স্লো মোবাইল দ্রুত করার কার্যকর পদ্ধতি (ফ্যাক্টরি রিসেট)

তো বন্ধুরা, আপনাদের মোবাইল কি খুবই স্লো হয়ে গেছে?হ্যাং করছে?বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় এপস সমস্যা  করছে? স্টোরেজ ফাকা নেই বা সেটিংসে গড়মিল করপ ফেলেছেন?এখন এসব সমস্যা এর সমাধান করতে চান?তহলে মনোযোগ সহকারে আজকের পোস্ট টি পড়ুন।যদি উপকারে আসে তাহলে শেয়ার করুন বা কমেন্ট করুন।

*ফ্যাক্টরি রিসেট বা ওয়াইপ ডাটা হলো আপনার মোবাইল  বা কম্পিউটার  কেনার সময় যেরকম ছিল সেরকম হয়ে যাওয়া।অনেকেই ফোনের স্পিড বাড়াতে এই কার্যকর  পদ্ধতি ব্যবহার করে।

ফ্যাক্টরি রিসেট দুই প্রকার।

যথা:

১. হার্ড রিসেট

২. সফট রিসেট

আজকের পোস্টে  আমি আপনাদের  সফট ও হার্ড রিসেট সম্পর্কপ বলব পদ্ধতি বা নিয়ম:

ফ্যাক্টরি রিসেট দওয়ার পূর্বে অবশ্যয় আপনার গুরুত্বপূর্ণ  তথ্য এসডি কার্ডে ব্যাক আপ নিন। এবার মেমোরি কার্ড ওসিম কার্ড নিরাপত্তা এর স্বার্থে খুলে ফেলুল।

২. মোবাইল টি ওপেন করুন

৩. সেটিংসে গিয়ে "Backup and Restore " এ ক্লিক করুন।

৪. সবার নিচে "Restore factory setting " এ ক্লিক করুন।

৫. এবার রিসেট ফোনে ক্লিক করুন।

৬. এরপর "Erase everything" এ ক্লিক করুন। একটা নোটিফিকেশন  দেখাবে, ওকে করে দিন।

ব্যাস কাজ শেষ। এখন আপনার ফোনটি নিজে থেকেই পুনরায় চালু হবে। এবার একটি এনড্রয়ের লেগো দেখাবে। কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। এবার মোবাইল টু ওপেন হলে পুনরায় এসডি কার্ড,সিম কার্ড প্রবেশ  করান। এখন পাওয়ার বাটন চেপে ধরে ফোনটি ওপেন করুন। নতুন করে সবকিছু সেটাপ করুন। আপনার  মোবাইল  টি কেনার সময় যেরকম ছিল সেরকম হয়ে যাবে, পুনরুদ্ধার  করতে পারবেন স্টোরেজ, মোবাইল টি হয়ে যাবে সুপার ফাস্ট। সফট রিসেট  দেওয়া হলো।

চলুন এবার হার্ড রিসেট এর নিয়ম দেখি: নিয়ম:

আপনার সকল গুরুত্বপূর্ণ  তথ্য এসডি কার্ডে ব্যাক আপ নিন।তারপর মেমোরি কার্ড ও সিম কার্ড নিরাপত্তা এর স্বার্থে খুলে ফেলুন।

২. এবার ব্যাটারি  লাগিয়ে ভলিউম আপ কী,পাওয়ার কী এবং হোমস্ক্রিন বাটন ৫-৬ সেকেন্ড এর জন্য একসাথে  চেপে ধরুন।

৩. আপনার মোবাইল  এর রিকভারি মোড বুট হবে।মেনু থেকে wipe data/factory  reset  এ ক্লিক করুন।

৪. সিলেক্ট  করার জন্য ভলিউম বাটনগুলো এবং ওকে করতে পাওয়ার বাটন ব্যবহার  করুন।ইয়েস লখাতে ক্লিক করুন।ফিরে এসে reboot phone এ ক্লিক করুন।

ব্যাস হয়ে গেল। এখন আমরা এর উপকারিতা,আপকারিতা সম্পর্কে জানব। উপকারিতা

১। আপনার ফোনের গতি বাড়বে।

২। সেটিংসের ত্রুটি  দূর হবে।

৩। নতুন করে সবকিছু শুরু করতে পারবেন।

৪. বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় এপস ও হ্যাং হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন। অপকারিতা।

সব জিনিসের মতো এরও কিছু অপকারিতা আছে।

১. কোনো কোনো মোবাইল এ সেটিং  রিসেট  হওয়ার পর ফোনে প্রবেশের সময় জিমেইল  চায়।অনেক সময় জিমেইল  দেয়ার পরও ফোন ওপেন হয় না।তবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না, এটি ঠিক করার আনেক উপায় আছে।

২.কিছু কিছু গুরুত্ববহ তথ্য যেগুলি  আপনি ব্যাক আপ নিতে পারবেন না সেগুলি মুছে যাবে।ফোনের সকল এপস এর আপডেট  মুছে যাবে।

৩.হার্ড রিসেটের সময় আপনার ফোন রিকভারি মোডে আটকে যেতে পারে।তবে এরও সমাধান আছে।

 ★ একনজরে দেখে নিন:

shortcut (soft reset):sattings> Backup and restore > restore  factory sattings> reset phone> erase all data> ok

Hard reset: power+ volume up+ home button > wipe data/factory  reset> yes> reboot

এই ছিল আজকের পোস্টে। তবে সকল মোবাইল  এর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি গুলো কাজে নাও আসতে পারে।তবে এই পদ্ধতু অধিকাংশ ব্রান্ড  এর অধিকাংশ মডেলের ওপর কার্যকর ওপরীক্ষিত।দয়া করে পোস্ট  টি শেয়ার করুন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এখান দেখানো পদ্ধতি সকল কোম্পানি  এর সকল মতেলের ওপর কার্যকর  নাও হতে পারে। এজন্য গুগলে আপনার  মোবাইল  ফোন এর মডেল লেখে সার্চ  দয়ে পদ্ধগি দেখে নিন।আবার অনেক মোবাইল  এ এই রিসেট  এর জন্য আলাদা কোড দেওয়া থাকে।এই কোড আপনি আপনার মোবাইল  এর সাথে দেওয়া ইউজার গাইড এ পাবেন।

তারপর কোড চাইলে সেই কোড টি দিয়ে দিন। আপনার মোবাইল  রিসেট  হতে বাধ্য।বানান ভুলের জন্য দু:খিত।আবার অনেক সময় ডায়ালার থেকে কিছু কোড ডায়াল করে এই রিসেট বা ডাটা ওয়াইপ করা যায়। তবে এই বিষয়ে আমি অবগত নই, কেউ জেনে থাকলে কমেন্ট  করে আমাকে জানান আর না জানলে এই পদ্ধতির ভেতর দিয়া যাওয়ার দরকার নেই।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles