ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির কার্যকরি উপায়

আসসালামু আলাইকুম। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করে শুরু করছি আমার পরের আর্টিকেল।মানুষের জীবন আসলেই অনেক বৈচিত্রময়। প্রতিটি পদে পদে মানুষকে অনেক কিছুর সঙ্গে লড়াই করে টিকিয়ে থাকতে হয়।জীবন যেন যুদ্ধময়। এই জীবনকে ঘিরে মানুষের হাসি-কান্না , সুখ-দু:খ, আনন্দ-বেদনা,ব্যার্থতা-সফলতা।এর মধ্যেও মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই ডিপ্রেশন এ ভুগে থাকে।

ডিপ্রেশন কিঃ ডিপ্রেশন হচ্ছে এক ধরনের ব্বিষন্নতা বা অসুস্থতা।যা মানুষের শরীর ,মন এবং মেজাজকে এর মধ্যে জড়িয়ে থাকে।যারা ড্রিপ্রেশন এ ভুগে তাদের সবকিছুতেই এক ধরনের অস্বস্থিবোধ কাজ করে। কোনও কিছুই ভালো লাগেনা। অস্বস্থিবোধ কিংবা নিজেকে অসহায় মনে হয়।

ডিপ্রেশন এর লক্ষণ: ডিপ্রেশন এর বেশ কিছু লক্ষণ আছে। যেমনঃ

Ø  সবসময় হতাশাগ্রস্থ হওয়া।

Ø  ক্ষিদা কমে যাওয়া এবং ওজন কমে যাওয়া

Ø  অসহায় অনুভূতি

Ø  অপরাধবোধ মনে হওয়া

Ø  মেজাজ খারাপ থাকা

Ø  বিরক্ত হওয়া

Ø  আত্মহত্যার চেষ্টা

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়: ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে হলে নিম্নলিখিত কাজগুলো অনসরণ করতে হবে।যেমনঃ

1) ইবাদত করাঃ মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর সৃষ্টির জীব হিসেবে মানুষ সবসময় মহান রাব্বুল আলামিন এর রহমত এর উপর থাকে। তাই সকল বিপদে-আপদে মহান রাব্বুল আলামিন এর কাছে হাত তুললে। রাব্বুল আলামিন কখনো কাউকে নিরাশ করেনা। তাই বিপদ আপদ ছাড়াও সবসময় আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে।নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে ইবাদত করলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।

2) শরীরচর্চা করাঃ আমরা জানি যে, আমাদের শরীর এবং মনে দুটি একে-অপরের সাথে পরস্পর যুক্ত। তাই মন ও শরীর কে ভালেঅ রাখতে হলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। যখন ডিপ্রেশন এ ভুগবেন, ঠিক তখনি শরীর চর্চার প্রতি ঝুকে পড়বেন।শরীরচর্চা অনেক রোগ থেকে ও মুক্তি দেয়। মনকে রাখে সতেজ ।

3) ইতিবাচক চিন্তাঃ প্রতিটা জিনিস এর যেমন ভালেঅমন্দ দিক আছে। তেমনি ইতিবাচক চিন্তাগুলো অনেক রোগের কার্যেকরী ঔষুধ হিসাবে কাজ করে। তাই ভালো থাকতে ইতিবাচক মনোভাব এবং ইতিবাচক চিন্তা থাকতে হবে।ইতিবাচক চিন্তার দ্বারা মানুষ অনেক বিশ্বস্ত অর্জন এর পাশাপাশি সকল ভালেঅ কাজের ফল পায়। যা আমরা প্রতিনিয়ত প্রমাণ পেয়েছি। তাই সবসময় ইতিবাচক চিন্তা থাকতে মনে পোষণ করতে হবে।

4) স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণঃ আমরা জানি যে, অনেকেই ভোজনপ্রিয়। আর স্বাস্থ্যকর খাবার ও পছন্দের খাবার শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।সবুজ শাকসবজি ,আমিষ, প্রোটিন কিংবা ফলের জুস শরীরের জন্য ও উপকারী। বর্তমানে কভিড-19 সম্পর্কে আমাদের কারো অজানা কোনকিছুই নাই।

তাই সবসময় আমাদের কে সচেতন ও থাকতে হয়। আর সকল স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে হয়। আর প্রয়োজনী স্বাস্থকর খাবার গ্রহণ করতে হয়। যা শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীর ও মনকে্ও সুস্থ রাখে। একটি সুস্থ মন এবং একটি সুস্থ শরীর দুটি এক অপরের পরিপূরক। তাই খাবারের প্রতি সকলেরই যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।এত করে সকল বিষন্নতা থেকে দুরে থাকা যায়।

5) পছন্দের কাজে নিজেকে নিয়জিত করাঃ ডিপেশন এর সময় নিজেকে পছন্দের কাজে নিয়জিত রাখলে মন ভালো থাকবে এবং ডিপ্রেশন ও দুর হবে। অনেকেই বই পড়তে, গান গাইতে, ঘুড়তে,টিভি দেখতে,সিনেমা দেখতে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কাজ করতে পছন্দ করেন। সেই মূহুর্তে নিজের ভালোলাগার কাজটি করুন। দেখবেন ডিপ্রেশন থেকে নিজেকে বের করতে পারছেন। খারাপ লঅগার মুহুত্ব গুলেঅকে ভুলে থঅকতে পছন্দের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখঅ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

6) আপনজনদের সাথে সময় কাটানঃ একা একা থাকলে মাঝে মাঝে নিজের কাছে একাকিত্ববোধ চলে আসে।তাই আপনজন এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে হাসি-ঠাট্টা, আড্ডায় নিজেকে মেতে রাখুন। যদি দেখেন, আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন।তাহলে আপনজনদের সাথে ভালো সময় গুলো কাটান।আপনজনদের সাথে গল্পগুজব করুন। দেখবেন মন ভালো থাকবে। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাবেন।

7) প্রকৃতির কাছে যাওয়াঃ প্রকৃতি সবাই ভালোবাসে।মন খারাপ থাকলে প্রকৃতির কাছে গেলে অনেক শান্তি লাগে। আর বর্তমান সময়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পছন্দ করেনা এমন লোক পাওয়া খুব কম।শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের মনকে প্রফুল্ল রাখতে প্রকৃতির সাথে সময় কাটান অনেক মানুষ।খারাপ মুহুর্ত্ব গুলোতে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেলে সমস্ত বিষন্নতা দুর হয়।

8)  ধৈর্য ধারণঃ যে কোন বিপদে কিংবা খারাপ সময়ে নিজেকে শান্ত রাখা এবং ধৈর্য ধারণ করা একটি মহৎগুন। যে গুনে মানুষ সকল প্রকার ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে পারে। ধৈর্য ধারণ সকল বিপদের ই মহোঔষ। যা আমরা প্রতিনিয়ত প্রমাণ পেয়ে েথাকি।  আর যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ও অনেক গ্রহণযোগ্য।

9) লক্ষ্য নির্ধারণঃ যুগে যুগে অনেক কবি, সাহিত্যিক কিংবা মনীষীদের জীবন কাহিনী আমরা বহুবার পড়েছি।সেখান থেকেই অনেক জ্ঞানও অর্জন করেছি। সকল প্রকার খারাপ লাগা গুলেকে কিভাবে তারা বিদায় দিয়েছিল নিজ উদ্দোগে।তার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। কিভাবে তাদের বিষন্নতা এবং খারাপ মুহুর্ত গুলোকে মোকাবিলা করতে হবে। তাই ডিপ্রেশন থেকে বের হতে চােইলে প্রথমেলক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। তবেই ইহা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

10) ভ্রমনে যাওয়াঃ মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্রময়। এই বিচিত্রময় জীবনে সকল কিছুর সাথে তালমিলিয়ে প্রতিযোগিতামুলকভাবে তাকে ভালেঅ থাকতে হয়। সারাদিন কর্মব্যস্থতা এবং পরিবার এর সংসার এর সমকল কাজ , আত্বীয়সজনদের সময় দেওয়া , সবকিছুই মেইনটিইন করে চলতে হয়। তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে অশান্তি এবং ডিপ্রেশন এ মানুষ ভুগতে পারে। এই বিষন্নতা থেকে দুরে থাকতে আপনার পছন্দের জায়গাগুলো থেকে ভ্রমণ করে আসেন। মনকে প্রফুল্ল রাখতে ভ্রমনের বিকল্প নাই।

ডিপ্রেশন হচ্ছে এক দরনের অসুস্থতা। যা মন থেকে আবিভৃাব হয়। মনটা যেহেতু নিজেরই। তাই মন কে কিভাবে ভালো রাখা যায় নিজেকেই কঠোর উদ্দ্যোগ নিয়ে মন ভালো রাখার দায়িত্বটাও নিতে হবে।অন্যথায় ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়অ সহজেই যাবেনা। ছোট্র এই জীবনে শত ঘাত-প্রতিঘাত মোবাবিলা করে ,ডিপ্রেশনকে বিদায় বলে যারা ভালেঅ থাকে ,সত্যিকার অর্থে তারাই তো সূখী মানুষ।

ধন্যবাদ সবাইকে

মোছাঃ শারমিন আক্তার সোনিয়া

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
MD HABIBUR RAHMAN - Aug 27, 2021, 6:27 AM - Add Reply

hi everyone. I'm a Bangladeshi Content Creator. I'm Making Youtube Video About Freelancing Outsourcing and Web Design Development. My youtube Channel Name : Adnan Habib

My Channel Link: https://www.youtube.com/adnanhabib

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles