মশা মারার ব্যাটে কত বিদ্যুৎ থাকে?

মশা মারার ব্যাটে কত বিদ্যুৎ থাকে? মানুষেরও কি লাগতে পারে কারেন্টের ঝটকা! জানুন

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

Mosquito Killer Bat : বাজারে পাওয়া যায় মশা মারার র্যা কেট বা ব্যাট। এগুলি ব্যাটারি চালিত। একবার চার্জ দিলে বেশ কিছু সময় এটি মশা মারতে পারে।

সারা বছর মশার উপদ্রব, সেই সঙ্গে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার আতঙ্ক। তবে এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়টা মশাদের উৎপাত আরও বাড়ে। রেহাই পেতে আমরা নানা রকম রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকি।

কিন্তু সেসব রাসায়নিক আবার মানুষের শরীরের পক্ষেও ক্ষতিকারক। তাই সব থেকে ভাল উপায় হতে পারে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনো। কিন্তু যে সময় জেগে থাকা দরকার, তখন কী করা যায়!

সেজন্যই বাজারে পাওয়া যায় মশা মারার র‍্যাকেট বা ব্যাট। এগুলি ব্যাটারি চালিত। একবার চার্জ দিলে বেশ কিছু সময় এটি মশা মারতে পারে।

কিন্তু কী ভাবে মশা নিধন করে এটি! আসলে এর মধ্যে তড়িৎ পরিবাহিত হয়, যা মশার সংস্পর্শে এলেই মশা মরে যায়।

মশা তাড়ানোর ওষুধে কাজ হচ্ছে না? জেনে নিন আসল কারণ

সারা রাত মশা মারার মেশিন চালিয়ে রাখলে কতটা বিদ্যুৎ খরচ হয়? জেনে

কিন্তু প্রশ্ন হল এই ব্যাটে ঠিক কতটা পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহিত হতে পারে? তাতে কি মানুষের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে? কোনও শিশু এতে হাত দিয়ে ফেললে কী হতে পারে?

এই ধরনে ব্যাটগুলি থেকে যে পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহিত হয় তা খুব কম মাত্রার হলেও জোরদার ধাক্কা দিতে পারে। এই আঘাতেই মশা মারা যায়। এটিতে ৫০০ থেকে ৩০০০ ভোল্ট প্রবাহিত হতে পারে।

তবে বিদ্যুৎ প্রবাহ খুব কম, মাত্র কয়েক মাইক্রোঅ্যাম্পিয়ার। এত কম তড়িৎ তরঙ্গ মানুষের ক্ষতি করতে পারে না। তবে যদি এটি খালি হাতে স্পর্শ করা হয় তবে সামান্য ঝটকা লাগতে পারে।

আরও পড়ুন - দেওয়াল থেকে কতটা দূরে রাখতে হয় ফ্রিজ? ৯৯% মানুষ সঠিক তথ্য জানেন না

এই গ্যাজেট থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তা শুধুমাত্র মশা বা মাছির মতো ছোট কীটকে হত্যা করতে পারে।

তবে এটি ছোট শিশুদের থেকে দূরে রাখাই ভাল। এ সংক্রান্ত সতর্কবার্তাও দেওয়া থাকে ওই ব্যাটে।

আসলে, এধরনের ব্যাটে হাই ভোল্টেজ জেনারেটর সার্কিট ইনস্টল করা থাকে। বলা ভাল এটিই ব্যাটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এই সার্কিটের কাজই হল ডায়রেক্ট কারেন্ট (ডিসি) ভোল্টেজকে হাই ভোল্টেজ এসি-তে রূপান্তর করা। এই রূপান্তেরর সময় এটি ২০০-৩০০ ভোল্টেজ শক তৈরি করে।

অ্যাম্পিয়ার এবং মাইক্রোঅ্যাম্পিয়ার উভয়ই বিদ্যুৎ প্রবাহের একক, তবে তাদের মাত্রা আলাদা। অ্যাম্পিয়ারকে A দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, মাইক্রোঅ্যাম্পিয়ারকে µA দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

উচ্চ মাত্রার বিদ্যুৎ পরিমাপের জন্য অ্যাম্পিয়ার লেখা। ছোট বৈদ্যুতীন যন্ত্রগুলি জন্য মাইক্রোঅ্যাম্পিয়ারে কাজ করে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ