মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন আপনিও- কিন্তু কিভাবে আপনাকে সেটা জানতে হবে

জীবনটা কে এক রকম ভাবে চালাতে চালাতে, অনেক সময় জীবনের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে আমরা সন্দিহান হয়ে যাই। কি হবে আমাদের লাইফে? আমাদের লাইফের আলটিমেট গোল কি? সে সম্পর্কে আমরা হয়ে যাই অনেকটা হতাশা গ্রস্থ। 

আজকে আমি তোমাদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক ছেলে-মেয়েদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আমি বিশ্বাস করি আমার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো যদি মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে পড়ো এবং এই বিষয় গুলো তোমাদের বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ করো এবং কাজে লাগাতে পারো, তাহলে তোমাদের জীবনের অনেক পরিবর্তন হবে । সেই পরিবর্তনের পিছনে আজকে আমার কথা গুলো অনেক ভূমিকা রাখবে। 

দেখো, তোমার কাছে যদি ১০০০ টাকা থাকে, তুমি সেখান থেকে খুব সহজেই ৭০০ টাকা খরচ করতে পারবা। কিন্তু যদি তোমার কাছে ৫০০ টাকা থাকে তুমি কখনোই সেখান থেকে ৭০০ টাকা খরচ করতে পারবা না। কারণ, তোমার কাছে আছেই ৫০০ টাকা। 

তুমি আজকে স্কুলে ভর্তি হয়েছো, তুমি ক্লাস ওয়ান থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে করতে হয়তো তোমার ২৭,২৮,অথবা ৩০ বছর লেগে যাবে। তুমি কি করবা ? তুমি একটা চাকরির পিছনে ঘুরবা। ঐ ১০০০ টাকা ইনকাম করার জন্য। ঠিক না ? চাকরির পিছনে ঘরতে গিয়ে দেখবা তোমার চাকরি হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে তোমার মতো অনেক ছেলে মেয়ে চাকরির জন্য ঘুরছে । কাকে চাকরি দেবে ? বাংলাদেশের পেক্ষাপটে চাকরির অনেক সমস্যা। কিংবা তোমার হয়তো কোন নেতা পরিচিত নেই তুমি যে তাকে দিয়ে একটা সুপারিশ করাবা , ফোন কল দিয়ে একটা সুপারিশ করিয়ে দিবা সেই সুযোগ তোমার নেই। 

কিংবা, তোমার বাবার অনেক টাকা পয়সা নেই। তুমি ঘুস দিতে পারছো না । তুমি কাওকে টাকা দিয়ে চাকরি টা নিতে পারছো না। আলটিমেট কথা হচ্ছে তুমি জীবনটা কে এক রকম ভাবে চালাতে চালাতে, অনেক সময় জীবনের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে আমরা সন্দিহান হয়ে যাই। কি হবে আমাদের লাইফে? আমাদের লাইফের আলটিমেট গোল কি? সে সম্পর্কে আমরা হয়ে যাই অনেকটা হতাশা গ্রস্থ। 

আজকে আমি তোমাদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক ছেলে-মেয়েদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আমি বিশ্বাস করি আমার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো যদি মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে পড়ো এবং এই বিষয় গুলো তোমাদের বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ করো এবং কাজে লাগাতে পারো, তাহলে তোমাদের জীবনের অনেক পরিবর্তন হবে । সেই পরিবর্তনের পিছনে আজকে আমার কথা গুলো অনেক ভূমিকা রাখবে। 

দেখো, তোমার কাছে যদি ১০০০ টাকা থাকে, তুমি সেখান থেকে সহজেই ৭০০ টাকা  বেকার। তুমি তোমার পরিবারের জন্য বোঝা, তুমি তোমার নিজের জন্য বোঝা এবং তোমার সমাজের জন্য তুমি বোঝা। তুমি হতাশায় ভুগবা। অনেক সময় এমন হয় অনেকেই আত্ম হত্যা পর্যন্ত করে ফেলে। কি করবে বুঝতে পারে না। টাকা পয়সা ইনভেস্ট করলো , এতো কিছু করলো । তার পরেও চাকরি নেই,  এ জীবন রেখে কি হবে ? ফ্যামিলিকে চালাতে পারছি না ।কবে বিয়ে করবো ? এ সব তো কল্পনাই ধরে না। এই যে বিষয়টা । অনেকের মধ্যে এখন এই সমস্যাটা হচ্ছে। অনেক মানুষ এই সমস্যায় ভুগছে। 

এ কথা গুলো আমি এজন্যই বললাম,  যখনই তুমি বুঝতে পারছো তোমার এই পড়াশোনা করে হয়তো তোমার এক সময় চাকরি বাকরি হবে না।তুমি হয়তো চাকরি করতে নাও পারো । যেটা তোমার বাবা করেছে চাকরি , চাচা করেছে চাকরি। সে রকম চাকরি হয়তো তুমি নাও পেতে পারো । কারণ বাংলাদেশের পেক্ষাপটায় হচ্ছে এমন। 

তাহলে তুমি কেন অল্টারনেটিভ কিছু ভাবছো না ? যে পড়াশোনার পাশাপাশি আমি অন্য কিছু করতে পারি কিনা?

দেখ, তুমি ৩০ বছর পড়াশোনা করে হয়তো কোন চাকরি পাবা না এটার গ্যারান্টি রয়েছে। কিন্তু তুমি যদি আমার কথা শোনো জাস্ট ২ টা বছর, ১টা বছর কিংবা ৬ মাস । যদি এই সময় গুলো তুমি অনলাইনে খরচ করো প্রোডাকটিভ কাজে। তার মানে এই না যে তুমি বসে বসে ফেসবুক চালাচ্ছো, করো সাথে চ্যাটিং করছো এ গুলো না। 

অনলাইনে ইনকাম করার অনেক ধরনের সোর্স রয়েছে,  ইউটিওবে কাজ করতে পারো, ফেসবুকে কাজ করতে পারো,  ফ্রিল্যান্সিং করতে পারো, অ্যামাজন ডট কমে কাজ করতে পারো , আলি বাবাতে পারো।

এই কাজ গুলো যদি তুমি করতে পারো তাহলে তোমার জীবন থেকে বেকারত্ব জিনিসটা অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে। চিন্তা করে দেখো , আজ থেকে তুমি যদি দুই বছর অনলাইনে যদি সঠিক ভাবে সময় দাও তাহলে আমি বিশ্বাস করি তোমার মাসিক ইনকাম দেড় লাখ দুই লাখ হবে। অনলাইনে ইনকামিং সিস্টেমটা এতোটাই স্টং।কিন্তু আমাদের বেশি ভাগ ছেলে মেয়ে এই কাজ করতে চায় না।

সবার মধ্যে একঘেয়েমি । পড়াশোনা করছি, মজমাস্তি করছি,গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এই সেই করছি মুভি দেখতেছি, ফ্রি ফায়ার খেলতেছি । জীবনটা এভাবেই চলতে থাকুক। এক সময় যখন পড়াশোনা শেষ করে বেরিয়ে যাবো তখন না হয় চাকরি করবো । তখন আমার জীবনে কোন সমস্যা থাকবে না।জীবনটা এতো সহজ না। তুমি জিজ্ঞেস করে দেখো তোমার বড় ভাইকে , অথবা তোমার সিনিয়র-জুনিয়রকে ।দেখবে কি পরিমাণ কষ্ট তারা করছে।  কোন ধরনের ইনকাম নেই। 

তাই আমি তোমাদের বলবো অল্টারনেটিভ চিন্তা করো। এটাই হচ্ছে অল্টারনেটিভ চিন্তা। অনলাইন প্লাটফরমের মতো অন্য কোন প্লাটফরম নেই বাংলাদেশে।যেটা কিনা এতোটাই স্টং ইনকামের জন্য। তোমাকে অবশ্যই এই ধরনের চিন্তা করতে হবে। আমাদের সমাজে সবাই এখান অল্টারনেটিভ চিন্তা করছে।তুমি অল্টারনেটিভ চিন্তা করবা না মানে তুমি অনেক পিছিয়ে যাচ্ছো। সুতরাং তোমাকে পিছানো যাবে না। 

অল্টারনেটিভ সিস্টেমটা এমন,  মনে করো তোমার কাছে একটা ১০০ টাকার নোট আছে এবং একটি ৫ টাকার কয়েন আছে। তো, তুমি এখন বাসে যাচ্ছো ৫ টাকা ভাড়া। তুমি চাইলে ১০০ টাকা ভাঙ্গাতে পারো অথবা তুমি ৫ টাকার কয়েন টাও দিতে পারো। স্মার্টনেস হচ্ছে ৫ টাকার কয়েনটা দেওয়া। এবং ১০০ টাকা টা তোমার নিজের কাছে রেখে দিবে। তুমি ১০০ নোট টা ভাঙালা না । এটা হচ্ছে স্মার্টনেস। অল্টারনেটিভ তুমি ৫ টাকার কয়েন দিয়ে দিলা ।

আমাদের ধারণা পড়াশোনা শেষ করার পর একটা চাকরি পেয়ে যাবো, খাবো দাবো ফুর্তি করবো , গার্ল ফ্রেন্ডকে বিয়ে করবো কতো স্বপ্ন। তার পর আমাদের জীবন অনেক সুখী হবে কোন চিন্তা থাকবে না। প্রকৃত পক্ষে জীবনটা যে কতটা কঠিন। 

যে ছেলেটা যে মেয়েটা এখন থেকে চর্চা না করছে ,তার জীবনের একটা অনেক বড় একটা ধাক্কা অপেক্ষা করছে

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles