মেডিসিন ছাড়া কিভাবে তাৎক্ষণিক গ্যাস্ট্রিক থেকে আরাম লাভ করবেন।

প্রত্যাহিক জীবনে অনেক রোগের সাথে আমরা পরিচিত। মানবজীবনে অগ্রগতির সাথে সাথে নানান কিছু জটিল রোগের সাথে আমরা পরিচিত হচ্ছি প্রতিনিয়ত। কিছু কিছু রোগের জন্য আমাদের নিয়মিত ঔষধ খেতে হয়।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আবার অনেক সময় দেখা যায় প্রয়োজনীয় ঔষধ টি হাতের কাছে নেই। ঠিক তেমন একটি বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করব। আলোচনার বিষয়বস্তু গ্যাস্ট্রিক ও তাৎক্ষণিক আরাম লাভের উপায়।

কোন প্রকার মেডিসিন ছাড়া কিভাবে আমরা তাৎক্ষণিক আরাম লাভ করতে পারি:_

সুস্থ থাকুন এবং সুন্দর থাকুন

ধরে নিন আপনার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে, পেটের ভিতর খুব অস্বস্তি হচ্ছে। এই অস্বস্তি কি আপনার অনেক পুরনো। আপনি এই অস্বস্তি নামক গ্যাস্ট্রিক রোগের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা গেল রোগটি আপনাকে জটিলতায় ফেলেছে। কিন্তু আপনি হাতের কাছে কোন ওষুধ খুঁজে পাচ্ছেন না। ঠিক সেই মুহুর্তে আপনার করনীয় কি।

প্রথমত: আপনি যদি এই ধরনের সিচুয়েশন এর সম্মুখীন হন ঘাবড়াবার কিছু নেই। একটু সচেতনতাই আপনাকে এই যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি লাভ করাতে পারে। অবাক হচ্ছেন। অবাক হবার কিছু নেই। আগের যুগের মানুষেরা ওষুধের চাইতে তারা গাছগাছালি কে বিশ্বাস করত। এখনতো আধুনিক যুগ। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা এগিয়েছে অনেক দূর। আমরা কোন কিছুতে আর বিশ্বাস রাখতে পারি না। তবুও কিছু কিছু জিনিস আমাদেরকে ভাবতে বাধ্য করে। পুরনো দিনের কিছু পুরোনো টিপস হলেও বর্তমান যুগেও তো অনেক জনপ্রিয়। আজকের টিপস টি অফিস এরকমই মনে করতে পারেন। করে দেখতে পারেন। ঘাবড়াবার কিছু নেই একদম সহজ পদ্ধতি।

যদি এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়: আপনার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আপনি ওষুধ খেতে পারছেন না/বা ওষুধ খাবার মত পরিস্থিতি নেই/বা ওষুধ আনতে ভুলে গিয়েছিলেন/কিন্তু আপনি এখন আর সহ্য করতে পারছেন না/আপনাকে এখনই এই দুরবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছেন. এটা সম্ভব/আপনি চাইলেই সম্ভব।

২.এর জন্য যা যা করতে হবে: বাড়িতে কোন চায়ের কেটলি তে অথবা কোন পাত্রে পানি নিন/এবার প্রাণীটি অল্প জ্বালে একটু গরম করে নিন/মনে রাখবেন খুব অল্প জ্বালে/চা খাওয়ার মত যতোটুকু উষ্ণতা দরকার ঠিক ততটুকু/এবার পানি গরম হয়ে গেলে একটি গ্লাসে ঢেলে নিন.

৩. গ্লাসে ঢালার সে গরম পানিতে বাড়িতে থাকা অল্প পরিমাণ লবণ মিশ্রিত করে নিন! ঘাবরাবেন না ভয় নেই! ফোনের মধ্যেই আপনি এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

৪. পানিতে হালকা একটু ঠান্ডা হয়ে এলে এবার আস্তে আস্তে পুরো পানিটি খেয়ে নিন। খাবার সময় খুব আস্তে আস্তে খাবেন। খুব বেশি পরিমাণে না হাফ গ্লাস। এতটুকু হলেই চলবে।

এবার কিছুক্ষণ পর খেয়াল করে দেখতে থাকুন আপনার পেটের ভিতর সমস্যাটি ঠিক আগের মত নেই। একটু হলেও কমে গেছে। এ পদ্ধতিটি খুব জনপ্রিয়। অনেকেই এই সম্পর্কে জানেন। আবার অনেকেই জানেন না। পৃথিবীতে অনেক কিছুই আছে যা আমরা জানি না।

আপনার একটু সচেতনতাই আপনাকে আপনার কষ্ট লাঘবে সহায়তা করবে। সুতরাং কোনো কিছুতেই ঘাবরাবেন না। একটু চেষ্টা করবেন। সম্ভব হলে বেশি বেশি টিপস পড়তে থাকুন। তাহলে অনেক কিছুই জেনে যাবেন। একটি সময় দেখা যাবে এই ছোট ছোট টিপসগুলো আপনাকে অনেক সমস্যা থেকে দূরে রাখবে। 

তবে বন্ধুরা এটি হচ্ছে প্রথম একটি পদ্ধতি এবার আমি আলোচনা করবো এর দ্বিতীয় পদ্ধতি নিয়ে। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো।

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ- দ্বিতীয় পদ্ধতিটি আরো সহজ একটি পদ্ধতি।  প্রথমটির  সবগুলো জিনিসটা একই। শুধু প্রয়োজন হবে একটু চা পাতা। গরম পানিতে একটু চা পাতা মিশিয়ে নেবেন। বাস আর কোন কিছু করতে হবে না। কিন্তু মনে রাখবেন চা পাতার সাথে কিন্তু কখনোই চিনি মিশাবেন না। চিনি মেশালে কিন্তু এর কোনো কার্যকরী প্রভাব আপনি খুঁজে পাবেন না। তো যাই হোক আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই তিনটি সহজ জিনিস এর মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণরূপে এর থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেন। তবে আরো অনেক পদ্ধতি আছে।

তবে আমার কাছে মনে হয়েছে এর চেয়ে সহজ কোন পদ্ধতি হয়তো এর চেয়ে সহজ না। এখন পর্যন্ত এটি সবচেয়ে কার্যকর এবং সুন্দর একটি পদ্ধতি। প্রত্যাহিক জীবনে কিছু ছোট ছোট জটিলতা আমরা কিছু ছোট ছোট জিনিস দ্বারা * করে নিতে পারি।

এজন্য হয়তো গুণী মানুষের বলেন কোন কিছুই অবহেলার নয়। সুতরাং যখন ইচ্ছা তখনই আপনারা এরকম একটি সুন্দর টিপস কাজে লাগিয়ে জটিল এই সমস্যাগুলো থেকে একটু আরাম পেতে পারেন। দেখবেন আপনার সমস্যাটি খুব সুন্দর ভাবে দূরীভূত হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর আপনি নিজেকে অন্য রূপে দেখতে পাবেন।

আপনি ভাবতেই পারবেন না এরকম সহজ একটি পদ্ধতি দ্বারা আপনি এতটা উপকৃত হয়েছেন। কিছুক্ষণ পর আপনি বুঝতে পারবেন গ্যাস্টিক নে আমার জটিলতা আপনার মাঝে এখন আর নেই। খুব সুস্থ সুস্থ অনুভব করছেন। সুতরাং সব সময় ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আমাদের কিছু কিছু টিপস এপ্লাই করা উচিত।

এই ছোট ছোট টিপসগুলো হয়তো আপনাকে জটিল অনেক সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ করিয়ে দিবে। এটি একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। অনেকেই এই পদ্ধতিতে খুবই স্বস্তি লাভ করেছেন। আরেকটি কথা এখন পর্যন্ত এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুস্থ থাকুন সুন্দর থাকুন। বেশি বেশি টিপস-এন্ড-ট্রিকস গুলো পড়তে থাকুন।

এখান থেকে আপনি অনায়াসে ছোট গাছ খাটো এস সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। বর্তমান যুগে অনেকেই অনেক কিছু সমাধান করে ফেলছে শুধু নিজের জ্ঞানের পরিধি টাকে বাড়িয়ে। বাঁচতে হলে জানতে হবে কথাটি সত্যি। বেশী বেশী জানুন। আপনি আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবেন। আজ এত টুকুই। অন্য কোনদিন অন্য কোন টিপস-এন্ড-ট্রিকস হাজির হব ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ সবাইকে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ