বৈদ্যুতিক বাতি কিভাবে আবিষ্কার হলো। বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের মূল কাহিনী।

বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের কাহিনী: বিদ্যুৎ আজকাল শুধু শহরেই সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এর বহুল ব্যবহার হচ্ছে। বৈদ্যুতিক বাতি কিভাবে আবিষ্কার হলো তা জানার ইচ্ছে তোমাদের সকলের থাকা স্বাভাবিক ।

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন আকাশে ঘুড়ি উড়াতে গিয়েই প্রথম আকাশে বিদ্যুতের এবং এ বিদ্যুতের স্ফুরণে আলোর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। সেই থেকে বিজ্ঞানীদের দিন-রাত চেষ্টার ফলেই বিদ্যুৎ আবিষ্কার হয়। বিদ্যুতের নানা শক্তিতে মানুষ দিন দিনই চমকিত হচ্ছিল। একদিন শুভক্ষণে আবিষ্কার হলো 'ডায়নামো’, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হলো।

এ শক্তি দিয়ে আলো জ্বালানোর জন্য তখন থেকেই মানুষ চেষ্টা শুরু করলো । তখনকার দিনে বিদেশি বড় বড় শহরে আর্ক ল্যাম্প জ্বালানো হতো ।

বিজ্ঞাপনের যাদুকর টমাস আলভা এডিসন আর্ক ল্যাম্প দেখে মনে মনে ভাবলেন যে, এগুলো পরিবর্তন করে যদি বৈদ্যুতিক বাতি বসানো সম্ভব হতো তা হলে মানুষের না জানি কত উপকার হতো। এ সময়ে একাধিক বিজ্ঞানী এ-নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করলেন। তাঁরা লক্ষ্য করলেন যে, কোন মোটা কিংবা সরু তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে সেটি গরম হয়ে উঠে। এ

রূপে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন যে, বৈদ্যুতিকশক্তিকে অগ্নিশক্তিতে (হিট এনার্জি) রূপান্তর সম্ভব। চিন্তার আর এক ধাপ এগিয়ে তাঁরা আরো ঠিক করলেন যে, অগ্নিশক্তিকে আলো শক্তিতেও (লাইট এনার্জি) রূপান্তর সম্ভব হবে এবং এ-ব্যাপারে তাঁরা সাফল্যও লাভ করলেন।

বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করলেন যে, তারের রোধ (রেজিস্ট্যান্স) যত বেশি সেই তারের কুণ্ডলীর ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তত বেশি উত্তপ্ত হয়। পরীক্ষায় এটাও প্রমাণিত হলো যে, পরিবাহী তার যত সরু হবে তার রোধ তত বেশি হবে। এডিসন অন্যান্য বিজ্ঞানীর তুলনায় এসব চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে ছিলেন অগ্রগামী।

তিনি অনেক চেষ্টার পর সরু তার বা ফিলামেন্ট তৈরি করলেন। কিন্তু দেখা গেলো যে, তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসব বাধা, বিপত্তিতে তিনি দমবার পাত্র নন, চলল আরো চিন্তা-ভাবনা। অবশেষে বহু পরীক্ষার পর আবিষ্কার হলো কার্বন দিয়ে তৈরি ফিলামেন্ট।

একবার নয়, দু'বার নয়, বেশ ক'বার পরীক্ষা করে দেখলেন যে, এবারে আর তা পুড়ে ছাই হচ্ছে না । আনন্দে তাঁর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। তাঁর স্বপ্ন এতদিনে সার্থক হতে চলেছে।

বাতাসে কার্বন ফিলামেন্ট পুড়ে অল্পতেই ছাই না হলেও এর স্থায়ীত্ব কম ছিলো, এ নিয়ে এডিসন আবার চিন্তা-ভাবনা শুরু করলেন। অবশেষে ১৮৭৯ খৃস্টাব্দে এডিসন একটি বাল্বে কার্বন ফিলামেন্ট বসালেন এবং বাল্বটিকে বায়ুশূন্য করলেন। বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করে ফলাফলের অপেক্ষায় রইলেন।

বেশ কয়েক ঘণ্টা অতিবাহিত হলেওবিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করলেন যে, তারের রোধ (রেজিস্ট্যান্স) যত বেশি সেই তারের কুণ্ডলীর ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তত বেশি উত্তপ্ত হয়। পরীক্ষায় এটাও প্রমাণিত হলো যে, পরিবাহী তার যত সরু হবে তার রোধ তত বেশি হবে। এডিসন অন্যান্য বিজ্ঞানীর তুলনায় এসব চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে ছিলেন অগ্রগামী।

তিনি অনেক চেষ্টার পর সরু তার বা ফিলামেন্ট তৈরি করলেন। কিন্তু দেখা গেলো যে, তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসব বাধা, বিপত্তিতে তিনি দমবার পাত্র নন, চলল আরো চিন্তা-ভাবনা। অবশেষে বহু পরীক্ষার পর আবিষ্কার হলো কার্বন দিয়ে তৈরি ফিলামেন্ট। একবার নয়, দু'বার নয়, বেশ ক'বার পরীক্ষা করে দেখলেন যে, এবারে আর তা পুড়ে ছাই হচ্ছে না । আনন্দে তাঁর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। তাঁর স্বপ্ন এতদিনে সার্থক হতে চলেছে।

বাতাসে কার্বন ফিলামেন্ট পুড়ে অল্পতেই ছাই না হলেও এর স্থায়ীত্ব কম ছিলো, এ নিয়ে এডিসন আবার চিন্তা-ভাবনা শুরু করলেন। অবশেষে ১৮৭৯ খৃস্টাব্দে এডিসন একটি বাল্বে কার্বন ফিলামেন্ট বসালেন এবং বাল্বটিকে বায়ুশূন্য করলেন।

বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করে ফলাফলের অপেক্ষায় রইলেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করলেন যে, তারের রোধ (রেজিস্ট্যান্স) যত বেশি সেই তারের কুণ্ডলীর ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তত বেশি উত্তপ্ত হয়। পরীক্ষায় এটাও প্রমাণিত হলো যে, পরিবাহী তার যত সরু হবে তার রোধ তত বেশি হবে।

এডিসন অন্যান্য বিজ্ঞানীর তুলনায় এসব চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে ছিলেন অগ্রগামী। তিনি অনেক চেষ্টার পর সরু তার বা ফিলামেন্ট তৈরি করলেন। কিন্তু দেখা গেলো যে, তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসব বাধা, বিপত্তিতে তিনি দমবার পাত্র নন, চলল আরো চিন্তা-ভাবনা।

অবশেষে বহু পরীক্ষার পর আবিষ্কার হলো কার্বন দিয়ে তৈরি ফিলামেন্ট। একবার নয়, দু'বার নয়, বেশ ক'বার পরীক্ষা করে দেখলেন যে, এবারে আর তা পুড়ে ছাই হচ্ছে না । আনন্দে তাঁর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। তাঁর স্বপ্ন এতদিনে সার্থক হতে চলেছে।

বাতাসে কার্বন ফিলামেন্ট পুড়ে অল্পতেই ছাই না হলেও এর স্থায়ীত্ব কম ছিলো, এ নিয়ে এডিসন আবার চিন্তা-ভাবনা শুরু করলেন। অবশেষে ১৮৭৯ খৃস্টাব্দে এডিসন একটি বাল্বে কার্বন ফিলামেন্ট বসালেন এবং বাল্বটিকে বায়ুশূন্য করলেন। বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করে ফলাফলের অপেক্ষায় রইলেন।

বেশ কয়েক ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এবারও ফিলামেন্টটি পুড়লো না এবং আলোও আগের চেয়ে বেশি পাওয়া গেলো। দু'দিন দু'রাত বিদ্যুৎ প্রবাহ অব্যাহত তাকলেও ফিলামেন্টটি পুড়ে গেলো না দেখে তিনি নিশ্চিত হলেন যে, এ-প্রথা কার্যকর হবে। এভাবেই বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কার পর্ব শেষ হলো ।

১৮৮০ খৃস্টাব্দে একটি প্রদর্শনীতে এডিসন সবার কাছে তাঁর এ উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার প্রকাশ করলেন। কিন্তু বাদ সাধলেন আর এক বিজ্ঞানী, নাম তার জোসেফ উইলসন সোয়ান যিনি ঠিক একই কায়দায় বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করে প্রদর্শনীতে দেখাতে এনেছেন ।

এবারে কে আগে আবিষ্কার করেছেন এ-নিয়ে দু'পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হলো বাকবিতণ্ডা। কেউ কেউ মামলা দায়ের করার কথাও বললেন । মহান বিজ্ঞানী এডিসন এসব পছন্দ করলেন না, তিনি আপস করার জন্য নিজে গেলেন সোয়ানের কাছে।

জোসেফ সোয়ানও ব্যাপারটিতে হতভম্ব হয়েছিলেন। এডিসন এলে আলাপ আলোচনায় ঠিক হলো যে, উভয়ের নামেই এ বাতির নামকরণ করা হবে। অবশেষে বাতিটির নাম হল এডি সোয়ান ল্যাম্প'।

বর্তমানে যুগের বহুল ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক বাতির জন্মলগ্নের এত কথা হয়ত তোমাদের জানা ছিলো না ।

নতুন নতুন জিনিস যখনই তোমাদের চোখে পড়বে বা ব্যবহার করবে তখন জেনে নেয়ার চেষ্টা করবে এদের আবিষ্কারের কাহিনী, এতে তোমাদেরও নতুন কিছু করার চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পাবে। কারণ এভাবেই সমৃদ্ধ হয়েছে আজকের মানব সভ্যতা ।

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেল টা পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন কিভাবে বৈদ্যুতিক বিদ্যুৎ আবিষ্কার করা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় এই আর্টিকেল টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর্টিকেল টা তে আমার সর্বোচ্চ জ্ঞান দিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি। তাই যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর আমার অ্যাকাউন্টটা ফলো করুন কারণ প্রতিনিয়ত আমি এরকম হেল্পফুল আর্টিকেল পোস্ট করি। 

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেল টা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles