ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে আপনার যে নিয়ম ফলো করা প্রয়োজন।

ডায়াবেটিস এর দুটো ধরন রয়েছে টাইপ ১ আর টাইপ ২ তাই আপনার ধরন অনুযায়ী আপনাকে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাই সর্বপ্রথমে ডাক্তাররের পরামর্শ নিন।

1. স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য চয়ন করুন।

সমস্ত শর্করামিশ্রিত খাবার  রক্তের গ্লুকোজ স্তরগুলিকে  নিয়মিত রাখে তাই যে খাবারে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে তা জানা ও মানা  গুরুত্বপূর্ণ । 

এখানে কার্বোহাইড্রেটের শর্করার  কিছু স্বাস্থ্যকর উত্স রয়েছে:

▪️ বাদামি চাল, বা লাল চাল এর রুটি। 

▪️ শাকসবজি।

▪️ ডাল যেমন ছোলা, মটরশুটি এবং মসুর ডাল।

▪️ দুগ্ধযুক্ত দই এবং দুধের মতো ওই জাতীয় খাবার ।

▪️একই সাথে, সাদা ব্রেড, সাদা ভাত কম খাওটাও  গুরুত্বপূর্ণ । 

2. লবণ কম খান।

প্রচুর পরিমাণে লবণ খাওয়া আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে, যার ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এবং যদি  আপনার ডায়াবেটিস থাকে। তাহালে  আপনি ইতিমধ্যে এই সমস্ত পরিস্থিতিতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

প্যাকেজ করা অনেক  খাবারের মধ্যে  লবণ থাকে তাই খাবারের লেবেলগুলি  পরীক্ষা করতে এবং কম লবণযুক্ত খাবারগুলি চয়ন করতে মনে রাখবেন।

 রান্না করা খাবারে  আপনি কতটুকু লবণ খাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখতে  হবে এবং কম লবন দিয়ে খাবার   খাওয়ার চেষ্টা করুন ।

৩. যেসব মাংসে কেরস্টোরল কম সেগুলো খান, বা  কম লাল  মাংস খান।

পশুর উরু বা রাং বা রান ,  লবণে জারিত শুষ্ক শূকরমাংস, গরুর মাংস এবং ভেড়ার মাংস   এই সমস্ত মাংসে  হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের সাথে লিঙ্ক আছে।

উপরেরগুলোর বদলে  অল্প পরিমাণে এগুলি খাওয়ার  চেষ্টা করুন:

▪️ ডাল যেমন সিম এবং মসুর ডাল

▪️ ডিম

▪️ মাছ

▪️ মুরগি এবং টার্কির মতো অন্যান্য মুরগী 

▪️ অলবনাক্ত বাদাম

শিম, মটর এবং মসুর ডালগুলি ফাইবারের পরিমাণও খুব বেশি এবং আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে  খুব বেশি প্রভাবিত করে না।   

আমাদের বেশিরভাগই জানেন যে মাছগুলি আমাদের পক্ষে ভাল তবে,   সামুদ্রিক মাছ এর মত মতো তৈলাক্ত মাছগুলি আরও ভাল।  সপ্তাহে  তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

৪. বেশি ফল এবং নিরামিষ খাবেন।

ফল এবং নিরামিষ খাওয়া আপনার পক্ষে ভাল।  এটি আপনাকে স্বাস্থ্যকর রাখতে এবং  প্রতিদিন আপনার দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার পেতে সহায়তা করতে পারে।

আপনি হয়তো ভাবছেন ডায়াবেটিস এর জন্য তো মিষ্টি ভাল না  ? উত্তর না। পুরো ফলটি সবার জন্য ভাল এবং আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকেও থাকে  তবে এটি আলাদা নয়। ফলগুলিতে চিনি থাকে তবে এটি প্রাকৃতিক চিনি। এটি চকোলেট, বিস্কুট এবং কেকের মতো জিনিসগুলিতে যুক্ত করা চিনির থেকে আলাদা।

৫. স্বাস্থ্যকর চর্বি যুক্ত খাবার  বেছে নিন।

আমাদের সকলেরই চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া দরকার  কারণ এটি আমাদের শক্তি দেয়। তবে বিভিন্ন ধরণের ফ্যাট বিভিন্নভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলি  বাদাম, বীজ,তৈলাক্ত মাছ, জলপাই এর  তেল, র‌্যাপসিড তেল এবং সূর্যমুখী তেলের মতো খাবারগুলিতে থাকে।

কিন্তু  কিছু  ফ্যাট আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। 

তাই নিচের খাদ্যগুলো এরিয়ে চলুন 

▪️ মাংস 

▪️ ঘি

▪️ মাখন

▪️ চর্বিতুল্য পদার্থ

▪️ বিস্কুট, কেক,  বা অনান্য মশলাযুক্ত খাবার। 

▪️ অধিক চিনি যুক্ত খাবার, বেশি তেলে ভাজা পোড়া খাবার।

▪️ মিষ্টি জাতীয় পানীয়, ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার, প্রানিজ ফ্যাট, রিফাইন্ড করা বা চকচকে সাদা ময়দার তৈরি খাবার।

▪️ মধু বা সিরাপ জাতীয় খাবার, মিষ্টি জাতীয় শুকনা ফল এবং প্রক্রিয়া জাত করা স্নাক ফুড কখনই খাবেন না।

৬. সবুজ শাকসবজি খান।

সবুজ শাকসব্জিতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং পুষ্টিতে ভরপুর রয়েছে । রক্তে শর্করার মাত্রায়ও এগুলি ন্যূনতম প্রভাব ফেলে।

পালং শাক এবং পাতা কপির মত   শাকসব্জী হ'ল পটাসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়ামের উদ্ভিদ-ভিত্তিক উত্স । এগুলি প্রোটিন এবং ফাইবার সরবরাহ করে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের জন্য সবুজ শাকসব্জী খাওয়া সহায়ক ।

সবুজ শাক-সবজির মধ্যে রয়েছে:

▪️ পালং শাক

▪️ কলার্ড গ্রিনস

▪️ পাতা কপি

▪️ বাঁধাকপি

▪️ অন্যান্য শাকসবজি 

৭.নিয়মিত হাটা ছলা বা সাধারণত বিয়াম অনুশীলন করুন।

প্রতিদিন সকালে কিংবা বিকালে হাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে আপনার ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকবে পাশাপাশি আপনার হার্টের ভালো হবে।  ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখা এটাই একটা দারুণ সমাধান। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট হাটুন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles