সাইবার নিরাপত্তা | আমাদের ডিজিটাল দুনিয়াকে সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজন।

বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এখন বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একদিকে দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে, আর অন্যদিকে সাইবার হ্যাকিং, ভাইরাস সংক্রান্ত সমস্যা ও অন্যান্য সব বাড়ছে। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা আমরা সমস্ত জায়গায় সহজেই যোগাযোগ করতে পারি। ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিজিটাল পণ্যপদার্থ এখন আমাদের জীবনের অভিন্ন অংশ হিসাবে গণ্য হয়ে উঠছে।

 তবে এই ডিজিটাল সমস্ত পণ্যপদার্থই কখনও নিশ্চিত নয়। সাইবার আপত্তির ঝুঁকি সব সময় আছে এবং তার বিনিময়ে আমরা বিভিন্ন ধরণের সাইবার আপত্তি দেখতে পারি।

সাইবার আপত্তির মাধ্যমে হ্যাকাররা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, ফাইনান্সিয়াল তথ্য, ব্যবসায়িক তথ্য এবং অন্যান্য তথ্যসমূহে অবগত হতে পারে।

 ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগুলি এখন আমাদের জীবনে অসংখ্য উপকার করছে, কিন্তু এগুলি আমাদের জীবনকে পরিণত করার পাশাপাশি এটি নিখুঁতভাবে আমাদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়াতে পারে।

সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে আমাদের জানা জরুরী যে, এই দিকে আমরা নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে আমরা যতটা উপকার পাচ্ছি, ততটা সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছি।

সাইবার অপরাধের মধ্যে অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে, যেমন ডেটা চুরি

এটি আমাদের জীবনযাপনের সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কারণ আমরা এখন ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগুলি ব্যবহার করি নিখুঁতভাবে।

সাইবার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে আমরা সুরক্ষিত থাকি। কিছু প্রধান সাইবার নিরাপত্তা সমস্যা হল:

ফিশিং: এটি একটি ধ্বংসপ্রবণ পদক্ষেপ যা লোকেরা মানসিকভাবে আকাশপাত পর্যবেক্ষণ করে তাদের নিজেদের নাম, ঠিকানা, ব্যবহৃত সেবা এবং তথ্য সংক্রান্ত অন্যান্য মূল্যবান তথ্য জানতে চেষ্টা করে। 

এই সমস্যাটি একটি প্রধান সাইবার নিরাপত্তা সমস্যা হয়ে উঠছে। ফিশিং একটি সাধারণ সাইবার হামলা যা প্রধানত ইমেইল এবং সাইটে ঘটে। 

একটি হ্যাকার অস্তিত্বে ভালভাবে লেখা ইমেইল বা সাইট দেখে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য উপলব্ধ করে।

ম্যালওয়ার: ম্যালওয়ার হল কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা হ্যাকাররা কম্পিউটারে ইনফেকশন দেওয়ার জন্য ব্যবহার করে। 

এর মাধ্যমে হ্যাকাররা কম্পিউটারে দখল করে সাধারণত ব্যবহারকারীর জন্য নিরাপদ থাকা অন্যান্য সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হল হ্যাকাররা একটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য উপলব্ধ করার জন্য মানসিক প্রভাব ব্যবহার করে প্রতারণা করা।

এটি বিভিন্ন প্রকারের হামলার পদক্ষেপ এবং সাইবার নিরাপত্তা সমস্যার মধ্যে প্রধান একটি।

সাইবার নিরাপত্তা সমস্যার সমাধানের জন্য নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:

সঠিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা: ব্যবহারকারীরা সবসময় শক্তিশালী এবং সংগ্রহযোগ্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। পাসওয়ার্ড প্রতি একটি ওয়েবসাইটের জন্য একই হতে না হবে এবং বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা উচিত।

অজানা ইমেল সন্দেশ বা সাইটের সাথে অন্যান্য লিংক ব্যবহার করা বন্ধ করা: সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে সুরক্ষিত থাকতে অজানা ইমেল সন্দেশ বা সাইটের সাথে অন্যান্য লিংক ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।

এনক্রিপ্ট করা সংযোগ ব্যবহার করা: এনক্রিপ্ট করা সংযোগ ব্যবহার করা সুরক্ষিত ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে হবে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ