পড়া মনে রাখার জন্য সবাই বিভিন্ন কৌশল অনুসরণ করে। তবে আজ আমি আপনাদের জন্য কিছু সহজ উপায় নিয়ে এসেছি।
পড়া মনে রাখার 7 টি উপায়।
1. ধারণা গাছ:
পড়া মনে রাখার একটি ভালো কৌশল হল 'কনসেপ্ট ট্রি'। এই পদ্ধতিতে যেকোনো বিষয় শেখার আগে পুরো অধ্যায়টিকে সাতটি ভাগে ভাগ করে প্রতিটি অংশের জন্য এক লাইনের সারাংশ লিখতে হবে।
তারপর নোটবুকে একটি গাছ আঁকুন এবং গাছের প্রতিটি পাতায় সাতটি সারাংশ লিখুন। প্রতিদিন পাতায় নজর দিলে অধ্যায়টির সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে।
এটি একটি পরীক্ষিত বৈজ্ঞানিক ধারণা। বাংলা ও ভূগোলের জন্য এই কৌশল বেশি কার্যকর।
2. কি শব্দ
যেকোনো বিষয়ের কঠিন অংশগুলো সহজেই ছড়া আকারে মুখস্থ করা যায়।
3. পুরাতন এবং নতুন সমন্বয়:
নতুন কিছু শেখার সময়, একই জিনিস আরও আত্মীকরণ করা আবশ্যক। কারণ মস্তিষ্কের যেকোনো নতুন তথ্য শোষণের জন্য দ্রুত গতিতে উঠতে হবে। কিন্তু পুরনো তথ্যের সঙ্গে নতুন তথ্য যোগ করা যায় খুব সহজেই।
যেমন 'সিডি' শব্দটি শেখার সময় পুরনো দিনের কল গান মনে পড়লে শব্দটি সহজেই মনে পড়বে। শুধু মনে রাখবেন, দুটি শব্দের মধ্যে পার্থক্য কি।
পদার্থবিজ্ঞানের একটি নতুন সূত্র শেখার সময়, একজনকে মনে রাখতে হবে যে এই জাতীয় সূত্র আগে পড়া কোনো সূত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।
4. কল্পনায় ছবি আঁকা:
বিষয়ের একটি ছবি আঁকার কথা ভাবুন। গল্পের প্রতিটি চরিত্রকে অবশ্যই আশেপাশের মানুষ বা বস্তুর সাথে মেলাতে হবে। তারপর সেই বিষয় নিয়ে পড়তে বসলে সেই ব্যক্তি বা জিনিসটি আপনার কল্পনায় চলে আসবে।
এভাবে কিছু শিখলে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এবং মস্তিষ্ক যত বেশি ব্যবহার করা হয়, এটি তত তীক্ষ্ণ হয় এবং পড়া তত বেশি মনে রাখে।
5. অর্থ জানা:
ইংরেজি পড়ার আগে অবশ্যই শব্দের অর্থ জেনে নিন। ইংরেজি ভাষা শেখার প্রধান শর্ত হল শব্দের অর্থ জানা এবং বাক্যে প্রয়োগ করা।
না বুঝলে পুরো ব্যাপারটাই ব্যর্থ হবে। সৃজনশীল উপায়ে ইংরেজি লেখার অনুশীলন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পাঠ্যবইয়ের যেকোনো জায়গা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
ইংরেজি শব্দের সমৃদ্ধ শব্দভান্ডার সহ, কোন পড়া ভুলে যাওয়ার কোন আশঙ্কা নেই।
যেমন: রংধনুর সাতটি রঙ মনে রাখার একটি সহজ কৌশল হল 'বেনী অসহকাল' শব্দটি মনে রাখা। প্রতিটি রঙের শব্দের প্রথম অক্ষর রয়েছে।
এভাবে ত্রিকোণমিতির সূত্র মনে রাখতে হলে 'সমুদ্রে লবণ আছে, কবরে ভূত আছে, তারা লম্বা ভূত আছে' ছড়াটি মনে রাখা যেতে পারে।
এর মানে, সাইন=লম্ব/হাইপোগন (সমুদ্রে লবণ আছে), cos=ভূমি/হাইপোগন (কবরে ভূত আছে), ট্যান=লম্ব/ভূমি (তারা লম্বা ভূত)।
6. রোট শেখার জন্য 'না' বলা:
রোটে মনকে অকেজো করে, আর শেখার আনন্দ। কোনো কিছু না বুঝে মুখস্থ করলে তা বেশিক্ষণ স্মৃতিতে ধরে রাখা যায় না।
কিন্তু তার মানে এই নয় যে সচেতনভাবে কিছু মুখস্থ করা যাবে না। খণ্ড তথ্য, যেমন:সাল, তারিখ, বইয়ের নাম, ব্যক্তির নাম ইত্যাদি মনে রাখতে হবে।
আপনি কি মনে রাখছেন এবং এটি অন্যান্য জিনিসের সাথে কীভাবে সম্পর্কিত তা খুঁজে বের করুন। এ ছাড়া বিজ্ঞানের যেকোনো সূত্র বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আয়ত্ত করতে হলে প্রথমে তা বুঝে তারপর মুখস্থ করতে হবে।
7. গল্পে পড়া:
ক্লাসে যেকোনো বিষয় পড়ার পর বন্ধুদের সাথে আড্ডায় গল্প হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। সেখানে সবাই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে।
প্রত্যেকের কথা একসাথে রাখলে অধ্যায়টি পরিষ্কার বোঝা যায়। টুকরো টুকরো যেকোনো অধ্যায় শেখার আগে পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।
পরে শেখার সময় আলাদাভাবে বিবেচনা করা উচিত। তাহলে যে কোন কিছুকে গল্পের মত মনে হবে।
You must be logged in to post a comment.