প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল কমানোর কার্যকরী উপায়

আপনি কিভাবে খুব সহজে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল খরচ কমাতে পারেন, আমরা আপনাকে সে বিষয়ে খুব ভালো ভাবে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবো। যদি আপনি এই আর্টিকেলটি ভালো ভাবে সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি সহজে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল খরচ কমাতে পারবেন।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

০১। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করাঃ

আমরা আমাদের বাসা-বাড়ি,স্কুল-কলেজ,ব্যবসা- প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকি।

উল্লেখযোগ্য জায়গা গুলোতে আমরা সবচাইতে বেশি ব্যবহার করি বৈদ্যুতিক বাতি।

আমরা বেশির ভাগ সময় টাকা বাচানোর জন্য কম দামি নিম্ন মানের বাতি ব্যবহার করে থাকি।

এসব কম দামি বাতি গুলো বেশি টেকসই দেয় না এবং বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করে। 

যার ফলে বাতি বেশি টেকসই না হওয়ার কারণে বাতি গুলো বেশি পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়

এবং বেশি বিদ্যুৎ খরচ হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি দিতে হয়।

আমরা যদি একটু বেশি টাকা দিয়ে উন্নত মানের এলইডি বাতি কিনে ব্যবহার করি তাহলে আমাদের প্রতি মাসে অনেক টাকা বাঁচাতে পারবো।

কারন উন্নত মানের এলইডি বাতি গুলো আলো দেয় ভালো, টেকসই বেশি হয়, সার্ভিস ভালো হয়ে থাকে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে বেশি। 

তাই আমরা টাকা বাঁচানোর ভয়ে নিম্ন মানের বাতি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবো। টাকা একটু বেশি লাগলেও ভালো জিনিস ব্যবহার করাই ভালো।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করাঃ 

 

০২.মানসম্মত ক্যাবল ব্যবহার করাঃ

আমরা বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার জন্য নানা ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে থাকি।

আমাদের ক্যাবলগুলো যদি নিম্ন মানের হয়ে থাকে তবে আমরা সহজে বড় ধরনের দূর্ঘটনার শিকার হতে পারি।

তাছাড়া এসব নিম্ন মানের ক্যাবল গুলো বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করে থাকে।তাই আমাদের উচিত ভালো মানের ক্যাবল ব্যবহার করা। 

এতে করে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে এবং নানা ধরনের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবো।

০২.মানসম্মত ক্যাবল ব্যবহার করা 

 

০৩.বৈদ্যুতিক ডিভাইসের সুইচ বন্ধ রাখাঃ

আমার বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করার পর সুইচ বন্ধ করি না যার ফলে বৈদ্যুতিক ডিভাইস গুলো বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে।

যেমন- মোবাইলের চার্জার, টিভির সুইচ, এসির সুইচ,ফ্যানের সুইচ ইত্যাদি। 

এসব বৈদ্যুতিক ডিভাইস ব্যবহার করার পর সেগুলোর সুইচ বন্ধ রাখার মাধ্যমে অনেক বিদ্যুৎ খরচ কমানো সম্ভব। এতে করে প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট টাকা আামাদের অপচয় কম হবে।

০৩.বৈদ্যুতিক ডিভাইসের সুইচ বন্ধ রাখাঃ

 

০৪।এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করাঃ

আমরা অনেকে বাসা বাড়িতে এসি ব্যবহার করি। এই এসির টেম্পারেচার ২৫ ডিগ্রির নিচে কমানো যাবে না। 

যদি আমরা এসির টেম্পারেচার ২৪ ডিগ্রির নিচে রাখি তবে এসি কখনো অনলোডে যাবে না, এসির কম্রেসার চলতে থাকবে।

এই এসির কম্প্রেসার সবসময় চলার ফলে এসির বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে এবং এসির লাইফ টাইম কমে যাবে।

সেজন্য ঘরের যত ছিদ্র থাকবে সেগুলো ভালো করে সিল করা যাতে করে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

তাই আমাদের উচিত এসির টেম্পারেচার ২৫ ডিগ্রি নিচে না রাখা। এতে করে আমরা খুব সহজে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল কমানোতে পারবো।

০৪।এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করাঃ

 

০৫।প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহার করাঃ

 

আমাদের যাদের সামর্থ্য আছে তাদের উচিৎ সোলার ব্যবহার করা। এটি একটু ব্যয় বহুল হলেও এর ব্যবহারে আমরা সহজে বিদ্যুৎ ব্যবহার কমিয়ে আনতে পারি।

যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ কমে আসবে এবং প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল বেশি দিতে হবে না। তাছাড়া প্রয়োজন ছাড়া ফ্যান অথবা এসি ব্যবহার না করা।

ঘরের বাইরে যদি পর্যাপ্ত বাতাস থাকে সে ক্ষেত্রে দর্জা জানলা খুলা রেখে প্রকৃতির বাতাস ব্যবহার করা উচিৎ। 

আবার দিনের বেলায় বাইরের আলো ঘরের ভিতর প্রবেশ করার সুব্যবস্থা করার মাধ্যমে, বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহার কমানো সম্ভব। 

আমরা যদি একটু সচেতন হই তবেই আমাদের দেশের সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি।

তাই আসুন সচেতন হই দেশের সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করি।

০৫।প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহার করা

 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ