বাংলাদেশের নতুন মাইলফলক ঢাকা মেট্রোরেল

রাজধানী বাসীর নতুন স্বপ্নের নাম মেট্রোরেল। যে স্বপ্ন এখন ধরা দিয়েছে হাতের মুঠোয়। কিছুদিন আগে থেকে শুরু হয়েছে নগরবাসীর মেট্রোরেল যাত্রা।

বিশ্বের মোট ৫৬ টি দেশের ১৫৮টি শহরে ১৮০ টি মেট্রোরেল ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

 আমাদের এই স্বপ্নের মেট্রোরেলে এমন কি বা আছে যা নিয়ে  মানুষের মাঝে এত হই হুল্লোড়। আসেন তাহলে তা জানা যাক।

 প্রথমত স্বপ্নের এই মেট্রোরেল দেশের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন। এই মেট্রোরেল বানাতে সরকারের মোট খরচ হয়েছে ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

 উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রেলের মোট দৈর্ঘ্য হলো বিষ দশমিক এক দশ কিলোমিটার, স্টেশন সংখ্যা ১৬ টি। টিকেট সিস্টেম পুরোপুরি কম্পিউটারাইজড। 

 ট্রেন পর্যন্ত পৌঁছাতে থাকছে এক্সিলেটর ও লিফটের ব্যবস্থা।

 যেহেতু বৈদ্যুতিক ট্রেন জগতে এখন বাংলাদেশ সেহেতু সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে এই মেট্রোরেলে। আধুনিক স্টেইনলেস স্টিল এর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক কাঁচ।

 real track বসানো হয়েছে একটানা যা একদম নতুন পদ্ধতিতে অর্থাৎ কোন ফাঁক থাকছে না রেললাইনে।

এছাড়া শব্দ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা যা নিয়ন্ত্রণ করবে parapet wall.

আমাদের ট্রেনের দরজা এ অঞ্চলের অন্য মেট্রোরেল গুলোর দরজা থেকে অনেক প্রশস্ত এবং সেন্সর ও আধুনিক প্রযুক্তির।

বাইরের তাপমাত্রা বুঝে নিয়ন্ত্রণ হবে ভেতরের তাপমাত্রা। এমনকি একটা সময় কোন অপারেটর ছাড়া চলবে এ ট্রেন।

যাত্রী নিয়ে ছুটে চলবে প্রতি ঘণ্টায় 100 কিলোমিটার গতিতে থামবে না ঝড়-বৃষ্টি ভূমিকম্প হলেও।

আর এসব বিশেষ ফিচার্সই আমাদেরকে করেছে আলাদা এই অঞ্চলের অন্যান্য মেট্রো থেকে।

পূর্বে যানজটের কারণে প্রতিবছর ৩৬ লাখ কর্ম ঘন্টা নষ্ট হতো মানুষের। কিন্তু ওরাল ট্রেনের প্রথম পর্ব চালু হওয়া মাত্রই বছরে চার লক্ষ ঘন্টা বাঁচবে মানুষের। প্রথমদিকে দৈনিক চার ঘন্টা করে চলবে এই মেট্রোরেল।

 তবে এই ট্রেনে ওঠার আগে যে বিধি নিষেধ গুলো জানা দরকার আপনার।

সেগুলো হলো: স্টেশন এলাকা ও প্লাটফর্মে ধুমপান করা যাবে না।

কোন খাবার এবং পানি বহন করা যাবে না।

 কোনরকম থুথু ও পানের পিক ফেলা যাবে না। কোন পোস্টার বা ব্যানার টানানো যাবে না।  ভারী পণ্য বহন ও পণ্য ফেরি করা যাবে না। করা যাবে না কোনো রকম ভিক্ষা।

বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সিটে অন্য কেউ বসতে পারবে না। এবং নারী কোচে পুরুষ যাত্রী ওঠা  পুরোপুরি নিষিদ্ধ।

স্টেশনের দ্বিতীয় তলা থেকে যাত্রীরা টিকেট সংগ্রহ করতে পারবে। এবং তৃতীয় তলা থেকে ট্রেনে চড়া যাবে।

প্রতি কিলোতে খরচ পড়বে পাঁচ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। এবং উত্তরা থেকে কমলাপুর সর্বোচ্চ ভাড়া 100 টাকা।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles