ভূমিকাঃ- ফেসবুক ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালেও পৃথিবীর অন্যতম এই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Facebook সরাসরি অনলাইনে আয় করার কোন সিস্টেম এখনও এপ্রুভ করেনি। এটা বলতে আমি এই বুঝাচ্ছি যে, কোন কিছু করে সরাসরি Facebook হতে বিকাশের মাধ্যমে যদি আমরা তা আমাদের মোবাইল ব্যালেন্সে নিতে চাই, তবে তার কোন ব্যবস্থা ফেসবুকে রাখা নাই।
তবে ভবিষ্যতে যে ব্যবস্থা হবে না তা বলা যাবে না। আমরা যদি Facebook-কে একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের অনলাইন ইনকাম বাড়াতে পারি তবেই কেল্লা ফতে। যেহেতু ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকার অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইস সংযোগ করে ফেসবুক হতে ভ্যাট, ট্যাক্সও নিতে পারবে। সুতরাং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেও ফেসবুক হতে অনলাইন ইনকাম করলে ভবিষ্যতে আর কোন সমস্যাও হবে না।
ফেসবুক ও কিছুসম্ভাবনাঃ-
আমরা ফেসবুকের Account Log In হবার পর যদি Setting এর উপর খেয়াল করি তবে বিভিন্ন সেটিং অপশন দেখব। এই সেটিং অপশনে কোনটি দিয়ে কি কাজ হয় তা যদি সংগ্রহে থাকে, তবে ফেসবুকের কোথায় ভবিষ্যতে কিভাবে কি করে ইনকাম করা যাবে তা সহজ হয়ে যাবে। আর কোন অংশের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম বাড়ানো যাবে, তাও বোঝা যাবে সহজে।
কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে ও সেটা মাথায় রাখলে ফেসবুকে আয় বাড়ানো অনেক সহজ হয়ে যেতে পারে, যা নিন্মে আলোচনা করা হলঃ-
Using Facebook:-
আপনার ব্রাউজারের www.facebook.com এ ঢুকার পর এতে Log In > Account > Help & Support > Help Center > Using Facebook-এ যদি ঢুকে পড়েন তবে আপনার সমস্ত বিষয় পড়তে ইচ্ছে হবে। এখানে Creating An Account থেকে শুরু করে Accessibility পর্যন্ত যদি আপনি পড়েন, তবে আপনার ফেসবুকের সব কিছুর সংজ্ঞাই জানা হয়ে যাবে। ভারী মজার এক স্থান এটি।
এখানে এমন এমন সব বিষয়ের সংজ্ঞা আছে যা আপনি খুঁজেই পাবেন না যদি আগে থেকে না জানা থাকে।
Facebook Pay:-
ফেসবুকে লগ ইন করার পর Account > Settings > Facebook Pay > Help-এ ক্লিক করলে ফেসবুক হতে আয়ের ব্যাপারে আমরা কিছু টপিক দেখতে পাব, যার প্রায় প্রতিটিতেই “This feature isn't available to everyone right now.” জাতীয় মেসেজ পাওয়া যায়। এটা ঠিক যে, ফেসবুকের Asis-Pacific রিজিওনের নির্বাচিত দেশের তালিকা দেখলে তাতে Bangladesh-এর নামও পাওয়া যাবে যা আশাব্যঞ্জক।
তবে সীমিত পরিসরে Facebook Pay প্রথমে USA, India-তে এই সার্ভিস চালু হবে। এটা দিয়ে Facebook, Messenger, Instagram এবং WhatsApp-এ মধ্যকার পেমেন্ট হবে এবং এটা ফেসবুকের সামাজিক নেটওয়ার্ক, এপ্লিকেশনসগুলির অর্থ প্রদানের সুবিধার্থে নকশাকৃত/ব্যবহৃত হবে। এর মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধবদের অর্থ পাঠাতে, পণ্যক্রয়/শপিং করতে, Fundraisers/অর্থসংগ্রকারীদের Donation/অনুদান প্রদানে ব্যবহার করা হবে।
USA-তে Facebook Pay প্রাথমিকভাবে Facebook ও Messenger -এর উপর চালু হচ্ছে, যার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহকারীদের ডোনেট, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পেমেন্ট, ইভেন্টের টিকিট ক্রয়, গেম ক্রয়, ফেসবুকের পেজ হতে ক্রয়, যা ফেসবুকের ব্যবসা/মার্কেটপ্লেস পরিচালনায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ফেসবুক পে Instagram ও WhatsApp, যেখানে বেশী লোকসমাগম হয় সেখানেও চলে আসবে।
Facebook Pay ফেসবুক ও মেসেঞ্জার অ্যাপসের সেটিংস অপশনে পাওয়া যাবে, যেটি বেশীরভাগ Debit ও Credit Card, PayPal সাপোর্ট করবে। ফেসবুক কোম্পানী অবশ্য এসবের জন্য Stripe, PayPal ও অন্যান্য পেমেন্ট প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আসছে।
আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে ফেসবুক পেমেন্ট বলতে আসলে কি বোঝাতে চেয়েছে। ফেসবুকে Payment বলতে বুঝানো হয়েছে যে, আপনি জিনিসপত্র কিনতে ও বেচতে, অনুদান গ্রহন করতে, অর্থ প্রেরণ ও গ্রহণ করতে ফেসবুক/মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে পারেন।
যেমন- বন্ধুর কাছে টাকা পাঠানো, গেমস কিনতে ও আপগ্রেড করতে, দাতব্য বা ব্যক্তিগত তহবিলকারীকে অনুদান দেওয়া, গ্রুপ বা মার্কেটপ্লেসে আইটেম কিনতে ও বিক্রয় করতে, কোন ইভেন্টের টিকেট ক্রয় করতে, ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে আপনার ইভেন্ট/ পন্য/ সংস্থার প্রচার করতে, ক্রয়ের জন্য আপনার অর্থ প্রদানের তথ্য যুক্ত করতে ও অতীতের ক্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে আপনার অর্থ প্রদানের ইতিহাস পর্যালোচনা করা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়।
যেভাবে আপনার ফেসবুকে ভিউয়ার্স বাড়াবেনঃ-
ক) আপনি যদি আপনার ফেসবুকের Settings > Privacy > Your Activity> Who Can See Your Future Post? এ গিয়ে এটাকে Public করেন তবে আপনার পোস্টের ভিউ বাড়বে।
খ) এরপর Settings > Privacy > How People Find And Contact You >
Do you want search engines outside of Facebook to link to your
profile? এ গিয়ে এটাকে Yes করেন তবে আপনার পোস্ট/প্রোফাইল বাইরে থেকে লিংক করতে গিয়ে
ভিউয়ার্সরা ভিউ বাড়াবে।
গ) এরপর Settings > Profile and Tagging > Viewing and Sharing > Allow others to share your posts to their stories? এ গিয়ে এটাকে On/Enable করেন তবে আপনার পোস্ট Share হবে ও এর মাধ্যমে ভিউও বাড়বে।
ঘ) এরপর Settings > Public Posts > Who Can Follow Me এ গিয়ে এটাকে Public করেন তবে আপনার পোস্টের ভিউ বাড়বে।
ঙ) এরপর Settings > Public Posts > Public Post Comments > Who can comment on your public posts? এ গিয়ে এটাকে Public করেন তবে আপনার পোস্টে কমেন্ট করার উদ্দেশ্যে হলেও ভিউ বাড়বে।
চ) এরপর Settings > Public Posts > Public Post Notification > Get Notifications From এ গিয়ে এটাকে Public করেন তবে আপনার পোস্টে ভিউয়ার্সরা ফলো, লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করতে চাইলে ভিউ বাড়বে।
ছ) এরপর Settings > Public Posts > Public Profile Info > Who can like or comment on your public profile pictures and other profile info? এ গিয়ে এটাকে Public করেন তবে আপনার প্রোফাইলের ছবি, ভিডিও, বায়ো ইত্যাদি দেখতে চাইলে ভিউ বাড়বে।
জ) এরপর Settings > Public Posts > Off-Facebook Previews > Enable previews when your Public Group posts are shared off of Facebook. Previews may include your username, your profile image and any other content from your original post. এ গিয়ে এটাকে On করেন তবে আপনার প্রোফাইলের ভিউ বাড়বে।
ঝ) এরপর Settings > Stories > Sharing Options > Allow others to share your public stories to their own story? এ গিয়ে এটাকে Allow করে রাখেন তবে আপনার স্টোরি দেখার উদ্দেশ্যে ভিউয়ার্সরা ভিউ করবে।
ঞ) এরপর Settings > Stories > Sharing Options > Allow people to share your stories if you mention them? এ গিয়ে এটাকে Allow করে রাখেন তবে আপনার কিছু এক্সট্রা ভিউ বাড়বে।
ট) এছাড়া আপনার ব্লগ পোস্টটিতে যে কোনায় রাইট বাটন আছে এতেও উপরোক্ত পরিবর্তন করে করে ভিউ বাড়াতে পারেন।
তবে আপনি যদি আপনার ফেসবুক একাউন্টে এসব চেঞ্জ এপ্লাই করতে চান, তবে প্রতিটি পরিবর্তন করার আগে অবশ্যই কারও সাথে আলাপ করে বুঝে নেবেন আশাকরি।
ফেসবুকে চলমান বিভিন্ন আয়ের বিবরণঃ-
ফেসবুক ব্যবহার করে যে অনলাইন ইনকাম/ব্যবসা চলে তার নাম হল f-Commerce, যা আসলে e-Commerce গোত্রেই পড়ে। কিন্তু e বা electronics এর বদলে f ব্যবহার করা হয়, যার ডেফিনিশন হল Facebook। এছাড়াও আছে m-Commerce, যার m এর অর্থ হল Mobile এবং এর পূর্ণরূপ হলো Mobile Commerce, যা স্মার্টফোন ব্যবহার করে ব্যবসা করা হয়। বর্তমান সময়ে অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করে যে যে পদ্ধতীতে (f-Commerce) অনলাইনে আয় করছে তা নিচে আলোচনা করা হলঃ-
১) ফেসবুক ভিডিও ও লাইভ হতে আয়ঃ-
এধরনের আয় করাকে বলে Facebook Ads Break. আপনার ভিডিওতে ফেসবুক এড দেখাবে ও সেই এড হতে আপনাকে কিছু অর্থ দিবে। এই সুবিধা পাওয়ার শর্ত বেশ কঠিন। যেমন- আপনার পেজটি তাদের নিকট মনোনিত হতে হবে, ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে, শেষ ৬০ দিনে ১৫ হাজার মানুষের কাছে ভিডিও/পোস্ট পৌছাতে হবে ও প্রত্যেকটি ৩ মিনিটের ভিডিওতে কমপক্ষে ১ মিনিট মেয়াদী ৩০ হাজার ভিউস থাকতে হবে, আপনার বয়স ১৮ বছর হতে হবে এবং ফেসবুকের পলিসি মাফিক ভিডিও তৈরি করতে হবে। এছাড়া লাইভ ভিডিও হলে তা ৪ মিনিটের বেশী দৈর্ঘ্য হতে হয় ও ৩ শত জন ভিডিওটি দেখতে হয়।
২) এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ-
মানুষজন এখন Amazon, eBay, Daraz, BDShop ইত্যাদিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করে থাকেন। এর জন্য আপনি এসব ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে একাউন্ট খুলে নিবেন। এরপর তাদের পণ্য হতে আপনার পছন্দসই পণ্যের রেফারেল লিংক তৈরি করে আপনার ফেসবুক পেজ/গ্রুপে কপি করে শেয়ার করবেন। আপনার ফলোয়াররা এগুলোতে ক্লিক করে পণ্যের অর্ডার করলে আপনি শতকরা হারে একটি কমিশন পাবেন। এভাবে যতবেশী পণ্য সেল করবেন ততবেশী আয় করতে থাকবেন। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট হল Amazon.
৩) ফেসবুকে পণ্য বিক্রি করে আয়ঃ-
নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলে পণ্যের ব্যবসা করা এখনও অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। আপনার যদি পণ্যের ব্যবসা থাকে তবে তা আপনার ফেসবুক পেজ/গ্রুপে ছবি শেয়ার করে তা আপনার ফলোয়ারদের নিকট বিক্রি করতে পারেন ও আয় করতে পারেন। আপনি সততার সাথে পণ্য যদি ডেলিভারী দেন, তবে প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে আপনার পণ্য কেনার জন্য ভিড় লেগে যেতে পারে, বিষয়টি ইন্টারেস্টিং না?
৪) ফেসবুক গ্রুপ হতে আয়ঃ-
ফেসবুকে এমন শত শত গ্রুপ আছে সেসব গ্রুপে হাজার হাজার মেম্বার রয়েছে। আপনার যদি কোন ব্লগ থাকে, তবে ব্লগের বিভিন্ন পোস্ট বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করে আপনার ব্লগের আয় বাড়িয়ে নিতে পারেন। আপনার যদি কোন ফেসবুকে কেনাকাটার গ্রুপ থাকে, তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।
৫) ফেসবুক লাইক বিক্রি করে আয়ঃ-
আপনার যখন একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ/গ্রুপ থাকবে ও যাতে প্রচুর ফলোয়ার থাকবে, তখন বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটার কোম্পানী আপনাকে তাদের পেজে লাইক বাড়িয়ে দেবার জন্য বা ইভেন্ট প্রচারের জন্য মনোনিত করবে। অথবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পোস্ট শেয়ার করে সেটা মানুষের কাছে পৌছে দেবার জন্য অফার করবে। তখন টাকার বিনিময়ে তাদের পোস্ট আপনার পেজে শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন, যদিও এটা বিতর্কিত ব্যাপার। হতে পারে প্রতি ১ হাজার লাইকের দাম ৫ শত থেকে ৭ শত টাকা পেমেন্ট হবে।
৬) ব্লগ বা ওয়েবসাইটের প্রচার থেকে আয়ঃ-
আমরা আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের প্রচার করলে যদি ভালমানের ভিজিটর পাই, তবে তা হতে অনলাইনে আয় হবে। এরজন্য আমার ব্লগ/ওয়েবসাইটের কন্টেন্টগুলো আমাদের ফেসবুক পেজ, গ্রুপে শেয়ার করতে হবে। অনেকে আগ্রহী হয়ে সেইসব লিংকে ক্লিক করবে এবং ভিজিট বাড়বে। যদি আপনার e-Commerce সাইট থাকে তার পন্যও এখানে সহজে বিক্রি করা যাবে।
আরওপড়ুনঃ-
সারা বছর শুধু কিছু নিয়ম পালন করে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার ১০০% উপায়
একদম নতুনরা অনলাইনে আয় করতে চাইলে জেনে নাও
৭) Short Link Share থেকে আয়ঃ-
ওয়েবসাইট লিংক বা URL-এ ক্লিক করে আমরা সহজে যেকোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারি। এইসব লিংকে ক্লিক করলে অনলাইনে আয় হয়। এজন্য আপনাকে এসব শর্টলিংক হতে টাকা প্রদানকারী ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর সেসব সাইট হতে লিংক সর্ট করে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ/পেজে শেয়ার/পোস্ট করতে হবে। এখন কেউ যদি এসব লিংকে ক্লিক করে, তবে আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। যদি আপনি রাজি থাকেন তবে আপনার কাজ হল, এসব সাইট গুগল সার্চ দিয়ে খুঁজে বের করা ও লিংক সর্টের কাজ ইমিডিয়েট শুরু করা।
৮) Freelancing করে ফেসবুক হতে আয়ঃ-
ফ্রিলান্সিং করে আয় করা যায়, এমন গ্রুপ ফেসবুকে অহড়হ পাওয়া যায়। এসব সাইট হতে তাদের নিয়ম মেনে রাইটিং, ডিজাইনিং, ফটোগ্রাফি, সোস্যাল মিডিয়া ইত্যাদি কাজ করে অনলাইন/ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করা আজ যেন ফ্যাশনে রূপ নিয়েছে।
৯) ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয়ঃ-
অনেকে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন দেখে পন্য ক্রয় করতে ভালবাসেন, যা ফেসবুক বিজ্ঞাপনের একটি অন্যতম সফলতা। যদি আপনি অল্পকিছু টাকা খরচ করে আপনার বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন ফেসবুকে একবার দিতে পারেন, তবে আপনার পণ্যের বেচা-বিক্রি অনেকগুন বেড়ে যাবে।
বুস্টিং বা প্রমোট পদ্ধতির মাধ্যমে ফেসবুক এসব বিজ্ঞাপন সবার দোড় গোড়ায় পৌছে দিবে যদি আপনি বুস্টিং বা প্রমোটের জন্য বাড়তি কিছু খরচ করেন। এটা করলে ফেসবুকের তাদের বিজনেস ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে আপনার পণ্যের বিক্রি বাড়িয়ে দিবে বহুগুন। এভাবে আপনি অনলাইনে ফেসবুক ব্যবহার করে প্রচুর আয় করতে পারেন।
১০) ফেসবুক একাউন্ট পরিচালনা করে আয়ঃ-
অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আছে, যারা তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ পরিচালনা করলে অর্থ প্রদান করে থাকেন। আপনি যদি এসব পেজ পরিচালনায় দক্ষ বা অভিজ্ঞ হিসেবে নিজেকে দাবী করে থাকেন, তবে আপনি করোনাকালেও ঘরে থেকে অনলাইনে ফেসবুক ব্যবহার করে যথেষ্ট আয় করতে পারেন।
১১) ফেসবুক পেজ বিক্রি করে আয়ঃ-
আপনার যদি ভালমানের কোন ফেসবুক পেজ থাকে, তবে আপনি তা বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটি ফেসবুক পেজের ১ লক্ষ লাইক থাকা একটি পেজ, ১ লক্ষ টাকার চেয়েও অধিক দামে বিক্রি হয়। এভাবে প্রচুর ফেসবুক পেজ তৈরি করে বিক্রি করে আপনি লাভবান হতে পারেন।
শেষ কথাঃ-
যদিও বর্তমানে ফেসবুক অনেক কারণে সবার পছন্দের কারণ হয়ে আছে। তবু সবাই যদি এটা সম্পর্কে ভালভাবে জানে তবে বর্তমানে বা ভবিষ্যতে এটা হতে পারে একটি লাভজনক আয়ের মাধ্যম। ফেসবুকে অযথা সময় নষ্ট না করে যদি আমরা এভাবে বুঝে বুঝে ব্যবহার করে আয় করতে পারি, তবে আমাদের বেকারসমাজ অনেককাংশে বেকারত্ব দূর করতে সক্ষম হবে ও দেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।
Nice tolk
You must be logged in to post a comment.