয়ে মোবাইল ফোনের এই সমস্যা গুলো দূর করতে পারি।
আমাদের মোবাইল ফোনের আরো একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ব্যাটারি চার্জ।
আমাদের স্মার্ট ফোনের প্রায় সবারই এই সমস্যা হয়ে থাকে, ফোন কিনার দুই বছর পর থেকে মোবাইলের ব্যাটারি চার্জ বেশিক্ষণ যায় না।
অনেক মোবাইল ব্যাবহারকারী এই সমস্যায় ভুগছেন।মোবাইলের চার্জ বেশিক্ষণ না যাওয়ার কারণে আমরা আমাদের ইচ্ছা মতো মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারি না।
এর সঠিক কোনো সমাধান নাই,
১. কিন্তু আমরা ফোন রিসেট মেরে ফোনের ডাটা স্টোরেজ হালকা করে ফোনের চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারি।
২.আবার ফোনের ডার্ক মোড অন করে ফোনের চার্জ ধরে থাকতে পারি।
৩.আবার অনেক সময় আমাদের ফোনে কিছু Background app থাকে, যে app গুলো সব সময় সক্রিয় থাকে। আপনি যদি ফোন রেখে দেয় তাও এই app গুলো কাজ করে।
আপনি এই Background app limited করে ফোনের চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেন।
৪.আবার আমাদের ফোনের সেটিংসে যে Power saving mode আছে সেটা অন করেও ফোনের চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারি।
৫. আমরা সবাই ফোনের Adaptive brightness কি সেটা জানি।আমরা আমাদের মোবাইল ফোনের Adaptive brightness কমিয়ে রেখে আমাদের ফোনের চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারি।
৬.আমাদের সব সময় সচেতন থাকতে হবে কেননা, আমরা আমাদের মোবাইল ফোনে Wifi বা Data ব্যবহার করে সেই Wifi বা Data অফ করে ভুলে যাই।
ডাটা বা ওয়াই-ফাই অন থাকার কারণে আমাদের মোবাইলে অতিরিক্ত চার্জ নির্ধারণ করা হয়। তাই এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
আর অধিক সময় ধরে Wifi বা Data চালানো বন্ধ করতে হবে। এসব মিয়ন মানলে আমরা আমাদের মোবাইল ফোনের চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারবো।
মোবাইল ফোনের আরো অনেক সমস্যা হয়ে থাকে,
আগেকার ফোনে এসব সমস্যা সমাধান করা যেতো না আবার নতুন কোনো সেটিংসে যাওয়া যেতো না
কিন্তু বর্তমানে আমাদের মোবাইল ফোনের সেটিংসে Developer Options এ গিয়ে আমাদের মোবাইল ফোন নিজে ইচ্ছা মতো সেটিং করে নিতে পারি।
আগেকার মোবাইল ফোন এই সুযোগ ছিল না কিন্তু বর্তমানে মোবাইল কোম্পানি আমাদের এই সুযোগ দিয়েছে এর ফলে জানা যায় যে আমাদের হাতে স্মার্ট ফোনটি দিন দিন আরো অধিক থেকে অধিক উন্নতি হচ্ছে।
ভবিষ্যৎতে আরো উন্নত মোবাইল ফোন আমাদের মাঝে আসবে আশা করা যায়,
আমার আর্টিকেল টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মজার আর্টিকেল পেতে আমার পরের আর্টিকেলের জন্য অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ।
You must be logged in to post a comment.