এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে অনলাইনে আয় করার উপায়- বিস্তারিত এখানে

বর্তমান সময় অনলাইনে নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয় করা অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে অ্যাপ তৈরি করে আয় করা একটি বিশেষ চাহিদা বহুল কাজ হয়ে গিয়েছে।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমে জানবো আপনার হাতে থাকা মোবাইলের অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করবেন।

আলোচ্য বিষয়:

প্রযুক্তির বিশেষ প্রসারতায় অনলাইন ব্যবহারে আমরা অনেক এগিয়ে গিয়েছি। সারা বিশ্বে বর্তমান সময় অনলাইনের এক ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। অনলাইন ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা অধিকাংশ কাজকর্মকে হাতের মুঠোয় এনে ফেলেছি। আজ সারা বিশ্বের উন্নতির পিছনে অনলাইন ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।

আজকে আমাদের এই যুগকে আধুনিক যুগ বলা হয়ে থাকে। আর এই আধুনিক যুগের অন্যতম মূল হাতিয়ার হচ্ছে অনলাইন। তাই এই যুগকে অনলাইন যুগ বলা হয়। এই অনলাইন যুগে যে দেশ যতো বেশি উন্নতি সাধন করেছে, সে দেশ ততো বেশি অনলাইনে প্রভাব বিস্তার করেছে।

বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশেও অনলাইন ব্যবহারে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আমাদের দেশে অসংখ্য মানুষ এখন অনলাইনের মাধ্যমে উপার্জন করে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীসহ আরো নানা বয়সের মানুষেরা অনলাইনে কাজ করে আয় করে যাচ্ছে।

অনলাইনে সাধারণত বিভিন্ন কাজ করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। অনলাইনে কাজ করে আয় করা কে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং বলা হয়। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তারা অনলাইনে কাজ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছে।

অনলাইনে নানা কাজ করে আয় করার মধ্যে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েও আপনি ভালো আয় করতে পারবেন। সাধারণত মোবাইল দিয়ে অনলাইন ব্যবহার করে নানা কাজ করে আয় করা যায়। স্মার্টফোন মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপ থেকে বিভিন্ন কাজ করে টাকা আয় করা যায়।

তবে আপনি আপনার স্মার্ট ফোন মোবাইলের অ্যাপ তৈরি করে অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। আমাদের মোবাইলে সাধারণত আমরা নানা কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। আর এসব অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা নানা কাজ হাসিল করে থাকি। 

বর্তমান সময় গুগল প্লে স্টোর থেকে শুরু করে আরো বিভিন্ন সাইটে স্মার্টফোনের অধিকাংশ অ্যাপ রয়েছে। এসব একেক প্রকার অ্যাপ দিয়ে একেক প্রকার কাজ সংঘটিত হয়ে থাকে। আপনি যদি চান তাহলে নানা কাজের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করে দিতে পারলে আপনি যথেষ্ট টাকা আয় করতে পারবেন। 

সাধারণত মোবাইলের বিভিন্ন ধরনের গেমিং অ্যাপ ব্যবহার থেকে শুরু করে নানা ধরনের অ্যাডভান্স মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি আমরা ব্যবহার করে থাকি। আর এই অ্যাপ গুলো আমরা যখন ব্যবহার করে থাকি তখন এই অ্যাপের যে প্রতিষ্ঠাতা বা মালিক হয়ে থাকে তখন তার যথেষ্ট টাকা আয় হয়ে থাকে।

আমরা হয়তো অনেকেই আছি যারা এখনও জানি না যে আমাদের হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে কিভাবে অ্যাপ তৈরি করে আয় করবো। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে। নিচে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো:

হাতে থাকা স্মার্টফোন মোবাইলের অ্যাপ কিভাবে তৈরি করবেন:

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন মোবাইলে অ্যাপ তৈরি করার বিষয়টি অনেক জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। আর জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে স্মার্টফোন মোবাইলে অ্যাপ তৈরি করে আপনি অনেক ইনকাম করতে পারেন। তাই অনেকেই এই কাজটি করতে আগ্রহী হয়ে থাকে।

আপনি যদি অ্যাপ তৈরি করে টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো, আপনাকে সর্বপ্রথম নিজের একটি অ্যাপ তৈরি করতে হবে। এখন সাধারণত অ্যাপ তৈরি করার অনেক ধরনের ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। কিছু কিছু সাইটে আপনি ফ্রিতে অ্যাপ বানিয়ে নিতে পারবেন। সেখানে অ্যাপ বানানোর জন্য আপনাকে কোন রকম খরচ করতে হবে না।

তবে আপনি যদি কোনরকম প্রফেশনাল মানের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস বানাতে চান, তাহলে আপনাকে বেশকিছু অন্যতম সাইটে যেয়ে কিছু খরচ করার মাধ্যমে আপনার পছন্দমত সেরা অ্যাপ বানিয়ে নিতে পারবেন।

আপনি যদি পুরোপুরি নতুন হয়ে থাকেন এবং এই কাজ করার পথে অগ্রসর হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে এই কাজটি করার জন্য ভালোভাবে শিখতে হবে। এজন্য আপনাকে একজন ভালো অ্যাপ ডেভেলপার কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন।

আপনি চাইলে এটি শেখার জন্য ইউটিউবে বেশ কিছু টিউটরিয়াল দেখার মাধ্যমে, আপনি খুব ভালোভাবে এটি সম্পর্কে শিখে যাবেন এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। বেশ কিছু অ্যাপ তৈরি করার সাইট গুলো আমরা নিচে উল্লেখ করলাম।

  • ১. Appypie.com

  • ২. Mobiroller.com

  • ৩. Gamesalad.com

  • ৪. Appsgeyser.com

  • ৫. Thunkable.com

আপনার তৈরীকৃত অ্যাপ পাবলিশ করুন:

আপনি যদি অ্যাপ তৈরি করে আয় করতে চান তাহলে আপনার জন্য এই কাজটি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে সেটি হলো আপনার তৈরীকৃত অ্যাপ পাবলিশ করতে হবে। আপনি যদি একটি অ্যাপ নিজের মত করে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি করে নেওয়ার পর আপনাকে আয়ের জন্য অ্যাপটিকে পাবলিশ করতে হবে।

আপনার তৈরীকৃত অ্যাপটি যদি আপনি কোন একটি জনপ্রিয় অ্যাপ স্টোর এর মধ্যে পাবলিশ না করে থাকেন, তাহলে আপনার তৈরিকৃত অ্যাপটি সম্পর্কে কেউ জানতে পারবে না। এবং আপনার সেই তৈরিকৃত অ্যাপটি কোন প্রকার আয়ের উৎস হবে না।

তবে অ্যাপ পাবলিশ করার জন্য সাধারণত গুগোল প্লেস্টরে আপনি পাবলিশ করতে পারেন। গুগল প্লে স্টোরে হাজার তৈরিকৃত অ্যাপ পাবলিশ করা হয়ে থাকে। আর তাই আপনি আপনার তৈরিকৃত একটি সেখানেই পাবলিশ করবেন। সেখানে পাবলিশ করতে গেলে আপনাকে গুগল প্লে স্টোরে একটি অ্যাকাউন্ট বানিয়ে সেখানে পাবলিশ করতে হবে। আর এই গুগল প্লে স্টোরি হচ্ছে স্মার্ট ফোন মোবাইল এর জনপ্রিয় অ্যাপ স্টোর হয়ে থাকে।

গুগল প্লে স্টোর থেকে সারা বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ লোকেরা অ্যাপ ডাউনলোড করে থাকে। অ্যাপ ডাউনলোড করে তারা সেই অ্যাপটি অনলাইন থেকে নিজেদের স্মার্টফোন মোবাইলে নিয়ে আসে। এবং ডাউনলোড করার পরে তারা যখন খুশি তখন সেই অ্যাপটি কে ব্যবহার করতে পারে।

আপনার তৈরি করা অ্যাপ দিয়ে কিভাবে আয় করবেন:

আপনি যদি একটি অ্যাপ ভালো ভাবে তৈরি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার নিজের দক্ষতা অনুযায়ী আপনাকে একটি সুন্দর মান সম্মত ভাবে অ্যাপ বানাতে হবে। 

আপনাকে এমন কিছু অ্যাপ বানাতে হবে যে সমস্ত অ্যাপ এর বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাহিদা রয়েছে।আপনি চাইলে খুব ভালো গেমিং অ্যাপ গুলো তৈরি করতে পারেন। অ্যাপ তৈরি করে আপনি তা পাবলিশ করার মধ্য দিয়ে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

আমরা হয়তো অনেকেই আছে যারা জানিনা যে অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যাবে। তাই এখন আমরা অ্যাপ তৈরি করে আয় করার পাঁচটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। নিচে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো:

১. Advertisement:

আপনি যদি অ্যাপ তৈরি করে আয় করতে চান তাহলে এটি হতে পারে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। বর্তমান সময় অ্যাপ তৈরি করে আয় করার বিষয়টি অনেক জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে এবং এটি অনেক মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। আপনি আপনার তৈরীকৃত অ্যাপে বিজ্ঞাপন (advertisement) দেয়ার মাধ্যমে খুব ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে বর্তমান সময়ে অধিকাংশ লোকেরাই এখন তাদের তৈরিকৃত অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করে যাচ্ছে। তবে এই অ্যাপ গুলো তে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য গুগল এডমোব কে ব্যবহার করা হয়।

সাধারণত আপনি যখন আপনার তৈরীকৃত অ্যাপগুলোতে বিজ্ঞাপন যোগ করবেন, তখন যারা আপনার অ্যাপটিকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করবে, তারা কিছু সময়ের জন্য কিছু অ্যাডস দেখতে পারবে। আর এই অ্যাডগুলো দেখার ফলে ইউজারের যখন সেই অ্যাডগুলোতে ক্লিক করবে তখন আপনি একটি নির্দিষ্ট আয় করতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অ্যাপ থেকে আয় করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এটি অনেক কম সময়ের মধ্যে আপনি আপনার অ্যাপ থেকে খুব ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে টাকা আয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে কোন রকম ঝামেলায় পড়তে হবে না। 

২. In App Purchases:

তৈরিকৃত অ্যাপ বাজারে পাবলিশ করার পর সেই অ্যাপ থেকে টাকা আয় একটি অন্যতম উপায় হয়ে থাকে এটি। আপনারা হয়তো বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করার সময় লক্ষ করে দেখবেন যে, অ্যাপের মধ্যে থাকা কিছু এক্সট্রা ফিচার বা সাবস্ক্রিপশন আপনাকে টাকা দিয়ে কিনে নিতে বলা হয়।

সাধারণত বিভিন্ন ধরনের গেমিং অ্যাপ গুলোতে আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে, guns,extra,power, virtual currency ইত্যাদি বিষয়গুলো টাকা দিয়ে কিনে নেওয়ার এক ধরনের সুবিধা প্রদান করা হয়। এই ধরনের ফিচার গুলো কে কিনে নিয়ে অ্যাপটিকে আপডেট করলেই সেটিকে in app purchases বলা হয়ে থাকে।

আর তাই আপনি আপনার তৈরীকৃত অ্যাপের মধ্যে অ্যাডভান্স ফিচারগুলোর যোগ করে কিছু প্রিমিয়াম আপডেট অপশন আপনি অবশ্যই রাখতে পারবেন। আর সেই অপশনটি রাখার ফলে আপনার ভালো টাকা আয় হবে বলে আশা করা যায়।

৩. Affiliate Marketing:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যাপারে আমাদের অনেকেরই হয়তো কমবেশি জানা রয়েছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে আমরা অনেকেই আছি অনেক পরিচিত হয়ে থাকি। অনলাইন থেকে টাকা আয় করার একটি অন্যতম উপায় হয়ে থাকে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। 

এটা সাধারণত খুব ভালো ধরনের একটি বিজনেস মডেল হয়ে থাকে যেখানে আপনি উন্নয়নও কোম্পানির পণ্য বা সেবা গুলিকে বিক্রি করে কমিশনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তবে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকতে হবে। 

আপনি যদি আপনার তৈরীকৃত অ্যাপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার মধ্যে দিয়ে কাজটি ভালোভাবে করতে পারবেন।  আপনি আপনার তৈরীকৃত অ্যাপে আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম জয়েন করার পর আপনি বিভিন্ন অন্যান্য কোম্পানি অ্যাপস, প্রোডাক্ট, সার্ভিসগুলো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে প্রচার করে আয় করতে পারবেন।

আর কোন ইউজার যদি সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার মাধ্যমে কিছু কিনে থাকে তখন আপনি একটি ভালো কমিশনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তবে আপনি যদি অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চান। তাহলে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম জয়েন করার পর আপনাকে এক প্রোডাক্ট বাস সার্ভিস গুলোকে প্রমোট করার জন্য একটি বিশেষ এফিলিয়েট লিংক দেওয়া হবে আর সেই লিঙ্ক আপনাকে নিজের অ্যাপের মধ্যে সংযুক্ত করতে হবে।

৪. Sponsorship: 

আপনি যদি একবার নিয়ে আয় করতে চান তাহলে এই বিষয়টি আপনার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে। আপনি যদি আপনার ধারনা কে কাজে লাগিয়ে অ্যাপ তৈরি করে ভবিষ্যতের সফল হতে চান তাহলে আপনার নিজের তৈরিকৃত অ্যাপ গুলোর জন্য স্পনশর খুজতে পারেন। 

যদি যদি আপনার তৈরীকৃত অ্যাপের জন্য একটি স্পন্সর খুঁজতে পারেন তাহলে আপনি সাবস্ক্রিপশন হিসেবে টাকা পেতে থাকবেন। অ্যাপ থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে স্পন্সর হিসেবে কিছুটা ডিজাইন ফিচারগুলো নিজেদের মধ্যে যোগ করতে হবে। 

আমাদের দেশে অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা স্পনসশিপ হিসাবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। আর এই স্পন্সরশিপ করতে গেলে আপনাকে সব রকমের আর্থিক সাহায্য একটি সফল করার ক্ষেত্রে পেয়ে থাকবেন।

৫. Referral Marketing:

বর্তমান সময়ে অ্যাপ তৈরি করে আয় করার বিষয়টি অনেক জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ায় রেফারেল মার্কেটিং করে আয় করার গুরুত্ব কোন অংশে কম নয়। রেফারেল মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি আপনার তৈরীকৃত অ্যাপ দিয়ে অনেক ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

আজকের এই দিনে অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার জন্য রেফার শেয়ারও ইনভাইট করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে থাকে। যদি আপনার অ্যাপ অধিকাংশ লোকেরা ব্যবহার করে থাকে তাহলে আপনি যেকোন ব্র্যান্ড, প্রডাক্ট, অন্যান্য কিছু অ্যাপগুলোতে প্রমোট বা রেফার করে নিজের অ্যাপ থেকে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।

আর এটা কি মূলত রেফারেল মার্কেটিং বলা যায়। এটি করে আপনি খুব ভালোভাবে আপনার তৈরীকৃত অ্যাপ দিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। এবং আয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে কোন রকম ঝামেলায় পড়তে হবে না।

শেষ কথা:

সাধারণত আমরা অনেকেই আছি যারা মনে করে থাকি দে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড হবার পরই অ্যাপ ডেভলপার টাকা দিয়ে থাকে। তবে এই ধারণাটি কিন্তু আসলেই ঠিক নয়। তবে আপনার অ্যাপটি যত বেশি লোকের ডাউনলোড ইনস্টল করে থাকবে স্মার্টফোনে আপনার আয়ের সম্ভাবনা তত বাড়তে থাকবে।

তবে ব্যবহার করেন যখন আপনার অ্যাপটি ডাউনলোড করে স্মার্ট ফোনে ইন্সটল করার পর ব্যবহার করবে তখন আপনার একটি নির্দিষ্ট পরিমান আয় হবে। অ্যাপ তৈরি করে আয় করার বিষয়টি কোন রকম জটিল বিষয় নয়। এই কাজটি আপনি একটু চেষ্টা করলেই খুব সহজেই করতে পারেন। 

আপনি যদি অ্যাপ তৈরি করে আয় করতে চান তাহলে উপরে আলোচিত বিষয় গুলো লক্ষ্য করার মাধ্যমে আপনি খুব ভালোভাবে অ্যাপ তৈরি করে আয় করতে পারবেন বলে আশা করা যায়। উপরে আমরা অ্যাপ তৈরি করে আয় করার বিষয়ে খুব ভালোভাবে আলোচনা করেছি।

আমাদের লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে দয়া করে অবশ্যই আপনার পছন্দমত যেকোনো একটি সাইটে একবার শেয়ার করবেন। আপনার করা একটি শেয়ার আমাদেরকে আরো ভাল আর্টিকেল লিখতে উৎসাহিত করবে ধন্যবাদ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

নাম: বাধন কুন্ডু । একজন আর্টিকেল রাইটার । ১০০% ইউনিক ও কপি মুক্ত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।