আপনার স্মার্টফোনের জন্য ১০ টি প্রয়োজনীয় টিপস।

আপনার স্মার্টফোনের জন্য ১০ টি প্রয়োজনীয় টিপস। 

 এই ১০ টি টিপস আপনার ফোনের জন্য এবং ব্যাটারির চার্জ ক্ষয় রোধ করার জন্য অনেকটা কাজে লাগবে।  তাছাড়া প্রয়োজনীয় কিছু টিপস ও রয়েছে যেগুলো হয়তো আপনি জানেন না। 

এই পোস্টে 10 টি দরকারী অ্যান্ড্রয়েড টিপস এবং কৌশলগুলি তুলে ধরছি যা আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করার সময় আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত হতে পারে এবং অনেক কিছু জানতে পারবেন । তবে  মনে রাখবেন যে কিছু  বিল্ড এবং ওএস সংস্করণের পার্থক্যের কারণে এই  ধাপগুলি এক ফোন থেকে অন্যটির  কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।  তারপর ও  আমি যাযথাযথ বলার চেষ্টা করছি। 

চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

 1. অপ্রয়োজনীয়  অ্যাপের Notification বা  বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করুন। 

আমাদের স্মার্টফোনে আজকাল কিন্তু আমরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ইন্সটল করি এবং ব্যবহার করে থাকি।  যে অ্যাপ গুলো আমরা ইন্টারনেটর জন্য ব্যবহার করে থাকি , সেগুলো কিন্তু  ডাটা অন করার সময় "টিন টন " সব্দ করে  অনেক Notification বা  বিজ্ঞপ্তি আসে।  যার জন্য কিন্তু আমরা দরকারী অ্যাপের বিজ্ঞপ্তি আগে দেখতে পারি না, (দরকারী অ্যাপের বিজ্ঞপ্তি যেমনঃ ইমো, হোহাটঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ই-মেইল, ফেইসবুক,  ইত্যাদি)  আবার  

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের যেগুলো  বিজ্ঞপ্তি আসে সেগুলো কিন্তু আমাদের দেখার প্রয়োজন হয় না।  

( যেমনঃ শেয়ারইট Shereit,  ভিডমেইট Vidmate, ইইউটিউব,  বা আরো ইত্যাদি) 

 আপনি হয়তো জানেন না যে ফোনে এসব বিজ্ঞপ্তি আসার জন্য আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ এবং ক্ষমতা অনেকটাই খালি করে ফেলতে পারে, তাই আপনার ফোনের 

 ব্যাটারির চার্জ এবং ক্ষমতা ঠিকিয়ে রাখার জন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করে রাখা ভালো। 

কি করে বন্ধ করবেন?

১. আপনি যে অ্যাপের  বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করতে চান,  সেই অ্যাপে কিছুক্ষণ  চাপ দিয়ে ধরুন,  এবার app info দেখাবে,  সেখানে যান।

২. এবার Show notification, এ চাপ দিয়ে turn off বারে ক্লিক করুন। 

৩. অনেক ফোনে app notification লেখা থাকতে পারে,  তাই সেখানে চাপ দিয়ে,   ON  লেখা বাটনটি অফ করে দিন।

 2. প্রয়োজন না হলে  মোবাইল ডেটা বন্ধ করে রাখুন। 

 আমাদের মধ্যে  এমন অনেকেই রয়েছেন যারা,  প্রয়োজন না হলেও  সবসময় ডেটা ( Data)  চালু করে রাখেন। একটি স্মার্ট ফোনের  সবচেয়ে বেশি প্রসেসিং শক্তি এবং ব্যাটারির চার্জ ক্ষয় করে থাকে ডাটা,  তাই আমাদের প্র‍য়োজন না হলে মোবাইল ডেটা বন্ধ করে রাখা ভালো। 

 3. মোবাইল ডেটা লিমিট সেট করে মাসিক ডেটা ব্যয় দেখতে পারবেন।

আপনি কি  দেখতে চান যে প্রতি মাসে আপনি ঠিক কতটুকু ডেটা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন। এই সিস্টেমটি ও এখন অনেক ফোনে রয়েছে বিশেষ করে আই সি এস বা এর উপরের মডেলে। চালু করতে ⬇

১.  সেটিংস এ  গিয়ে ⚙️> Data usage এ যান।

২.  আপনার মাসিক ঠিক কত জিবির  ভিতরে ডাটা ব্যবহার করতে পারবেন সেটি বিবেচনা  করে  কমলা রঙের লাইন টেনে আপনার ডেটা সীমা নির্ধারণ করুন।

৩. আপনার "মাস" কখন শুরু এবং শেষ হবে তার উপর ভিত্তি করে আপনার ডেটা ব্যবহার চক্র সেট করুন। 

 আপনি যে সীমা নির্ধারণ করেছেন তা পেরুলে   আপনাকে সতর্ক করা হবে।  মনে রাখবেন যে আপনার ফোনের ট্র্যাক করা ডেটা ব্যবহার আপনার ক্যারিয়ারের ট্র্যাকিংয়ের চেয়ে সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। 

4. কিভাবে  একাধিক গুগল অ্যাকাউন্ট যোগ করবেন।

 একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করার জন্য আমাদের কিন্তু  একটি গুগল অ্যাকাউন্টের  প্রয়োজন পড়ে,  বিশেষ করে গুগল পরিষেবা  ব্যবহার করতে গেলে।  যেমন: ইউটিউব,  প্লে স্টোর,  গুগল ইত্যাদি।

কিন্তু অনেকেরই দুটো বা একাধিক গুগল একাউন্ট যোগ করার প্রয়োজনীয় পড়ে। তাই অনেকেই জানেন না কিভাবে একাধিক গুগল একাউন্ট যোগ করতে হয়।

একাধিক Google অ্যাকাউন্ট যুক্ত করতে:

১.  ⚙️সেটিংস এ যান> Add account এ যান।

২.Google নির্বাচন করুন এবং আপনার নতুন বা বিদ্যমান Google অ্যাকাউন্ট সেটআপ করুন।

৩. একবার যোগ হয়ে গেলে, আপনি অ্যাকাউন্টের সাথে কী sync করতে চান তা চয়ন করুন। 

 আপনি যদি আরও অ্যাকাউন্ট যুক্ত করতে চান তবে উপরের সমস্ত পদক্ষেপ পুনরাবৃত্তি করুন।

 5.  অ্যাপ অটো  আপডেট বন্ধ করে রাখুন। 

অনেক স্মার্ট ফোনে কিন্তু অ্যাপ অটো আপডেট হয়, অটো আপডেট অ্যাপ অপশন আগে থেকে চালু থাকে। যার জন্য দেখা যায় আমরা যদি কখনো এক অথবা দুই জিবি ইন্টারনেট কিনি তখন ডেটা চালু করার সময়,  যেগুলো অ্যাপ আপডেটর প্রয়োজন হয় সেগুলো অটো আপডেট হয়ে যায়।  এবং এক থেকে দুই জিবি ইন্টারনেট শেষ হয়ে যায়।  তাই আমাদের এই অপশন বন্ধ করে রাখা উচিত।  যে অ্যাপগুলো আমদের আপডেট করা দরকার কেবল সেই অ্যাপগুলোই আপডেট করা যাবে। অপশন বন্ধ করতে ⬇

 ১. প্লে স্টোর খুলুন এবং সেটিংসে যান। অনেক স্মার্ট ফোনে Network preferences লেখা থাকতে পারে ঐখানে  চাপ দিন। 

২.তার পর  Auto-update apps. এখানে চাপ দেন।

৩. Do not auto-update apps. এ চাপ দিয়ে বন্ধ করে নিন।

 6. কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম আপডেট চেক করবেন।

অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম আপডেট করা কিন্তু ফোনের জন্য ভালো এতে স্মার্ট ফোনের কার্যকারিতা বাড়ে। অনেক স্মার্ট ফোনে অটোমেটিক অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম আপডেট করতে বলে বা বিজ্ঞপ্তি আসে। আবার কিছু ফোনে নিজে সেটিং এ গিয়ে আপডেট করতে হয়। 

 অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম আপডেট চেক করতে, 

 ১.⚙️ সেটিংস এ যান> About phone যান, অনেক ফোনে System লেখা থাকতে পারে, তাই ঐখানে যান।

 ২. System updates   .এ  তে চাপুন।

 ৩. Check now গিয়ে চেক করতে পারবেন,  অথবা আপডেট করতে পারবেন।  

7. ডিফল্ট অ্যাপ পরিবর্তন করা।

আপনি যদি ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট কিছু কাজের জন্য কিছু ডিফল্ট অ্যাপস সেট করে থাকেন (যেমন ওয়েব লিঙ্ক খোলার জন্য ক্রোম ব্যবহার করা) কিন্তু আপনি যদি  এটি পরিবর্তন করতে চান,  তাহলে নিচের দেওয়া নিয়ম গুলো অনুসরণ করুন। 

১.⚙️  সেটিংস যান > apps এ যান।

২.  ডানদিকে   টান দিন এবং সমস্ত ট্যাব দেখুন।

৩. আপনি যে অ্যাপটি ডিফল্ট হিসাবে সরাতে চান তা নির্বাচন করুন।

৪. Clear defaults  এ ট্যাপ করুন। 

8. ফোল্ডার সহ হোমস্ক্রিন শর্টকাট ব্যবহার করা। 

শর্টকাট সবাই সুবিধার জন্য ব্যবহার করে থাকেন।  যেমন: ধরুন আপনার ফোনে অনেক অ্যাপ ইনিস্টল করা আছে,  অ্যাপ গুলো বাছতে অসুবিধা হয়, দু-তিনটা অ্যাপ এক ফোল্ডার রাখলেন  আরো  দু-তিনটা অ্যাপ আরেক  ফোল্ডারে রাখলেন,  তাহলে আপনার অ্যাপ ব্যবহার করতে সুবিধা হবে। শর্টকাট⬇

১. একটি অ্যাপে কিছু সময় চেপে ধরুন,  তারপর এই অ্যাপ  আরেকটি অ্যাপের উপর রেখে ছেড়ে দিন, তাহলে দুটি অ্যাপ এক ফোল্ডারে জমা হবে। 

২.  এবার আপনি অন্যান্য অ্যাপ ও এখানে টেনে এনে যোগ করতে পারবেন। 

9. Animation  অ্যানিমেশন বন্ধ করা 

 অ্যানিমেশন বন্ধ করা ভালো,  বিশেষ করে যাদের ফোনের সিপিইউ বা ব্যাটারির পাওয়ার কম থাকে।  বন্ধ করতে ⬇

১. প্রথমে আপনাকে সেটিংস এ গিয়ে 

About device  / phone এ যান। তারপর Developer Options লেখাটি খুঁজে বের কর।  

✔বিশেষ  দ্রষ্টব্য:

 কিছু ফোনে আগে আপনাকে Developer Options চালু করতে হবে।  তার জন্য আপনাকে আগে about phone অথবা  about device এ গিয়ে Build number  এ তিন থেকে চার বার চাপ দিন। তারপর আপনার ফোনে যদি লক পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে, ওইটা দিয়ে খুলুন, হয়ে যায়। পরে আপনার সেটিংস এ Developer Options পাবেন।

২. তারপর  Developer options, গিয়ে   animation scale/ Transition animation scale/  Animator duration scale. এগুলো বের করে turn off করে নিন।

10. কিভাবে অটো-কারেকশন (Auto-correction) বন্ধ করতে হবে।

 অটো-কারেকশন হচ্ছে ভুল লেখা ঠিক করে দেওয়া। আমারা অনেকেই কিন্তু ইংরেজিতে অনেক কিছু লেখি। অটো-কারেকশন এমন একটি বিরক্তিকর জিনিস,  ধরেন আপনি যদি ইংরেজিতে একজনের নাম মনু  ( Mono) লিখতে চান,  তাহলে অটো-কারেকশন বুঝবে   আপনি ভুল লেখেছেন,  সে আপনার লেখা অটোমেটিক  ঠিক করে লেখবে Monster,  কিন্তু আপনি এটা ঠিক করতে চান নি। 

অটো-কারেকশন বন্ধ করতে ⬇

 ১. ⚙️সেটিংস এ যান >Language & input.  এ যান।

২. আপনি যে কীবোর্ডটি ব্যবহার করছেন তার পাশে সেটিংস আইকন  চাপুন, যেমন  গুগল কীবোর্ড।

৩.Auto-correction সন্ধান করে এ এটিতে ক্লিক করুন। 

৪. Auto-correction বন্ধ করতে Off নির্বাচন করুন।

 

 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles