অনলাইনে ইনকাম করার সহজ দুটি মাধ্যম- বিস্তারিত এখানে

আমাদের আজকের টপিক টি হচ্ছে, অনলাইনে টাকা ইনকাম। অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ দুটি মাধ্যম। এই দুটি মাধ্যম থেকে যে কেউ হাতে থাকা স্মার্ট ফোন টি দিয়ে অনলাইন জগত থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবে।

আসলেই বিষয়টা শুনতেও ভালো লাগে। বর্তমান বিশ্বে অনলাইন জগত এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যা বলার ভাষা আমার কাছে নেই। 

এক কথায় বলতে গেলে, প্রতেকটা মানুষ এখন অনলাইন জগতটা কে  এতটা ভালোবাসে যে তার নিজের পরিবারের একটা সদস্য মনে করে। বর্তমান বিশ্বের প্রায় সখল দেশেই শিশুদেরকে অনলাইন জগতের প্রতি আরোও আগ্রহি এবং জানার জন্য বিভিন্ন ভাবে পাঠ দান কারানো হচ্ছে। 

প্রিয় ভিজিটর আমি আশা করি আপনি ইতি মধ্যে বুঝতে পেরেছেন।  অনলাইন জগতের প্রতি বর্তমান বিশ্বের মানুষ কতটা আগ্রহী এবং তাকে মানুষ কতটা ভালোবাসে। 

এবার চলোন আমাদেরকে আজকের মূল টপিক অনলাইনে টাকা ইনকাম এই বিষয়ে যাওয়া যাক। 

আপনি ঠিকেই শুনেছেন, সত্যি অনলাইন জগত থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। বর্তমান বিশ্বের প্রায়  বহু সংখ্যক মানুষেই অনলাইন জগত থেকে 

লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে প্রতি মাসে। আবার কেউ কেউ এটাকে জীবিকা নির্বাহ করার প্রধান পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। 

এখন আপনি কি ভাবে টাকা ইনকাম করবেন। অনলাইন জগতে প্রথমে পা রাখতে হলে আপনার কি কি প্রয়োজন হতে পারে এবং আপনার জন্য রয়েছে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ দুটি মাধ্যম। যে দুটি মাধ্যম থেকে আপনি চাইলে সারা জীবন ইনকাম করতে পারবেন। চলোন সেই বিষয়ে আলোচনা করি। 

প্রয়োজনীয় উপকরন.

আপনি যেহেতু ভিগেনার,তাই উপকরণের কথা শুনে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। আর প্রশ্নটা হল অনলাইন জগতে পা রাখতে হলে তো ল্যেপ্টপ অথবা কম্পিউটার এর প্রয়োজন হতে পারে। সত্যি কথা বলতে আসলেই বিষয়টা সেই রকম নয় যেমন টা আপনি ভাবছেন। আপনি চায়লে প্রথমত আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি দিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।  শুনে হয়তো অবাক লাগতে পারে কিন্তু বিষয়টা আসলেই সত্য। 

বর্তমান এই ডিজিটাল বিশ্বে স্মার্ট ফোন এতটা উন্নত করা হয়েছে যে আপনি এই স্মার্ট ফোন দিয়ে অনলাইন জগতে কাজ করার জন্য পা রাখতে পারবেন। আবার অনেকেই স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে অনলাইন থেকে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতেছেন। আমি আশা করি উপকরণের বিষয়টি আপনাকে বুজাইতে পেরেছি। এবার চলোন আপনার জন্য সেরা দুটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করি। 

নাম্বার এক

আমাদের অতি পরিচিত এবং সবার জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ মানুষেই ফেসবুক ব্যাবহার করে। আবার অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করার পাশা পাশি সেখান থেকে টাকাও ইনকাম করতেছেন। এখন আপনি বলতে পারেন ফেসবুকত আমিও ব্যাবহার করি কিন্তু টাকা পাইনা কেন। এখন থেকে আপনিও টাকা পাবেন। 

টাকা ইনকামের জন্য আপনাকে কিছু টিপ্স ফলো করতে হবে। চলোন টিপ্স গুলোর আলোচনা করি। 

আপনার এখন যে ফেসবুক একাউন্ট টি আছে সেটি দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন না। ইনকাম করতে হলে আপনার একটি ফেসবুক পেইজ থাকতে হবে। 

এখন আপনি বলতে পারেন আমারত কোন পেইজ নাই তাহলে কি করব। চিন্তার কোনো কারন নাই আপনি আপনার বর্তমান যে ফেসবুক একাউন্ট টি আছে সেটি দিয়েই একটা পেইজ খুলতে পারবেন। এবার চললো পেইজ থেকে কি ভাবে ইনকাম হয় সেই বিষয়ে আলোচনা করি। 

ফেসবুক পেইজে থেকে বেশ কয়েকটি মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। কিন্তু আমি আপনাকে সবচেয়ে  সহজ দুটি মাধ্যমের কতা বলব। নাম্বার এক / আপনি ফেসবুক পেইজে বিভিন্ন ধরনের পান্য বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। এখন বলতে পারেন পান্য কোথায় পাবেন। পণ্য পেতে হলে আপনাকে কোনো কিছু করতে হবেনা। আপনি শুধু প্রথমত 

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস 

দারাজ। সেখানে একটা একাউন্ট খুলে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের ছবি এবং যে পান্যটির ছবি আপনি ডাউনলোড করলেন সেই পণ্যটির লিংক টা আপনি কপি করবেন।তার পর আর কিছু করতে হবনা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসবেন।

পণ্যের ছবি ডাউনলোড করলেন এবং লিংক টা কপি করলেন এখন কি করবেন। এখন আপনাকে যেটা করতে হবে, আপনি আপনার ফেসবুকে যে ভাবে ছবি পুষ্ট করেন টিক সেই ভাবেই আপনার পেইজে গিয়ে প্রথমে পণ্যের ছবিটা নিবেন এবং তার পর যে লিংটা কপি করে ছিলেন সেই লিংটা টেক্সট এর জায়গায় পেস্ট করে দিবেন।

এবং তার সাথে পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী লিছু লিখে দিবেন এবং পণ্যটির ভালো কিছু গুন উল্লেখ করে দিবেন। তার পর সরাসরি পুষ্ট করে দিবেন। 

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে আমার ইনকাম কি ভাবে হবে। তাহলে শুনুন আপনার ইনকাম কি ভাবে হবে। আপনি যে পণ্যটি পুষ্ট করলেন সেই পুষ্টির লিংকে ক্লিক করে যদি  কেউ সেই পণ্যটা কিনে তাহলে আপনার ড্রারাজ একাউন্টে পণ্যের দাম অনুযায়ী কমিশন জমা হবে। মনে করেন আপনি  একটি পণ্য বিক্রি হওয়ার ফলে একশত টাকা কমিশন পেলেন। এরকম পণ্যের পুষ্ট 

যদি আপনি একশত করেন অথবা এক হাজারেরও বেশি করেন এবং সেখান থেকে যদি প্রতিদিন পাঁচটি করে পণ্য বিক্রি হয় তাহলে আপনার প্রতিদিন পাঁচশত টাকা ইনকাম হবে আর মাসে ১৫হাজার টাকা। 

আর দ্বিতীয় মাধ্যমটি হল ভিডিও কন্টেন্ট। আপনি অবশ্যই ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগ করলাম সময় বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে পান। আর সেই ভিডিও গুলো মুলত ফেসবুক পেইজ থেকে আপলোড করা হয়। আপনি ভিডিও আপলোড করে কি ভাবে টাকা ইনকাম করবেন।

তাহলে শুনুন,ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে হলে কয়েকটি ধাপ পারি দিতে হবে। ধাপ গুলো হলো, আপনার পেইজে ৯০দিনের ভিতরে দশ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে, 

এবং ৩০হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। এখন হয়েতো আপনার মন খারাপ হতে পারে। একটা কথা শুনেন হাল ছেড়ে দিলেন তে হেরে গেলেন। তাহলে কি ভাবে এ-ই ধাপ গুলে পুরন করবেন তাহলে শুনুন, 

এই ধাপ গুলে পুরন করতে হলে আপনার ভালো ভিডিও আপলোড করতে হবে। এমন ভিডিও তৈরি করুন যেন সখন দর্শক আপনার ভিডিওর জন্য পাগল হয়ে যায়। এবার আপনি ভাবুব আপনি কি ভিডিও আপলোড করবেন। এখন ইনকানে যাওয়া যাক। আপনার খুব ভালো ভিডিও আপলোড করার ফলে যখন আপনার ধাপ গুলে পুরন হয়ে যাবে তখন আপনি এই পেইজটা মনিটাইজিসন করতে পারবেন। 

আর মনিটাইজ করার পর থেকে আপনার ভিডিওতে গুগল এড সু করবে। তখন আপনি সেখান থেকে যে মাসে কত টাকা ইনকাম করবেন তা বলার ভাষা আমার কাছে নেই। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ অনেক মানুষ ফেসবুক থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতেছেন। আপনিও কাজ শুরু করতে পারেন।

নাম্বার দুই

দ্বিতীয় পর্যায়ে আমি যে মাধ্যম টি নিয়ে আলোচনা করব সেই মাধ্যমটি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মাধ্যম। আর সেই মাধ্যমটিতে যে কেউ খুব অল্প সময়ে সফলতা লাভ করতে পারবে। আর সেই জনপ্রিয় মাধ্যমটির নাম ইউটিউব। এই ইউটিউব থেকে খুব সহজে সফলতা অর্জন করা যায়।

বর্তমানে বাংলাদেশ হাজার হাজার ছেলে মেয়ে ইউটিউব থেকে খুব ভালো এবং মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতেছেন। তাহলে চলোন খুব সংকেপে আপনি কি ভাবে টাকা ইনকাম করবেন সেই বিষয়ে আলোচনা করি। 

ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার প্রতমত একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। 

আর একটা চ্যানেল খুলার জন্য আপনার প্রথমত দুটি জিনিসের প্রয়োজন হতে পারে। একটি 

হল একটা স্মার্ট ফোন আর অপরটি হল একটা শক্তি শালি জিমেইল একাউন্ট। এগুলো থাকলে আপনি একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন বা তর্রি করতে পারবেন। এবার চলোন কি ভাবে ইনকাম করবেন সেই বিষয়ে আলোচনা করি। 

একটা চ্যানেল খোলার পরে সেই চ্যানেলে প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করতে হয়। এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন  জাগতে পারে আমি কি ভাবে ভিডিও আপলোড করব বা আমি কি ভিডিও তৈরি করব।

তাহলে শুনুন, প্রত্যেকটা মানুষেই কোন না কোনো কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে থাকে। এখন আপনি মনে মনে ভাবেন আপনি কোন বিষয়ের উপর দক্ষ সেই বিষয়টি ইউটুবে আরেক টু ভিন্ন ভাবে ফুটিয়ে তুলুন। 

অথবা অথবা আপনি যদি কোন কিছু না পারেন তাহলে আপনি আপনার দৈনিন্দ জীবনের যে সখন কাজ করেন বা যে জায়গা গুলতে প্রতিদিন কোন না কোনো কারনে যান সেই স্থান গুলোকে ভিডিও শুট করে আপনি ইউটুবে আপলোড করতে পারেন। আর এই ভিডিও গুলোর প্রচুর পরি মানে চাহিদা রয়েছে ইউটুবে। তা ছাড়াও আপনার মনের মতো আরো ভালো টপিক নিয়ে কাজ করতে পারেন। 

এখন ইনকামের বিষয় আলোচনা করি, 

ইউটিউব থেকে ইনকান করতে হলে আপনার আরো দুটি ধাপ পারি দিতে হবে। প্রথম ধাপ হল আপনার বার মাস বা এক বছরের মধ্যে এক হাজার সাবক্রাইব এবং চার হাজার ঘন্টা মিনিট থাকতে হবে আপনার চ্যানেলে। আর এই ধাপ গুলো পারি দিলে আপনার চ্যানেল মনিটাইজিসন করতে পারবেন। 

আর মনিটাইজ করার পর থেকে আপনার ভিডিও তে এড আসবে আর আপনি সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। গুগুল এডসেন্স এর মাধ্যমে। 

প্রিয় ভিজিটর আমি আশা করি অনলাইনে মোবাইল ফোন দিয়ে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ দুটি মাধ্যম আপনাকে খুব ভালো ভাবে বুঝাতে পেরেছি। 

এখন আপনি ঠিক করুন কোন মাধ্যম টি তে আপনি কাজ করবেন। আর একটা কতা, কখনো হাল ছেড়ে দিবেন না, হাল ছেড়ে দিলেন তো হরে গেলেন। কোনো একটা মাধ্যমকে কেন্দ্র করে কাজ করুন এবং খুব ভালো কিছু করুন সফলতা আসবে 

খুব অচিরেই ইনশাআল্লাহ। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles