আজকে আমরা জানতে পারব নতুন ফোন কেনার আগে আমাদের যে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যনীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে :
মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন:
সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে আপনি যেই ফোনটি কিনতে যাচ্ছেন বৈধ কি না।বর্তমানে আমাদেত দেশে সরকার কোন অবৈধ ফোন দেশে রাখতে চাচ্ছেন না, তাই কোন চোরাই মোবাইলফোন বা যে ফোন সঠিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে আমদানি হয় নি বা সরকারের নথিতে অন্তর্ভুক্ত নয় এমনফোন কিনবেন না ।
এখন আমরা কিভাবে বুজব যে ফোনটি সরকারের ডাটাবেইজ (Database) নথিতে বা অন্তর্ভুক্ত আছে কি না ? আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে ফোনটি ক্রয় করছেন সেই phone টি বৈধ নাকি অবৈধ?
আপনি মােবাইল হাতে নিন এবং *#06# ডায়াল করুন। এরপর যে IMEI নম্বরটি আসবে সেটি যে কোন ফোন দিয়ে
BTCL এ SMS করুন । কিভাবে এসএমএস করবেন KYD (IMEI Number) টা ডায়াল করবেন। তারপর পাঠাতে হবে 16002 এই নম্বরে।
এরপর একটা sms আসবে সেটা আপনাকে জানিয়ে দিবে যে ডিভাইস টি বৈদ কি না।
মোবাইলের ডিজাইন
যে কোনো স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই ফোনের ডিজাইন। বর্তমান বাজারে বিভিন্ন রকম ডিজাইনের স্মার্টফোন পাওয়ার যায় । তাই আগে থেকেই আপনার মন স্থির করুন কোন ডিজাইনের স্মার্টফোন আপনার কাছে ভালো লাগে। তা নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা এবং রুচি অনুযায়ী ডিজাইন পছন্দ করা সবচেয়ে ভালো।
ডিসপ্লের গুণগত মান:
ডিসপ্লের গুণগত মান অনেক প্রয়োজনীয় বিষয়। সবচেয়ে ভালো মানের ডিসপ্লে ১০৮০পি (১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেলস)। তবে এই ডিসপ্লেযুক্ত ফোনের দামটিও বেশ চড়া হবে।
খেয়াল করে দেখতে হবে ভিন্ন ভিন্ন কোণ থেকে দেখলে ছবি পরিষ্কার দেখা যায় কি না। সাধারণ মানের মোবাইলের ডিসপ্লে ৭২০পি-এর কম হয়ে থাকে।বর্তমানে এলসিডি, টিএফটি, আইপিএস, ওলেড সহ বেশ কয়েকটি ডিসপ্লে প্যানেলের স্মার্টফোন বাজারে পাওয়া যায়। স্মার্টফোন কেনার সময় এদিকেও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
কেননা এর উপরই ডিসপ্লের কালার সহ অন্যান্য বিষয় নির্ভর করে। আবার স্মার্টফোনের ডিসপ্লে প্যানেল স্মার্টফোনটির দামের উপরও কিছুটা প্রভাব ফেলে।
ক্যামেরা:
অনেকেই মনে করেন ক্যামেরা মেগা পিক্সেল ভালো হলে ক্যামেরা ভালো। কিন্তু ব্যাপার টা ঠিক সেই রকম নয়।অনেক সময় ক্যামেরার মেগা পিক্সেল কম কিন্তু সেন্সর ভালো হওয়ার কারণে ছবি ভালো আসে। তাই ক্যামেরার মেগা পিক্সেল এর সাথে সেন্সর ও দেখবেন।
অপারেটিং সিস্টেম
ফোনের কেনার সময়ে ফোনের অপারেটিং সিস্টেমও ভালো করে দেখে নেয়া দরকার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম ফোনের অত্যন্ত দরকারি বিষয়। ফোনের অপারেটিং সিস্টেম যদি অ্যান্ড্রয়েড বা iOS হয় আর যে ফোনই কিনুন না কেন ফোনটি ভালো করে দেখে নেবেন যে ফোনের অপারেটিং সিস্টেম যেন লেটেস্ট ভার্সানে থাকে।
প্রসেসর :
Processor হচ্ছে একটি ছোট চিপ যা কম্পিউটার, মোবাইল এবং অন্যান্য Electronic ডিভাইসে থাকে। এর প্রাথমিক কাজ হচ্ছে Input গ্রহণ করা এবং সে অনুযায়ী আউটপুট সরবরাহ করা। এইজন্য আপনার ডিভাইস এর প্রসেসর যত ভালো হবে আপনি এই কাজগুলো ততো স্মুথ ভাবে করতে পারবেন।
আর যদি প্রসেসর ভালো না হয় তাহলে আপনার মোবাইলে যাবতীয় কাজ করতে যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। আপনার ডিভাইস এর প্রসেসর খারাপ হলে, আপনার ফোন স্লো এবং হ্যাং হতে পারে,এবং যেকোনো সময় হ্যাং করতে পারে কিংবা গরম হয়ে যেতে পারে। প্রসেসর নিম্নমানের হলে মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
ফোনের র্যাম :
আপনি যে কোয়ালিটির ফোন কিনবেন তার আগে কত জিবি র্যামের ফোন নিবেন তা বিবেচনা করে ফোন কিনবেন। কারণ র্যাম হচ্ছে এমন একটি চিপ, যা স্মার্টফোনের সক্রিয় অ্যাপগুলোকে সংরক্ষণ করে রাখে। যত বেশি র্যাম, তত বেশি অ্যাপ স্বাচ্ছন্দ্যে চলবে। আধুনিক সব স্মার্টফোনেই ১ জিবি থেকে ৪ জিবি পর্যন্ত র্যামের ব্যবহার দেখা যায়। তবে ফ্ল্যাগশিপ বেশ কিছু ফোনে ৬ জিবি র্যামের ব্যবহারও হচ্ছে।
কারণ আগে থেকে এখনকার অ্যাপ গুলো র্যামে বেশি জায়গা নেয়, আবার এখন থেকে পরে আরো বেশি জায়গা নিবে। তবে এন্ড্রয়েড মোবাইলের ক্ষেত্রে ৩GB র্যামের কম হলে ল্যাগের দেখা পাবেন এবং অ্যাপ ওপেনিং ও ক্লোজিং টাইম বেশি হবে। ফলে আপনি ততটা স্মুতলি আপনার মোবাইল চালাতে পারবেন না যতটা ৩GB বা তার বেশি র্যাম বিশিষ্ট মোবাইলে পারবেন।
ব্যাটারির শক্তি:
ব্যাটারির শক্তি নির্ধারিত হয় মোবাইল ফোনটি কেমন তার ওপর ভিত্তি করে। তবে বড় মাপের স্ক্রিনের মোবাইল বেশি ব্যাটারি শক্তি ক্ষয় করে। তাই শক্তিশালী ব্যাটারি প্রয়োজন হবে মোবাইলটি অনেক সময় ধরে চালু রাখার জন্য। এখন ৩০০০ এমএএইচ সবচেয়ে বেশি শক্তির ব্যাটারি হিসেবে বাজারে চালু রয়েছে।
ব্লু টুথ বেশ জরুরি:
যাই কিনুন, আগে দেখে নিন ফোনে ব্লু টুথ রয়েছে কি না। এটি একটি মূল্যবান জিনিস। ব্লু টুথ ছাড়া অন্য কোনো মোবাইলের সঙ্গে কিছুই লেনদেন করতে পারবেন না। এখনকার দামি সব মোবাইল ও ব্লু টুথ রয়েছে। তবে কমদামি মোবাইল কিনতে গেলে একটু যাচাই করে নিন সেই ফোনে ব্লু টুথ রয়েছে কি না।
কন্ট্রাক্ট ফোন নেওয়ার জন্য:
ইউরোপ-আমেরিকাত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন শর্তের ভিত্তিতে মোবাইল ফোন কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশেও বিভিন্ন অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো এমন অফার দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিচ্ছে এবং মোবাইলগুলোর মডেলের সঙ্গে দাম মিল আছে কি না ও সুবিধাগুলোর ভালোভাবে যাচাই করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ফোন ক্রয় করা।
You must be logged in to post a comment.