সহজ কথায় অন্যের পণ্য গ্রাহকের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে কমিশন পাওয়াকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে | এফিলিয়েট মার্কেটিং এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং |
আবার সিপিএ মার্কেটিং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি প্রাথমিক পর্যায়| তবে সিপিএ মার্কেটিং-এ কোন পণ্য বিক্রি করতে হয় না, অন্যের তথ্য শুধু গ্রাহকের নিকট পৌঁছে দিতে হয় |
গ্রাহক যদি ওই লিংকে প্রবেশ করে বা ঐখানে সাইনআপ করে কিংবা রেজিস্ট্রেশন করে, বিজ্ঞাপন দেখে তাহলে এক্ষেত্রে আপনি কমিশন পাবেন | আর এফিলিয়েট মার্কেটিং এ গ্রাহক যাই করুক না কেন তাকে পণ্য কিনতে হবে | পণ্য কিনলে আপনি কমিশন পাবেন | তবে সিপিএ মার্কেটিং এর সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পার্থক্য হচ্ছে- সিপিএ মার্কেটিং এ লাভ কম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে লাভ বেশি |
দুই ধরনের এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে:
আগেই বলেছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিভিন্ন ভাবে হতে হতে পারে | তথ্য পৌঁছে দেওয়া কিংবা গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি উভয়ই এফিলিয়েট মার্কেটিং| তবে আলাদা করে বুঝার সুবিধার্থে আমরা তথ্য পৌঁছে দেওয়াকে বলি সিপিএ মার্কেটিং এবং বিক্রি করাকে বলি এফিলিয়েট মার্কেটিং |
১. তথ্য দেয়া
২. পণ্য বা সেবা বিক্রয়
জেনে নিই কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ করে:
১. সেলার এবং প্রোডাক্ট ক্রিয়েটর
২.এফিলিয়েট বা পাবলিশার
৩. ক্রেতা বা কাস্টমার
কি কি কারনে পেমেন্ট করে থাকে
১. প্রতি বিক্রয়ে
২. প্রতি রেজিস্ট্রেশনে
৩. প্রতি ক্লিকে
যদি প্রশ্ন করেন কেন করব?
উত্তরটাও সহজ টাকা ইনকাম করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করবো |
টাকা ইনকামের তো আরো অনেক উপায় আছে তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করব ?
হ্যাঁ এই প্রশ্নটি আপনার মাথায়ও আসতে পারে | ইনকামের এত রাস্তা থাকতে আমরা কেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবো আসলে অনলাইনে ইনকাম করার মতো বিভিন্ন রকম পন্থা অবলম্বন করা যায় | তবে সহজে, অল্প পরিশ্রমে যদি কেউ ইনকাম করতে চায় তাহলে তার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সর্বোত্তম উপায় | এখান থেকে অল্প পরিমাণ আয় করলে উৎসাহ পেয়ে পরবর্তীতে সময় নিয়ে ট্রেনিং অর্জনের মাধ্যমে সে অন্য কোনো ইনকামের দিকে যেতে পারবে |
কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করবো সে বিষয়ে নিচে সংক্ষেপে কিছু পয়েন্টে উল্লেখ করছি
১. ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আয়
২. নো কাস্টমার সাপোর্ট
৩. বাসায় বসে কাজ করা যায়
৪. সাশ্রয়ী
৫. সুবিধাজনক
৬. কর্মক্ষমতার মূল্যায়ন
আউটসোর্সিং করার সবচেয়ে সহজ কাজ এফিলিয়েট মার্কেটিং | বিশ্বাস না হলে শুরু করেই দেখুন |
কিভাবে:
তবে যতটা সহজ ভাবছেন ব্যাপারটা তত সহজ নয় | আসুন জেনে আসি ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ বিষয়টি
১. এক বা একাধিক কোম্পানি যুক্ত হতে হবে
২. প্রোডাক্টের সার্ভিস প্রচার করতে হবে
পণ্যের প্রচার এর জন্য কি করতে পারি:
১. ব্লগ রাইটিং
২. ইমেইল মার্কেটিং
৩. সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট
৪. গ্রুপ মার্কেটিং
৫. ফ্রি সার্ভিস দিয়ে
কি কি লাগবে:
১. একটি কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন
২. ইন্টারনেট কানেকশন
৩. ইচ্ছাশক্তি সততা পরিশ্রম ধৈর্য
জনপ্রিয় কিছু সাইট:
১. আমাজন
২. ক্লিকব্যাংক
৩. সিওর কনস্ট্রাকশন
বাংলাদেশী কিছু সাইট:
১. BDSHOP
২. SOHOJAFFILITES
৩. SHOPNOBARI
৪. SHOHOZSELL
৫. JHAKKSH
টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়া:
সবচেয়ে সহজ উপায় হল ব্যাংক একাউন্ট
এছাড়া প্রতিটা প্লাটফর্ম টাকা উত্তোলন করতে নানারকম ই-ওয়ালেটের সুযোগ দিয়ে থাকে |
সেরা তিনটি উপায়:
১. ভালো মানের সেরা পণ্যগুলো বাছুন |
২. ফ্রি সার্ভিস দিন আর যাদের সেবা দিচ্ছেন তাদের ইমেইল সংগ্রহ করুন |
৩. আমেরিকান ও অন্যান্য ধনী দেশগুলোর গ্রুপে যুক্ত হয়ে পণ্যের প্রচার করুন |
চারটি বিষয়:
১. Strategy
২. Time
৩. effort
৪. Money
শেষকথা
যেকোনো কাজে সাফল্য তার পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে | কোম্পানিগুলোর নিয়ম নীতি ও গাইডলাইন জেনে ও মেনে কাজ করতে হবে | তানাহলে একাউন্ট ব্লক বা সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে |
সর্বশেষ কথা পণ্য সম্পর্কে এবং কোম্পানি সম্পর্কে অবশ্যই ভালো জ্ঞান রাখতে হবে | ধৈর্য ধরতে হবে | একদিনে, একমাসের সাফল্য আসবে না |
You must be logged in to post a comment.