আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য কয়েকটি সহজ টিপস অ্যান্ড ট্রিকস ।

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কার্যকারিতা বাড়ানোর  জন্য  কয়েকটি  সহজ  টিপস অ্যান্ড ট্রিকস । 

কিভাবে  অ্যান্ড্রয়েড ফোনের  কার্যকারিতা বাড়ানো যায় আজকাল  এমনটা অনেকেই ভাবছেন ।   তাই আজ আমি  এখানে দেখাব কিভাবে আপনি আপনার  অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কার্যকারিতা বাড়াতে পারেন এমন কিছু টপ্স অ্যান্ড ট্রিকস সম্পর্কে। 

অ্যান্ড্রয়েড হল সবচেয়ে উন্নত এবং খুব জনপ্রিয় মোবাইল বা ট্যাবলেট অপারেটিং সিস্টেম যার মধ্যে বিল্ট-ইন বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

 প্রতিটি মানুষের হাতে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস পাওয়া যায় কারণ, গড়ে একজন মানুষ এই  অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলি প্রায় সর্বত্রই খুঁজে পাওয়া যায় এবং সেগুলি নিম্ন থেকে শুরু করে উচ্চমানের স্মার্টফোন পর্যন্ত।

অ্যান্ড্রয়েডের  পারফরম্যান্সকে গতিশীল করার অনেকগুলি উপায় রয়েছে এবং এটিকে আরও দ্রুত অনুভব করার জন্য আপনি কিছু কাজ করতে পারেন। তাই আজ সেইসব  ব্যবহারকারীদের জন্য, আমি  এখানে একটি ধাপে ধাপে সমাধান নিয়ে এসেছি যার মাধ্যমে আপনারা  সহজেই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে দ্রুত চালাতে পারে। তাই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে দ্রুত চালানোর জন্য নিচের ধাপগুলো ভালভাবে  পড়ুন। 

1. আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মেমোরি জাংক  পরিষ্কার করে রাখুন। 

আমাদের স্মার্টফোনে কিন্তু অনেক অ্যাপ রান করা থাকে, তাছাড়া আমরা বিভিন্ন ব্রাউজারেও কিন্তু বিভিন্ন জিনিস সার্চ করে থাকি দেখে থাকি পড়ে থাকি এতে কিন্তু আমাদের স্মার্টফোনর সেট মেমোরিতে অনেক cache ফাইল জামা হয়ে থাকে এবং সেটের জায়গা দখল করে এতে ব্রাউজার এর গতি অ্যাপের গতি কমিয়ে দেয়।  অনেক সময় সেট হ্যাং হয়ে যায়।  তাই আমার সবসময় এসব  cache বা জাংক পরিস্কার করে রাখা উচিত। তার জন্য আপনি বিভিন্ন ভালো মানের  ক্লিনার অ্যাপ ( cleaner app ) ব্যবহার করতে পারেন।  যেমনঃ cleaner master,  DFNDR security  ইত্যাদি। 

Cache কি এ বিষয়ে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে নিচের লিংকে গিয়ে জানতে পারবেন 

👇

ব্রাউজিং ক্যাশ কি? কিভাবে কাজ করে। 

2. আপনার স্মার্টফোনের ফার্মওয়্যার আপডেট করুন। অর্থাৎ ফোনের সিস্টেম আপডেট করা।

স্মার্টফোনের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য আমাদের সকলেরই ফোনের  সিস্টেম আপডেট করা প্রয়োজন। দেখবেন দীর্ঘদিন ফোনের সিস্টেম আপডেট না করা হলে Update your phone এই রকম একটা নোটিফিকেশন আসে। এখন হয়তো আপনার প্রশ্ন হতে পারে ফোন আপডেট করে কি লাভ?

কারণ আপডেটগুলি কিছু বাগ সংশোধন করে, নতুন বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য সমস্যা থেকে নিরাপদ রাখে । এই ধরনের সমস্যাগুলি যুক্তিসঙ্গত ফ্রিকোয়েন্সি সহ ক্রপ করে, তাই নিয়মিত আপডেট করলে আপনার ফোনের সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করবে।

3. অপ্রয়োজনীয়  অ্যাপস আনইনস্টল করে রাখুন।

আপনি হয়তো জানেন যে একটি অ্যাপ ইনিস্টল করলে তার পর থেকে এটি চলতে থাকে,  এবং cache আকারে ছোট ছোট ফাইল তৈরী করতে থাকে আপনার ডিভাইসের মেমোরিতে।  তাই যেসব অ্যাপ আমাদের আর প্রয়োজন নেই সেগুলো আনইনস্টল করাই ভালো। 

এতে আপনার ফোনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ রান করার মত যথেষ্ট  পরিমান জায়গা থাকবে। 

4. আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন রিসেট করুন।

যদি দেখেন যে আপনার ফোন ঠিকমত কাজ করছে না,  মোবাইল হ্যাংগ করছে,  বা হটাৎ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে,  ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে এগুলোর একমাত্র সমাধান হচ্ছে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন রিসেট করা।  ফোন রিসেট করলে আপনার ফোন মেমোরির সব তথ্য মুছে যাবে,  এবং নতুনভাবে আবার সবকিছু চালু হবে এতে আপনার ফোনের কার্যকারিতা আরো বেড়ে যাবে।  তাই স্মার্টফোনর বেশি সমস্যা হলে আমাদের ফোন রিসেট করা ভালো।

5.  আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের অ্যাপ গুলো  যথাসম্ভব আপডেট করে রাখুন। 

প্রতিটি অ্যাপই  তারা  মাসে মাসে নতুন ভার্সন আপডেট করে রাখে, যারা অ্যাপ গুলো  বানিয়ে থাকেন।  তাই আমাদের উচিত যেসব অ্যাপ আমাদের ফোনে রয়েছে সেগুলো মাসে মাসে আপডেট করে রাখা। দীর্ঘদিন যাবত একটা অ্যাপ আপডেট করে না রাখলে অ্যাপের গতি এবং ফোনের গতি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।  তাছাড়া অ্যাপ ঠিকঠাক কাজ নাও করতে পারে। 

6. Internal storage অর্থাৎ স্মার্টফোনের  অভ্যন্তরীণ মেমোরির  স্থান পরীক্ষা করুন।

যেকোনো স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ কিন্তু কম থাকে,  ভালো দামের মোবাইল হলেও কিন্তু ইন্টারনাল স্টোরেজ ৩০- ৪০ জিবির উপরে থাকে না,  তাই আমাদের স্মার্টফোনের অ্যাপ কিংবা ব্রাউজার যেন ঠিকঠাক চলতে পারে বা কাজ করতে পারে সেজন্য ইন্টারনাল স্টোরেজ কমপক্ষে ৩-৪ জিবি খালি রাখতে হবে। ইন্টারনাল স্টোরেজ ভরে গেলে কিন্তু অন্যান্য অ্যাপ ইনিস্টল করতে পারবে না অথবা ইন্সটল করা অ্যাপ ঠিকঠাক কাজ করবে না। 

7. লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার করবেন না।

আমরা অনেকেই কিন্তু  সুন্দরের জন্য বিভিন্ন প্রকারের  লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার করে থাকি,  কিন্তু এটা অনেক সময়ই  আপনার স্মার্টফোনকে ধীর করে দিতে পারে বিশেষ করে যারা পুরোনো হার্ডওয়্যার ব্যবহার করেন। তাছাড়া  লাইভ ওয়ালপেপার ব্যাটারি লাইফ ও কমিয়ে দিয়ে পারে, কারণ একটা লাইভ ওয়ালপেপার কিন্তু একটা ভিডিও এর মতই,  এটি  র‍্যাম এবং প্রসেসিং শক্তির ব্যবহার করে। তাই এটা ব্যাটারি লাইফ এবং র‍্যাম এর প্রসেসিং শক্তি অনেকটাই কমিয়ে দিয়ে পারে। তাই আপনি লাইভ ওয়ালপেপার এর  পরিবর্তে স্ট্যাটিক ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে পারেন।

8. প্রসেস কিলার অ্যাপ ব্যবহার করুন।

আপনি টাস্ক কিলার অ্যাপের সাহায্যে সমস্ত অবাঞ্ছিত কাজ অর্থাৎ যেগুলো আপনার আর দরকার নেই সেগুলো মুছে ফেলতে  পারেন।  কিন্তু  একসাথে সমস্ত চালু  অ্যাপ বন্ধ করার জন্য  প্রসেস কিলার ব্যবহার করবেন না। ভিডিও গেমস, যেসব গেইম আপনি খেলান না  এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনের মতো   অবাঞ্ছিত অ্যাপগুলি আনইন্সটল করে রাখুন । প্রসেস কিলার অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি আপনার ফোনের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ,  ক্যাশ,  টাস্ক ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

9. অপ্রয়োজনীয় (  Widgets ) উইজেট, সীমিত উইজেট এবং অ্যাপ শর্টকাট যথাসম্ভব কম রাখার চেষ্টা করুন। 

উইজেটগুলিও সহায়ক হতে পারে, তবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের  মাঝে মাঝে এটির কারণে অতিরিক্ত জাংক বাড়ার সুযোগ রয়ে থাকে। কেবল মাএ যেটি আমাদের সবসময় ব্যবহার করতে হয় সেটাই উইজেট বা  শর্টকাট আকারে ব্যবহার করতে পারি। তবে  অবাঞ্ছিত উইজেট এবং অতিরিক্ত অ্যাপ শর্টকাট দিয়ে আপনার হোম স্ক্রিন স্প্যাম করবেন না।

যাইহোক আশা করি এসব নিয়মগুলো  যদি আপনি মেনে থাকেন তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড ফোন অবশ্য কার্যকারিতা বাড়বে। তবে সবটা যে কাজে আসতে পারে তা নয় আপনার ফোনের সিপিইউ যদি ঠিকঠাক না থাকে তাহলে ফোন অনেক সময় ডিস্টার্ব করবে। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles