মোবাইল সম্পর্কে অবাক করার মতো কিছু তথ্য

মোবাইল ফোন তো এই প্রযুক্তির যুগে সকলের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত বস্তু। ছোটো বড় সকলের হাতেই দেখতে পাওয়া যায় মোবাইল ফোন। এর ব্যবহারও হয় বিভিন্ন কাজে। আজকে আমরা জানবো এই সাধারণ বস্তুর অসাধারণ কিছু তথ্য। চলুন জেনে নেই।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম উপহার মোবাইল ফোন। আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোন ব্যাবহার করছি বিভিন্ন প্রয়োজনে,বিনোদনে এবং শিক্ষামূলক কারনে। ছোট বড় সকলের হাতে মোবাইল দেখতে পাওয়া খুব সাধারণ বিষয়। 

মোবাইল ফোনকে বাংলায় বলা হয় মুঠোফোন। মোবাইল ফোন হলো তারবিহীন।এটিকে তারবিহীন টেলিফোনও বলা যায়।মোবাইল মূলত স্থানান্তরযোগ্য। কোনো রকম তার না থাকায় এই ফোন যেকোনো স্থানে বহন করা যায়,যেকোনো স্থানে ব্যবহার করা যায়।

মোবাইল অপারেটরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বা সেলে বিভক্ত করে তাদের সেবা অঞ্চলগুলো। যার ফলে সকল অঞ্চল থেকে মোবাইল ব্যাবহার করা সহজ হয়ে উঠেছে।

এসব অঞ্চলের সেলগুলো সাধারণত ত্রিভুজ,চতুর্ভুজ,পঞ্চভুজ বা ষড়ভুজ এসব আকৃতির হয়ে থাকে।এসবের মধ্যে ষড়ভুজাকৃতি সেল দেখা যায় বেশি।নেটওয়ার্ক স্টেশন দিয়ে এসব অঞ্চলের মোবাইল সেবা সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এসব নেটওয়ার্ক স্টেশনকে আমরা সাধারণত ফোন কম্পানির অ্যান্টেনা হিসেবে জানি।মোবাইল ফোনকে আমরা 'সেলফোন' নামেও জানি। বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করে মোবাইলে তাই অনেক বড় এলাকায় খুব ভালো সংযোগ দিতে পারে।

মোবাইল ফোনের সেবা

মোবাইল ফোন থেকে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করি।এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো খুদে বার্তা বা এসএমএস। এটিকে টেক্সট ম্যাসেজ সেবাও বলা যায়।

এমএমএস অর্থাৎ মাল্টিমিডিয়া ম্যাসেজ সেবাও এসবের মধ্যে অন্যতম।এছাড়া আরো রয়েছে ইন্টারনেট সেবা,ব্লুটুথ সেবা,ক্যামেরা,গেমিং।

ছোট বড় প্রায় সব বয়সের মানুষ এখন তাদের অবসরে মোবাইল গেমে খেলে সময় কাটায়।মোবাইল ফোন এখন কম্পিউটার এর মতোও কিছু সেবা প্রদান করতে পারে তাই এদেরকে স্মার্টফোনও বলা হয়।

মোবাইলের উদ্ভাবন 

মোটোরোলা কম্পানিতে কর্মকর্তা ডঃমার্কিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবক হিসেবে সম্মান দেওয়া হয়। তাঁরা দুজন প্রথম ১৯৭৩ সালে একটি মুঠোফোন কল করে কথা বলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁরা ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে সেই ফোন উদ্ভাবন করেছিলেন যেটির ওজন ছিলো দুই কেজি বা প্রায় ৪.৪ পাউন্ড।

সেই ফোনটির প্রথম বানিজ্যিক সংস্করণ বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে। সেই ফোনের নাম ছিলো মেটারোলা। ১৯৯০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পৃথিবীব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যাবহারকারীর জরিপ করা হয়। এবং এই জরিপে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ বিলিয়নের বেশি হয়ে যায়। 

মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য 

মোবাইল কোম্পানি বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ফোনকে বিশেষায়িত করেছে।প্রতিটি ফোনেরই কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে।এগুলো হলো...

ফোনের শক্তি উৎস  বা ব্যাটারী।জিএসএসম ফোনগুলোতে থাকে সিম কার্ড এবং সিডিএম ফোনে থাকে রিম কার্ড।প্রতিটি সতন্ত্র ফোন এর একটি সতন্ত্র আইএমইআই নাম্বার থাকে যা দিয়ে সেই ফোনকে শনাক্ত করা যায়।

মোবাইল ফোনের ব্যবহার

১.এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ বা গ্রহন

২.ইমেইল প্রেরণ ও গ্রহণ 

৩.ক্যালকুলেটর

৪.গেমস

৫.ইন্টারনেট 

৬.ঘড়িতে সময় দেখা 

৭.কথা রেকর্ড করা

৮.বিভিন্ন অ্যাপস্ ডাউনলোড দেওয়া

৯.ক্যালেন্ডার

১০.টাকার আদান প্রদান করা

বাংলাদেশে প্রথম  মোবাইল ফোন চালু হয় ১৯৯৩ সালে। তারপর থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশের মানুষের মুঠোফোন ব্যবহার।বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর থাকলেও দেশীয় অপারেটর হলো টালিটক। বাংলাদেশে কান্ট্রি কোডসহ মোবাইল নাম্বার +৮৮০১*********। কান্ট্রি কোড ছাড়া  মোট এগারটি নাম্বার আছে।

মোবাইল কোম্পানিগুলো হলো 

  • গ্রামীণ কোডঃ ০১৭,০১৩
  • বাংলালিংক কোডঃ ০১৯,০১৪
  • টেলিটক কোডঃ ০১৫
  • রবি কোডঃ ০১৮
  • সিটিসেল কোডঃ ০১১(বর্তমানে বন্ধ আছে)

মোবাইল ফোন ব্যাবহারের সুবিধা ও অসুবিধা 

আমাদের বর্তমান সভ্যতায় বিপ্লব এনেছে মোবাইল ফোন। প্রতিনিয়ত আমরা ব্যাবহার করছি মোবাইল। এটা  ব্যবহারের যেমন অসংখ্য ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিক ও আছে।

আমরা অসংখ্য সেবা এবং সুযোগ সুবিধা গ্রহন করছি।কিন্তু অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে আমদের শারীরিক এবং মানসিক অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে।অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে মস্তিষ্কে অনেক চাপ পড়ে। মস্তিস্কের এবং শারীরিক কোষ ধ্বংস হবে। 

বর্তমান সভ্যতায় বিপ্লব ছড়ানো মোবাইল ফোন নিয়ে আপনাদের কিছু বিষ্ময়কর তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনাদের মতামত কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ