আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অবদান

আস্সালামুআলাইকুম । সুপ্রিয় পাঠকগণ, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে কথা বলবো। অর্থাৎ আজ আপনাদের আধুনিক বিজ্ঞানের কিছু বিস্ময়কর অবদান নিয়ে কথা বলবো। তাই আশা করি পুরো আর্টিকেল তা আপনারা পড়বেন।

বর্তমান সময়ে আমরা বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগে বসবাস করছি। বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে এতটাই সহজ করেছে যে, আমাদের পূর্বের মানুষগণ কত কষ্ট করে জীবন যাপন করেছে আমরা তা ভাবতেও পারিনা। আজকে আমরা জাদুর কাঠি হিসেবে যেই বিজ্ঞানকে দেখি, সেটা এত সহজে আসেনি। হাজার হাজার বছর ধরে বিজ্ঞানীদের হাড়ভাঙ্গা আর ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের পর এটি সম্ভব হয়েছে। তাই এসব বিজ্ঞানীদের প্রতি আমাদের চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকতে হবে।

আজকে আমরা এই বিজ্ঞানের কিছু মৌলিক বিস্ময় নিয়ে আলোচনা করবো।

বর্তমানে আমরা চারিদিকে বিজ্ঞানের যেই আশ্চর্য সমূহ দেখতে পাই, এটি আমাদের জীবনে বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। আমরা বিজ্ঞান ছাড়া আধুনিক জীবন চিন্তাই করতে পারিনা। এটি আমাদের জীবনকে সহজ ও আরামদায়ক করে দিয়েছে।

নিম্নে বিজ্ঞানের কিছু মৌলিক অবদান আলোচনা করা হলো:

বিদ্যুৎ: আমাদের জীবনের সাথে বিদ্যুতের যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা এই বিদ্যুৎ ছাড়া এক মুহূর্ত চিন্তা করতে পারিনা। কিছু সময়ের জন্য লোডশেডিং হলে যেন মনে হয় আমাদের জীবন থেমে গেছে। বিজ্ঞানের এই জাদুকরী বিদ্যুতের আবিষ্কার সর্বপ্রথম বিজ্ঞানের আশ্চর্যজনক বিষয়। এটি শক্তির সবচেয়ে বড় উৎস এটি সারা পৃথিবী কে আলোকিত করেছে। রেডিও-টেলিভিশন, পাখা, ইস্ত্রি, ফ্রীজ ইত্যাদি চালাতে এটি ব্যবহৃত হয় মিল ফ্যাক্টরি গুলো সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল।

যোগাযোগ: যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান এর অবদান অনস্বীকার্য।বিজ্ঞান আমাদের যোগাযোগকে সহজ ও সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছে। টেলিফোন মোবাইল ফোন, ইমেইল এগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের অবদান। আমরা মুহূর্তের মধ্যে এগুলোর মধ্যে পৃথিবীর সর্বত্র বার্তা পাঠাতে পারি ও কথা বলতে পারি আমরা যোগাযোগের জন্য বাস, স্টিমার, ট্রেন, এরোপ্লেন ইত্যাদি ব্যবহার করি। এগুলো সবই বিজ্ঞানের কল্যানে  সম্ভব হয়েছে।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের বিস্ময়: বিজ্ঞান আমাদের কষ্টকে লাভ করেছে। এটি আমাদেরকে ঔষধ দিয়েছে রোগমুক্তির জন্য, এটি অন্ধকারকে চক্ষু, বধির কে শোনার ক্ষমতা ও খোঁড়াকে পা দিয়েছে। এক্সরে, মাইক্রোস্কোপ, আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, ফিজিওথেরাপি এম.আর.আই ইত্যাদি আবিষ্কার আমাদের চিকিৎসাকে সহজ করেছে।

বিনোদনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের বিস্ময়: বিনোদন আমাদের জীবনে এক অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি আমাদের মানসিক ভাবে সুস্থ রাখে। আমাদের চিত্তবিনোদনের জন্য বিজ্ঞান অনেক কিছু আবিষ্কার করেছে। আমরা বিনোদনের জন্য সিনেমা, টেলিভিশন, কম্পিউটার, রেডিও, টেপ রেকর্ডার, গ্রামোফোন, ভিসিআর ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। তাছাড়া বর্তমানে যোগাযোগের জন্য বেশ উন্নত বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ করতে পারি এবং ঘরে বসেই আমরা বিনোদনের মজা নিতে পারি।

সবশেষে এটুকুই বলা যায়, বিজ্ঞান যে আধুনিক যুগের সবকিছু জয় করেছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এটি পরাজয় কি তা জানে না। গতকাল যা অসম্ভব ছিল, বিজ্ঞান আজ তা সম্ভব করেছে। তবে এখানেই শেষ নয়। বিজ্ঞান তার যাত্রা থামায়নি। এবং থামবেও না। বিরতিহীন ভাবে মানবকল্যানে  কাজ করে যাবে। এবং বিজ্ঞানের কল্যানে আমরা ভবিষ্যতে হয়তো এমন সব বিস্ময় দেখতে পারি যা হয়তো আমরা এখন কল্পনা করতে পারিনা। কারণ বিজ্ঞান দিন দিন শুধু উন্নত হতে থাকবে। তবে বিজ্ঞানের যে শুধু ভালো দিকই আছে তা নয়। এর অনেক খারাপ দিক ও আছে।  পরবর্তী আর্টিকেল এ আমরা এই বিষয়ে আপনাদের জানাবো ইনশা আল্লাহ। 

সুপ্রিয় পাঠকগণ!

আশা করি আপনাদের আর্টিকেল টি ভালো লেগেছে। শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আর্টিকেল টি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। এবং এমনি আরো অনেক সুন্দর ইনফোরমেটিভ আর্টিকেল পেতে আমাকে ফলো করে রাখুন।

 

ধন্যবাদ !!!

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles