অনলাইন ব্যবসার ৫টি সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি- যা আপনার জানা উচিৎ

আজকে আমরা আলোচনা করব, অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে। কিভাবে আপনি অনলাইন ব্যবসা করতে পারেন সঠিক নিয়মে। এবং কিভাবে অনেক বেশি ইনকাম করতে পারেন অনলাইনে ব্যবসা করে। অনলাইন একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে সঠিক নিয়মে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবসা করে আপনি লাভবান হতে পারেন অনেক বেশি। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আমি আপনাদের কাছে আর্টিকেলটা এমনভাবে উপস্থাপন করব, যেনো আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়। এবং সহজ হয় এবং আপনারা বুঝতে পারেন কিভাবে অনলাইন বিজনেস করে লাভবান হওয়া যায়। 

আমরা অনেকেই অনলাইনে ব্যবসা করি কিন্তু, অনলাইন ব্যবসার সঠিক পদ্ধতি না জানা থাকার কারণে আমরা অনেক শ্রম ও সময় দেওয়া সত্ত্বেও ইনকাম হয় খুবই সীমিত। তাই আজকে আমরা জানবো কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে অনলাইনে ব্যবসা করতে হয়।

আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমার আর্টিকেল টা কয়েকটা ধাপ নিয়ে আলোচনা করব। এবং ধাপে ধাপে আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। এই ধাপ অনুযায়ী যদি আপনি অনলাইন ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে আপনার জন্য সহজ হবে এবং আপনি জনপ্রিয়তার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হতে পারবেন।

প্রথমতঃ- প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট করা 

আপনি কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য টা নিয়ে অনলাইনে বিজনেস করবেন এবং আপনি কোন প্রোডাক্ট মানুষের সামনে উপস্থাপন করবেন, সেটা আগে নির্দিষ্ট করতে হবে। তারপরে সেটা চিন্তা করতে হবে যে, এই প্রোডাক্টটা মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে নিবে কিনা। নাকি এটা অনলাইনে চলবে না। এই বিষয়টা আগে আপনার চিন্তায় আনতে হবে।

 কারণ আপনার প্রোডাক্ট টা যদি মানুষ অনলাইন থেকে না নেয় বা অনলাইনের যোগ্য না হয়, তাহলে সেটা দিয়ে এখানে বিজনেস করতে পারবেন না। তাই আপনার প্রথম কাজ হবে আপনি আপনার প্রোডাক্ট টা সিলেক্ট করেন। 

সাথে এটাও জানতে হবে যে, এই প্রোডাক্ট টার বাজারে মূল্যায়ন কতটুকু। এটা বাজারে চলবে কিনা বা এটা মানুষ নিবে কিনা বা এটার জন্য এখন উপযোগী সময় কিনা। যদি সময় ও সুযোগ- সুবিধা সবকিছু হয় তাহলে আপনি ওই প্রোডাক্ট টা নির্দিষ্ট করতে পারেন।

দ্বিতীয়তঃ- প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়া 

তারপর আপনি যে প্রোডাক্ট টা নিয়ে অনলাইনে কাজ করবেন, দেখতে হবে এই প্রোডাক্ট টা আপনি কিভাবে ডেলিভারি দিবেন। সরাসরি দিবেন নাকি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দিবেন। এবং এটা আপনার কাছে যথাযথ আছে কিনা। অনেক বেশি আছে কিনা। যদি অনেক বেশি না থাকে তাহলে কিছুদিন পর আপনাকে অনলাইন বিজনেস বন্ধ করে দিতে হবে।

এজন্য যথাসম্ভব অনেক বেশি স্টকে রেখে তারপরে আপনি আপনার প্রোডাক্ট টা সেল করার চিন্তা করুন। এবং কিভাবে আপনি এটা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাবেন সেটা আপনি চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন। 

প্রোডাক্টটা আপনি নিজেও ডেলিভারি দিতে পারেন অথবা আপনি নিজে যদি প্রোডাক্ট ডেলিভারি না দেন তাহলে সেজন্য অন্য কাউকে নিযুক্ত করতে পারেন। অথবা আমাদের দেশে অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে বিভিন্ন ভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনি আপনার প্রোডাক্ট ডেলিভারির জন্য কাজ করাতে পারেন।

তৃতীয়তঃ- প্রোডাক্ট কিভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করবেনঃ-

এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ আপনার অনেকগুলো পণ্য আছে কিন্তু এগুলো আপনি মানুষের সামনে আনতে পারছেন না, কাউকে দেখাতে পারছেন না, কাউকে বলতে পারছেন না বা এটা আপনি অনলাইনে আনতে পারছেন না তাহলে আপনার এ পণ্য থাকা না থাকা সমান।

সুতরাং এবার আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি আপনার জিনিসগুলোকে আপনার পণ্যগুলো কে মানুষের সামনে উপস্থাপন করবেন। মানুষকে কিভাবে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানাবেন।

এর কয়েকটি পদ্ধতি হতে পারে যেমন 

# ফেসবুক বিজনেস পেজ ক্রিয়েট করাঃ-

আপনি আপনার ব্যবসার সুবিধার্থে আপনি ফেসবুকে একটি নিজের পেজ খুলবেন। তারপর সেখানে আপনার পণ্যের বিভিন্ন ছবি আপলোড করবেন। সেখানে আপনি বিভিন্ন পণ্যের পোস্ট করবেন। এবং সুবিধাগুলো আপনি সেখানে তুলে ধরবেন। যাতে করে, সেখানে সকলে জানতে পারে বা দেখতে পারে। তার পরে সেখানে আপনার পণ্যের গুণগত মান গুলো উপস্থাপন করবেন, যেন সকলের বুঝতে সুবিধা হয় এবং অন্যান্য পণ্যের সাথে আপনার পণ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করবেন। 

এতে করে আপনার পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাবে এবং আপনার পণ্যের গ্রাহক বৃদ্ধি পাবে আর আপনার সাথে তারা যোগাযোগ করে আপনার পণ্য নিয়ে যাবে।

#বিজনেস ওয়েবসাইট তৈরি করা 

আপনি আপনার বিজনেসের সুবিধার জন্য আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। সেখানে আপনি বিভিন্ন আর্টিকেল এর মাধ্যমে বা বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে মানুষকে আপনার ব্যবসার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। আপনার বিজনেসের যে পণ্যগুলো থাকবে সেগুলোর প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করতে পারেন এতে করে মানুষ আপনার দিকে ঝুঁকবে।

চতুর্থঃ- কন্টেন ক্রিয়েট করা 

কনটেন্ট ক্রিয়েট করা মানে, এখানে আপনি দুইটা জিনিস বুঝবেন আপনি কন্টেনে বিজনেস সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করবেন। ভিডিওর মধ্যে ব্যবসা সম্পর্কে চমৎকার কথাবার্তা বলবেন। আপনার ব্যবসার সুযোগ সুবিধা আপনি সেখানে তুলে ধরবেন। আপনি মানুষদেরকে ভিডিওর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট করাকেই মূলত কন্টেন বলা হয়। আবার আপনি আপনার বিজনেস সম্পর্কে অনেক সুন্দর সুন্দর ইমেজ তৈরি করতে হবে তাহলে এগুলো আপনি যখন আপনার ফেসবুক পেইজে এগুলো পোস্ট করবেন তখন এর দ্বারা আপনি আপনার বিজনেসকে উপরের দিকে উঠাতে পারবেন।

পঞ্চমতঃ- বিজনেস প্রমোট করা 

বিজনেস প্রমোট করা মানে হল যে, আপনার বিজনেস নিয়ে আপনি বিভিন্ন এডভেটাইজ করবেন। ব্যবসার এড দিবেন। এটা ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে আপনি একটা পোস্ট করে সেটা বুস্ট করাবেন। বুস্ট করার দ্বারা আপনার ফেসবুক পেজটা পপুলার হবে। অনেকের কাছে ছড়িয়ে যাবে। এতে করে আপনার অনলাইন ব্যবসা টা অনেকের কাছে পৌঁছে যাবে। 

এবং অল্প দিনেই আপনি আপনার বিজনেসটা অনেকটা উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারবেন। তখন আপনি ইউটিউব বা বিভিন্ন মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেসটা কে জনসম্মুখে প্রচার-প্রচারণা করে আপনি আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে আপনি উন্নতির চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে যাবেন বলে আশা করছি।

ধন্যবাদ সকলকে ভাল থাকবেন আর ভালো রাখবেন চারপাশ আবারও দেখা হবে কথা হবে আরেকটা কোন আর্টিকেল এর মাধ্যমে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

নামঃ- ইয়াসিন আরাফাত পিতাঃ- মোজাফফর হোসেন থানা, কালীগঞ্জ। জেলা, গাজীপুর। আমি একজন ছাত্র। ফোনঃ- 01842690077