আসুন জেনে নেওয়া যাক ১২টি হেলথ টিপস। ১.সকালের নাস্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য সেবা যা দিনের শুরুতে আপনার শরীরের শক্তি বাড়ানোর সাথে সাথে আপনার মধ্যে প্রতিবেদনশীলতা এবং কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।
সকালের নাস্তার সাথে আপনি অনেক পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারেন, যেমন টোস্ট, ফলমূল, শাকসবজি, পনির কিংবা দুধ। আপনি যে খাবার গ্রহণ করবেন তা আপনার স্বাস্থ্যকে ভালো করার জন্য উপযুক্ত হতে হবে।
সকালের নাস্তার উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তার জন্য, আপনি সকালের নাস্তা ব্যবস্থাপনার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি পরিকল্পনা করতে পারেন।
এতে আপনি আপনার দৈনন্দিন কর্মকাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন এবং আপনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করবেন।
২.সবজি এবং ফলমূল খেতে অভ্যাস করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এদের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার পাওয়া যায়।
এছাড়াও সবজি এবং ফলমূল ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সাধারণত প্রতিদিন দুই কাপ ফল এবং আড়াই কাপ শাকসবজি খাওয়া উচিত। এছাড়াও দুটি পরিমাণ হতে পারে, যেমন মাঝারি আকারের ফল বা দই খাওয়া হলে তা দুটি কাপ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
ভাত ও তরকারী খাবার প্রতিবেলা খাওয়া স্বাস্থ্যকর না, তাই মাঝে মাঝে ফলমূল একটি বিকল্প খাবার হিসেবে খেতে পারেন। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
৩.প্রোটিন হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা শরীরের সকল কক্ষকে উপকার করে। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উদ্দেশ্যে সাধারণত প্রতিদিন ৫০-৬০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন।
প্রোটিন যুক্ত খাবারের মধ্যে মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, পানির শিং, সোয়াবিন, কিশমিশ, লেন্টিল, ফল এবং সবজি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও দাল, মুগ এবং বিভিন্ন ধরনের নাট প্রোটিনের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে।
প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করার সাথে সাথে এটি প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারে এবং শরীর কে সম্পূর্ণ উপাদান হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। সবচেয়ে উত্তম প্রোটিন সোয়াবিন,
৪.ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটি স্বাভাবিক শরীরের মধ্যে নেতিবাচক হরমোনগুলি স্থির রাখার মাধ্যমে হলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পেতে ব্যায়াম করা প্রভাবশালী উপাদান। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে ব্যায়াম করার জন্য সময়টি শরীরের যোগ্যতা এবং বয়স অনুযায়ী হতে হবে। সাধারণত প্রাতঃকালে ব্যায়াম করা উত্তম হয়।
৫.আপেল, বাদাম এবং মাখন স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে পরিচিত। আপেল একটি স্বাস্থ্যকর ফল, যা প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় কার্বহাইড্রেট প্রদান করে।
বাদাম একটি প্রোটিন এবং মিনারেল সহ উচ্চ পুষ্টিমূলক খাবার। মাখন সহ গাওয়া দুধ স্বাস্থ্যকর খাবারের উপকারিতা গুলি দেয়।
৬.খাদ্য মানসম্পন্নতা এবং পুষ্টিমুলকভাবে বহন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা যায়।
একটি সঠিক পুষ্টিমুলক খাদ্য একটি সম্পূর্ণ ও বিস্তৃত পরিষেবা সরবরাহ করতে হয়। আমাদের খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়ার জন্য আমাদের নিখুঁত পর্যবেক্ষণ করতে হয়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের জন্য আমাদের খাদ্যের মধ্যে সব প্রয়োজনীয় পুষ্টি সম্পন্ন হতে হবে।
খাদ্যের গুণাগুণ বিভিন্ন হতে পারে, যেমন প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ইত্যাদি। এছাড়াও খাদ্যে অতিরিক্ত চর্বি এবং চর্বিযুক্ত উপাদান হলে সেগুলো স্বাস্থ্যকর নয়
৭.পুষ্টিবিদ: যদি আপনি ওজন কমাতে বা শারীরিক সুস্থতার জন্য সঠিক খাদ্য উপভোগ করার জন্য পরামর্শ চান, তবে পুষ্টিবিদের সাথে কথা বলতে পারেন। পুষ্টিবিদরা আপনার খাবার পছন্দ, সংখ্যা এবং পুষ্টিকর্তব্য বিবেচনায় নেয়।
এছাড়াও, আপনার নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে যারা পুষ্টি বিষয়ে সেবা প্রদান করে।
চিকিৎসক: যদি আপনি কোনও স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সমস্যার সম্মুখীন থাকেন যেমন বাড়ানো ওজন, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস ইত্যাদি, তবে একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে পারেন। তারা আপনাকে কোনও পরামর্শ প্রদান করতে পারে
৮.খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে সতর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য পরিষ্কারতা বজায় রাখা, খাবার রান্নার সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করা, হাত পরিষ্কার রাখা এবং খাবার সংরক্ষণে সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করা সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরী। এছাড়াও, খাদ্যের পরিমাণ ও গুণমান নিয়েও সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
খাদ্য সংরক্ষণের জন্য সর্বপ্রথম সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। যদি খাবার তাপমাত্রা উচ্চ হয় তবে তা নষ্ট হতে পারে।
আর যদি তাপমাত্রা নিম্ন হয় তবে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু উত্পন্ন হতে পারে যা পেটে সমস্যা উত্পন্ন করতে পারে। তাই খাদ্য সংরক্ষণে তাপমাত্রা সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরী।
৯.বাসার বাইরে ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার গ্রহণ করা সহজ এবং তা সময় ও শ্রম বাঁচাতে পারে, তবে বাসার ভিতরে রান্না করা খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যকর এবং সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিবেচনার মতো।
নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হল বাসার ভিতরে রান্না করা খাবার গ্রহণে আগ্রহী হওয়ার জন্য:
- সমৃদ্ধ খাবার: রান্না করা খাবার স্বাস্থ্যকর এবং সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিবেচনার মতো। রান্না করা খাবার আপনার পছন্দ অনুসারে স্বচ্ছ এবং সুস্বাদু হতে পারে।
- নিরাপদ এবং পুষ্টিকর: নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাবার নিয়ে বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাইরের খাবারে কিছু খারাপ প্রতিষ্ঠান ও উপকরণ দেখা যায় যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- আর্থিক উপকারিতা: বাসার ভিতরে রান্না করা খাবার গ্রহণ করলে আপনি খুব কম খরচ হবে
- আপনি রেস্টুরেন্ট থেকে নিম্নক্ত খাবার গুলো অর্ডার পারেন:-
- শাকসবজি: শাকসবজি ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার রিচ খাবার। সেহতুক্ত পাকস্থলী থেকে সম্পূর্ণভাবে পরিস্কার এবং জীবানুমুক্ত থাকে। আপনি ভেজিটেবল কারি, সালাদ বা ভেজিটেবল চপ অর্ডার করতে পারেন।
- মুরগীর মাংস: মুরগীর মাংস হিট প্রোটিন এবং ভিটামিন বি রিচ খাবার। আপনি মুরগির কারি, রোস্ট মুরগি বা গ্রিলড মুরগি অর্ডার করতে পারেন।
- মাছ: মাছ হিট প্রোটিন, অমেগা-৩ ফ্যাট এবং ভিটামিন ডি রিচ খাবার। আপনি স্টিম মাছ, গ্রিলড মাছ বা ফ্রাইড মাছ অর্ডার করতে পারেন।
- ফলমূল: ফলমূল ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার রিচ খাবার। আপনি ফল সালাদ বা ফল চাটনি অর্ডার করতে পারেন।
আশা করি এই সামগ্রী আপনার জন্য উপকারী
১১.সন্তানদের জন্য স্কুলের টিফিন হিসাবে সঠিক পুষ্টিকর খাবার গুরুত্বপূর্ণ। এরকম খাবার তাদের শারীরিক এবং মানসিক উন্নয়ন সহজ করে এবং তাদের শিক্ষার্থী জীবনে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।
সঠিক খাবারের মাধ্যমে তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।
টিফিনে সঠিক খাবার নিশ্চিত করতে পারেন যেমন ছোট পাউচে মিশ্রিত ফল, স্যান্ডউইচ, প্রস্তুত ফলমুখী দই, মুফত পানি ইত্যাদি।
টিফিনের জন্য নির্ধারিত খাবার বিন্যাস একটি সুস্থ খাদ্য প্রণালীর সম্পূর্ণ বিন্যাস করা উচিত। সন্তানদের স্কুলের টিফিনের জন্য আপনি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য নির্বাচিত খাবার দেওয়া উচিত এবং তাদের জন্য অতিরিক্ত খাদ্য প্রস্তুত করা উচিত নয়।
১২.একটি পরিবার খাদ্য উপভোগ করতে যখন সমস্ত সদস্য একসাথে কাজ করে থাকে, তখন খাদ্যের প্রভাব সর্বাধিক হতে পারে। সকল সদস্যকে সাথে একটি সামাজিক অভিজ্ঞতা দেওয়া যেতে পারে যে একসাথে খেতে আরাম লাগে এবং এতে সারাদিনের চাপ কমে যায়।
এছাড়াও খাবার গ্রহণের সময় টিভি বন্ধ রাখা উচিত। টিভির সামনে খেতে থাকলে মানসিক চাপ বাড়তে পারে এবং খাদ্য উপভোগ হতে না পারলে একটি মুহূর্তের জন্য একটি সামান্য কাজ করা বা সুষ্ঠুভাবে খেতে না পারলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
টেলিফোন বন্ধ রাখা উচিত যেন সকল সদস্য একে অপরের সাথে সম্পর্ক গড়ে খাবার উপভোগ করতে পারে।
টেলিফোন করা বা পাঠানো মেসেজ মাধ্যমে কোন বিষয়ে কোন চিন্তা থাকলে খাদ্যের প্রভাব কমে যেতে পারে।
Best
Thanks
You must be logged in to post a comment.