বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ উন্নত হতে শুরু করে। বাংলাদেশের এই উন্নতির সাথে প্রযুক্তিরও উন্নতি হয়। সেই সুবাদে ১৯৯০ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু হয়। সিটিসেল নামক কম্পানিটি এই মোবাইল ব্যবসা শুরু করে।
বাংলাদেশে শুরু হয় নতুন এক যুগ সমৃদ্ধির যুগ। কিন্তু সিটিসেল তা ধরে রাখতে পারে না। ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোন টেলিকম বাজারে ঝড় তোলে তাদের আকর্ষনীয় অফার সমূহ নিয়ে। মানুষ দূর দূরান্তে তাদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে অনেক সহজেই কথা বলতে শুরু করে তখন।
শেষ হয়ে যায় চিঠির আদান প্রদান। মানুষ টেলিগ্রাম ব্যবহার করে বিদেশ থেকে চিঠি পাঠাতো। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই তা পরিবর্তন হয়ে সরাসরি কথা বলার এবং কুসল বিনিময় করার একটি উপায় পেয়ে যায় মানুষ। তখন আর অপেক্ষা করতে হয়না মাসের পর মাস।
মন চাইলেই কথা আলতে পারতো পৃথিবীর এই প্রান্ত হতে ঔ প্রন্তে। সহজেই খবর এবং তথ্য পৌছে যাওয়া শুরু করলো গন্তব্যে। মানুষের জীবন মান আরো উন্নত হতে শুরু করে। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন মার্টিন কুপার (Martin Cooper) ১৯৭৩ সালে।
তিনি আমেরিকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি মোটোরোলা কম্পানিতে চাকুরি করতেন। তার আবিষ্কৃত প্রথম মোবাইলের নাম ছিল মোটোরোলা ডাইনাটেক (Motorola DynaTAC). এটি প্রায় একটি ইটের সমান ছিল।এটি ৯ ইঞ্চি ছিল এবং এর ওজন ছিল ১.১ কেজি। তারপর প্রযুক্তির বিবর্তনে ল্যনলাইন ফোন আসে।
মানুষ তখন যোগাযোগের নতুন প্রন্থা পায়। তারপর তৈরী হয় বড় বড় টেলিকম কম্পানি। তৈরী হয় সেলুলার বটন ফোন। এখন বর্তমানে আমরা ৫জি মোবাইল ব্যবহার করছি এটি একদিনে আবিস্কার হয়নি। এটি প্রযুক্তির উন্নতির গতির জন্য হয়েছে।
প্রযুক্তি ক্রমাগত সকল ডিভাইস৷ আপডে এবং আধুনিক করে তুলছে। মানুষ তখন থেকে ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক সহ নানা রকমের কাজের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। তখন বাংলাদেশে শুরু হয় উন্নতির গতি।
দেশে সৃষ্টি হয় কয়েকটি টেলিকম কম্পানি। একটেল( বর্তমানে রবি),গ্রামীণফোন, টেলিটক,বাংলালিংক, এয়ারটেল ইত্যাদি কম্পনির সূচনা হয় সেই সময়। সৃষ্টি হয় প্রযুক্তিগত কর্মসংস্থান। দেশের টেলিকম শিক্ষা এবং ব্যবসা বেগ পায়।
আমরা বর্তমানে যেভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছি সেইটা প্রযুক্তিরই দান। আমরা কত সহজেই কল করতে পারছি। কতো সহজেই যোগাযোগ করতে পারছি আমাদের আশেপাশের মানুষের সাথে।
সেই ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া টেলিকম কম্পনি গুলোর উন্নতি এবং প্রযুক্তির উন্নতির জন্যই তা সম্ভব হয়েছে। এখন আমাদের মন চাইলেই আমরা পৃথিবীর এক প্রন্ত হতে অন্য প্রন্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি। কথা বলতে পারছি।
এমনকি ভিডিও কলে তাকে দেখতেও পাচ্ছি। মোবাইল প্রযুক্তির বা টেলিকম প্রযুক্তির এই উন্নতি একদিনে হয়নি। তার জন্য সময় লেগেছে ১৯৯০ থেকে বর্তমান পর্যন্ত। শুধু যে টেলিকম কম্পনির জন্যই এই উন্নতি হয়েছে তা না।
পাশাপাশি মোবাইল তৈরীর কম্পানিগুলোও অবদান রেখেছে। ২০০৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন কম্পনি তাদের মোবাইল বিক্রি করেছে। বর্তমানে যে এতো উন্নত মোবাইল আছে আগে তা ছিল। সেই সময় টেলিকম কম্পনিগুলো তাদের নিজস্ব মোবাইল বানাতো।
এখন ভাজারে এতো মোবাইল কম্পনি আছে তা গুনে শেষ করা সম্ভব নয়। সাওমি, নকিয়া, আইফোন, রেডমি, স্যামসাং ইত্যাদি অনেক কম্পনি আছে শুধু মোবাইল ফোন তৈরী করে। টেলিকম কম্পনি গুলো সেলুলার ডাটা দেয়। সম্বনয়ে একজন মানুষ ঠিকমতো মোবাইল ব্যবহার করে।
মোবাইল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেমন প্রয়োজন তেমনি একজন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর জন্য অতি প্রয়োজন। করোনা সংক্রমণের সময় মোবাইল ফোন প্রত্যেকটা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরদের দিয়েছে পড়াশোনা করার সুযোগ।
তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে প্রযুক্তির এই আবদান প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে দিয়েছে সাহস, শক্তি এবং প্রেরণা। শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা সেই ক্লাস করে তাদের সিলেবাস শেষ করতে পেরেছে।
পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে। প্রযুক্তির এই উন্নতিতে এখন বর্তমান প্রত্যেক মানুষের হাতে হাতে মোবাইলফোন। এই মোবাইল ফোনের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি কিছু মন্দ দিকও রয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চারা মোবাইল ব্যবহার করলে তাদের অনেক সমস্যা হয়। তারা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।
ফলে তারা তাদের পড়াচোনা করতে পারে না। তাদের মানসিক বিকাশে বদা পায়। কারণ তারা মোবাইল ব্যবহার করলে আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বলা বন্ধকরে দেয়। ফলে তারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তারা তাদের মোবাইল কেন্দ্রিক জীবন নিয়েই পড়ে থাকে। তারা সমাজ দেশ এগুলো নিয়ে চিন্তা করার সময় পায় না। আবার ছোট ছোট সোনামনিদের চোখের সমস্যা হয় আল্প বয়সেই মোবাইল ব্যবহার করা শুরু করলে।
Good
Thanks
Thanks
You must be logged in to post a comment.