অনলাইনে ইনকামের কথা চিন্তা করে থাকলে এবং এই নিয়ে ঘাটাঘাটি করে থাকলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা একবার হলেও শুনেছেন৷ কিন্তু এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কীভাবে করতে হয়? মাসে কত ইনকাম হয়? এই বিষয়গুলো জানতে আর্টিকেলটি সম্পুর্ন পড়ুন।
অনলাইনে প্রোফেশনাল ভাবে ইনকাম করার জন্য বেষ্ট মাধ্যম গুলোর একটি হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অনেক ব্যাক্তি এটিকে নেই পার্টটাইম হিসেবে। আবার অনেকে নেয় ফুল টাইম হিসেবে৷ কিছু এমন মানুষ ও আছে যারা এই কাজটি করে নিজের সমস্ত জীবন পার করে দেয়ার চিন্তায় আছেন।
চলুন এবার মূল আর্টিকেলে আসা যাক-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে।
চলুন একটি উদাহরণ এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে সেটা জেনে নেয়া যাক-
এক ব্যাক্তির একটি দোকান কিংবা একটি ই-কমার্স সাইট আছে। সে তার বিক্রি বৃদ্ধি করার জন্য কিছু লোক নিলো বা সে প্রচার করলো আমার প্রোডাক্ট গুলো যে ব্যাক্তি বিক্রি করে দিবে তাকে আমি এই প্রোডাক্ট এর একটি নির্দিষ্ট শতাংশ দিব কিংবা এই পরিমান টাকা দিব। এটিই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ।
এখন সেই ব্যাক্তির প্রোডাক্ট বিক্রি করে আপনি টাকা উপার্জন করবেন এটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং । আশা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে এটা বুঝতে আপনার আর অসুবিধা হবে না।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোথায় কোথায় করা যায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন নির্দিষ্ট জায়গা আছে। আপনাকে সেগুলোতেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে। আপনি ইচ্ছা করলে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার বন্ধুদের প্রোডাক্ট কেনার কথা বলতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জায়গা।
১.ইউটিউব
২.ফেসবুক
৩.সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
৪.অনলাইনে যে কোন জায়গায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ই-কমার্স সাইট নির্বাচন করতে হবে। এরপর সেই সাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুযোগ দেয়া আছে কি না তা জেনে নিন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুযোগ দেয়া আছে কি না তা জানার জন্য যে ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সেখানে গিয়ে সবার উপরে অথবা সবার নিচে দেখুন। সেখানেই পেয়ে যাবেন কিংবা কিংবা তাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ ও দিতে পারেন৷
তারপর সেই সাইটে একাউন্ট খুলে নিন। একাউন্ট খুলার পরে আপনি প্রত্যকটি প্রোডাক্ট এর জন্য একটি লিংক পাবেন সেই লিংকটি আপনাকে শেয়ার করতে হবে। সেই লিংক দিয়ে যতজন ব্যাক্তি প্রোডাক্ট টি কিনবে তত টাকা আপনার একাউন্টে জমা হবে।
ইউটিউব
ইউটিউবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলতে হবে। তারপর সেখানে যেসব প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সেসব প্রোডাক্ট এর সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করুন। তার নিচে সেই প্রোডাক্ট এর লিংক দিয়ে বলে দিন প্রোডাক্ট টি কিনতে এই লিংক থেকে কিনে ফেলুন।
যত বেশী প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। আপনার ইনকাম ও ততই বৃদ্ধি পাবে। তার জন্য আপনার সাবসক্রাইবার বাড়াব এবং ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরু করার চেষ্টা করুন।
ফেসবুক
ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ কিংবা গ্রুপ খুলতে হবে। তারপর সেখান থেকে ফলোয়ার বাড়ান৷ তারপর সেখানে আপনার লিংক গুলো শেয়ার করুন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে লিংক শেয়ারের মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
অনলাইন
অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ওয়েবসাইট খুলতে পারেন কিংবা ব্লগ ও তৈরি করে ফেলতে পারেন। সেখানে থেকে শুরু করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় অসুবিধা কি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে ভিজিটর বাড়ানো। কারন যত বেশী ভিজিটর হবে আপনার বিক্রি ও তত বেশী হবে। ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অনেক সময় লেগে যায়। অনেকে ভিজিটর না বাড়াতে পাড়ার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আসেন না। তাই আপনি যেখানেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার চিন্তা করে থাকুন না কেন ধৈয্য ধরে ভিজিটর বাড়ানোর চেষ্টা করুন। তাহলেই আপনি এই কাজে সফল।
প্রতি প্রোডাক্টে কতটা কমিশন পাবেন।
এক একটি সাইট ভিন্ন রকম কমিশন দিয়ে থাকে। কোন সাইট কমিশন না দিয়ে প্রত্যক প্রোডাক্ট এর একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ঠিক করে রাখে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে কত ইনকাম হয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যত বেশী প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন আপনার ইনকাম ও ততই বৃদ্ধি পাবে। কোন প্রোডাক্ট এ ৩০-৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০-৬০০ টাকা ও কোন কঠিন না। তবে, আপনি চাইলে এর থেকে ও বেশী কমিশন পেতে পারেন। তার জন্য বেশী দামি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে।
এই ছিলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কিছু কথা। সমস্যা থাকলে কমেন্টে জানান।
You must be logged in to post a comment.