পৃথিবীর জনসংখ্যা দিন দিন শুধু হু হু করে বেড়ে চলেছে।এর নিয়ন্ত্রণ এর কাজ করে ও তেমন কোন সফলতা পাওয়া যায় নি। যা ২০৫০ সালের মধ্যে ৯ বিলিয়নে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনে চাপ সৃষ্টি করবেই ।
জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে পৃথিবীর আবাদযোগ্য জমির সরবরাহ কমে যাচ্ছে । তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন ক্রমবর্ধমান দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য নিরাপত্তা ও এর জন্য হুমকিস্বরূপ।
এটি খাদ্য ব্যবস্থার উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করছে যা খাদ্য চাহিদা মিটাতে প্রধান একটি হুমকির কারন তবে এর থেকে পরিত্রাণের উপায়?
গতানুগতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ কৃষিজমি এবং পানির উপর সংকট সৃষ্টি করে ফসল উৎপাদনে যেমন অনেক বেশি পানি ব্যবহৃত হয় তিন্নি চাষাবাদের জন্য প্রয়োজন হয় কৃষিজমির।
ভার্টিক্যাল ফার্মিং একটি টেকসই এবং পরিবেশ বান্ধব সমাধান। গতানুগতিক পদ্ধতিতে চাষের থেকে ৭০% -৯৫% কম জল ব্যবহৃত হয়। এবং ৯০% কম জমি ব্যবহৃত হয় ।
আবার ভার্টিক্যাল ফার্মিং পদ্ধতিতে চাষের ফলে ৮০% বেশি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। উচ্চতর এবং স্বাস্থ্যকর ফসল উৎপাদনে ভার্টিক্যাল ফার্মিং ফসল চাষীদের জন্য একটি বছরব্যাপী সমাধান।
চাইলে এটিকে গতানুগতিক চাষের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।ভার্টিক্যাল ফার্মিং পদ্ধতি জলবায়ু পরিবর্তন রধে যেমন ভূমিকা রাখবে, তেমনি দিনশেষে কৃষক ও আর্থিকভাবে উপকৃত হবে।
যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তন আবহাওয়াকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলছে তাই একটি কৃষি নির্ভর দেশ হিসেবে আমাদের কৃষিজ উৎপাদনে এটি অন্যতম চিন্তার কারণ,
তাই তাই বাংলাদেশের কৃষির আগামী ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এবং যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে ভার্টিক্যাল ফার্মিং এর মত যুগোপযোগী বিকল্প পদ্ধতি গুলো বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে ব্যবহার করলে উৎপাদন ত্বরান্বিত হবে।
You must be logged in to post a comment.