পড়তে মন চায় না ? এই টিপস ফলো করলে ১০০% পড়ায় মনোযোগ হবে

আমরা যখন পড়তে বসি তখন পড়ায় মনোযোগ তো থাকেই না বরং হাজারো বাইরের চিন্তা মাথায় আসে। যেমন, কালকে আমার খেলা আছে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার কাহিনী, ফেসবুকে এখন ঢোকা হয়নি এমন কেমন ধরনের কথা মাথায় ঘুরপাক খায়। আর এমন ধরনের চিন্তা যদি মাথায় ঘুরপাক খায় তাহলে আমরা কি করে পড়ায় মনোযোগ দিতে পারি।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

হুম, পড়তে বসলে পড়ায় আমাদের মনোযোগ আসে না। আর তাই কিভাবে পড়ায় মনোযোগ দেওয়া যায় তার কার্যকরী ও সহজ কিছু টিপস দেওয়া হলো। 

টিপস নাম্বার- ১

পড়তে বসার আগে চিন্তা করুন কোন সময় আপনার মনটা ভালো থাকে, ফ্রেশ থাকে। সেটা সকাল-বিকাল বা রাত হতে পারে। আর মনটা ফ্রেশ রাখার সবথেকে বড় উপায় টেনশন থেকে বিরত থাকা।।

আপনি সময় নির্ধারণ করে পড়তে বসুন । প্রথম দিকে হয়তো বেশিক্ষণ পড়তে পারবেন না আপনার বেশি পড়ার ও দরকার নাই। প্রথম দিন দশ মিনিট পর তারপরের দিন 15 মিনিট তার পরের দিন 20 মিনিট এভাবে বাড়াতে থাকুন।

হটাৎ করে অতিরিক্ত সময় পড়তে যাবেন না। এতে মাথায় অতিরিক্ত চাপ পড়বে। কিন্তু কম কম সময় যদি বাড়াতে থাকেন এতে আপনার ব্রেনে কোনো প্রেশার পড়বে না এবং কয়েক দিন পর থেকে আপনি একটানা অনেক সময় পড়তে পারবেন।

টিপস নাম্বার -২

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পড়ার মাঝে বিরতি নেওয়া। কখনো একটানা দুই থেকে তিন ঘণ্টা পড়বেন না।একটানা ব্রেনের উপর প্রচুর চাপ পড়ে। পড়ার মাঝেমাঝে বিরতি নেন।আধাঘন্টা পর পর অথবা এক ঘন্টা পর পর।

বিরতির মাঝে আপনি গান অথবা কবিতা শুনেন।এতে আপনার মন ফ্রেশ হবে, পড়ায় মনোযোগ বসবে।  আর পড়ায় গভীর ভাবে মনোযোগ দিতে পারলে পড়াও তাড়াতাড়ি মুখস্ত হবে।

টিপস নাম্বার -৩

পড়তে বসার সময় একা বসার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার পড়ার ব্যাঘাত ঘটবে না। আপনার পাশে কেউ থাকলে, সে যদি শব্দ করে তাহলে আাপনার পড়া থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলবেন। একবার মনোযোগ হরিয়ে ফেললে মনেযোগ আনতে  আপনার সময় লাগবে,তাই পড়ার সময় একা বসুন।

টিপস নাম্বার -৪

পড়তে বসলে সবার আগে যে পড়াগুলো আপনার বিরক্ত লাগে সেই পড়াগুলো আগে পড়ার চেষ্টা করুন। পড়ে শেষ পারলে আপনি মনে আনন্দ পাবেন। কারণ পরের পড়াগুলো তো আপনার মনের মত সহজ। যার কারণে আপনার পড়তে ইচ্ছা থাকবে এবং মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারবেন। কিন্তু বিরক্ত কর পড়া গুলো পরে পড়লে আপনার বোরিং লাগবে আপনার পড়তেই ইচ্ছে করবে না।

টিপস নাম্বার -৫

অনেকের ইংরেজি মুখস্ত হয় না আবার অনেকের বাংলা মুখস্ত হয় না। তখন এই বিষয় গুলো তাদের কাছে কঠিন মনে হয়।পড়তে ইচ্ছা হয় না। পরীক্ষার সময় এই বিষয়গুলো নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন তখন কী করবেন??

এই সময় হতাশ হবেন না। কনফিডেন্স রাখুন নিজের উপর। এই সাবজেক্টগুলো বেশি পড়ার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার  এই সাবজেক্ট গুলোর উপর কনফিডেন্স আসবে, পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে।আর এই সাবজেক্ট গুলো পড়তে এক সময় খুব ভালো লাগবে। 

টিপস নাম্বার -৬

অনেক সময় আমরা হাতে কলম, পেন্সিল, নিয়ে পড়তে বসি এবং এগুলো নাড়াতে থাকি আর এই নাড়ানোর কারণে অনেক সময় আমাদের মনোযোগ পড়া থেকে বের হয়ে যায়।পড়ার সময় হাতে কোনো দব্য সামগ্রী রাখবেন না। এতে পড়ায় পূর্ণ  মনোযোগ দেওয়া যায় না।তবে প্রয়োজনের কারণে নিয়ে থাকলে ও নাড়াচাড়া না করা উচিত 

টিপস নাম্বার -৭

পড়ার সময় মোবাইল ফোন ধারে রাখবেন না। কারণ অনেক সময় মেসেজ এর শব্দ কানে এসে এতে করে আপনি পড়ায় মনোযোগ দিতে চাইলে ও মনোযোগ ওই দিকে চলে যাবে। আপনার মনোযোগ এর বিগ্ন ঘটাতে পারে। আর কাছে রাখলে ও ফোনটা বন্ধ কর রাখার চেষ্টা করবেন। 

টিপস নাম্বার -৮

পড়ার  আগে হালকা পাতলা কিছু নাস্ত করে পড়তে বসবেন। পেটে ক্ষুদা থাকলে কোনো কাজেি তো মন বসে না তবে পড়ায় মন বসবে কী করে। আর পড়ার সময় পানি পাশে রাখবেন  এটা ব্রেন কে ঠান্ডা সতেজ রাখতে সাহায্যে করে।আর মাথা ঠান্ডা ও সতেজ থাকলে পড়ায় মন বসে।

টিপস নাম্বার -৯

পড়তে পড়তে আপনার যখন ঘুম চলে আসবে তখন আপনি কী করবেন?

তখন একটা সাবজেক্ট করা যায়। তখন ম্যাথ করবেন। কারণ ম্যাথ করতে সূত্র ও নিয়ম মনে করা লাগবে এতে আপনার ঘুম থাকবেনা আর একটা গান ও চলিয়ে ম্যাথ করতে পরেন কারণ ম্যাথ করা সময় গান চালালে কোনো সমস্যা হয় না এছাড়া ঘুম ও আর থাকবে না । আর ঘুম না থাকলে আপনি পড়ায় মনোযোগ দিতে পারবেন। 

টিপস নাম্বার -১০

অনেকের পড়ে মুখস্ত হতে চাইনা। আবার অনেকে মনোযোগ দিতে পারে না।তাদের উদ্দেশ্যে শেষ একটা কথা বলি।বর্তমান সোশাল মিডিয়ায় হাজার হাজার ভয়েস ও ভিডিও আপলোড করা আছে,আপনারা এই গুলো দেখে  ও পড়া করতে পারেন। আবার লিখা ও থাকে সেটা ও দেখে পড়া যায়। 

ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।টিপস গুলো ফলো করলে আসাকরি পড়ায় মনোযোগ দিতে পারবেন। সবার সুস্থতা কমনা করে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

গল্পের লেখক।