আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। বন্ধুরা ইউটিউব হল সারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্মের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। আর এই প্লাটফর্মে আমরা অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করি, এমনকি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করার পর সেখানে আমরা ভিডিও আপলোড করি। কেউবা ইনকাম করার উদ্দেশ্যে আবার কেউবা তার ব্যক্তিগত অন্যান্য উদ্দেশ্যে।
তবে আপনি কি জানেন, আপনার ভিডিও আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করার কারণে একাউন্ট সাসপেন্ড হতে পারে। প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব কিছু নীতিমালা ও নিয়মকানুন রয়েছে। এমনকি ইউটিউব অফিশিয়াল প্লাটফর্মে অনেক নিয়ে রয়েছে। যেই নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে আপনারা যদি ইউটিউবে কাজ করেন তাহলে, হয়তোবা ইউটিউব আপনার চ্যানেল সাসপেন্ড করতে পারে।
বিশেষ করে তাদের নিয়ম-নীতি মেনে কাজ যদি আপনি না করেন তাহলে, ইউটিউব আপনার চ্যানেল সাসপেন্ড করতে বাধ্য হবে। আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে আপনারা শিখতে ও জানতে চলেছেন,, ইউটিউব এর নিয়ম নীতি সম্পর্কে। অর্থাৎ ইউটিউব এর কি কি নিয়ম নীতি রয়েছে তার ইউটিউব এ কাজ করতে হলে। কেন আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড করবে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ইউটিউব কি? কেন আমরা ইউটিউব ব্যবহার করিঃ
ইউটিউব হল অনলাইন জগতের সেরা একটি সোশ্যাল মিডিয়া। এই ইউটিউব মিডিয়াতে হাজার হাজার রকমের ভিডিও পাওয়া যায়।প্রায় অনেক ক্যাটাগরির ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে। যে কেউ চাইলে তার প্রয়োজনীয় সকল ভিডিও গুলো শুধুমাত্র ইউটিউবে পেতে পারে।
এখন এই যে ভিডিও গুলো এত ভিডিও কোথা থেকে আসে? আরে ভাই আপনার আমার মত লোকেরাই এই ধরনের ভিডিও আপলোড করে থাকে নিয়মিত। তবে একেক জনের একেক রকম উদ্দেশ্য নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে। যাইহোক এই যে আপনারা, ইউটিউবে কাজ করবেন যে উদ্দেশ্যে হোক না কেন? (কেউ ইনকাম করার উদ্দেশ্যে আসে) কেউবা অন্যান্য উদ্দেশ্যে ইউটিউবে আসে।
দৈনিক জীবনযাত্রায় অনলাইনের যুগে, আমাদের অবশ্যই ফেসবুকে একবার না একবার যেতে হয়। তেমনি ভাবে ইউটিউব এর ভিডিও গুলো আমাদের অনেক সময় প্রয়োজন হয়ে থাকে। নানা ধরনের কাজকর্ম সহ অন্যান্য উদ্দেশ্যে। তাই অবশ্যই আমাদের একবার না একবার ইউটিউবে আসতেই হয়। শুধুমাত্র প্রয়োজন এর জন্যই, ইউটিউব কে আমরা ব্যবহার করে থাকি।
আপনি যদিঃ বন্ধুরা এখন আপনি যদি ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করে, ইউটিউবে ইনকাম করার উদ্দেশ্যে আসেন তাহলে। অবশ্যই অবশ্যই আপনার ইউটিউব এর নিয়ম নীতি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যদি আপনারা ইউটিউব এর নিয়ম বলি না মেনে কাজ করেন, ইউটিউব তাহলে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড পর্যন্ত করে দিতে পারে। তাই আপনি যদি ইউটিউব এর নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করেন।
তাহলে কখনো ইউটিউব আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড করবেন। তো এখনো আমরা এই যে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেমন ইউটিউব এর নিয়ম নীতি কি? কোন নিয়ম নীতি না মানলে একাউন্ট সাসপেন্ড হবে? ইত্যাদি বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এখনই।
ইউটিউব এর সম্পূর্ণ নিয়ম নীতি ও গাইড?
ইউটিউব এর নিয়মাবলীঃ আবারও বলছি আপনি যদি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইউটিউবার হতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার ইউটিউব এর নিয়ম নীতি ও গাইডলাইন সম্পর্কে ফুলফিল ধারণা থাকতে হবে। কেননা আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে রাখতে ইউটিউব এর নিয়ম বলি মানা আবশ্যক।
ইউটিউব এর অনেক ধরনের নিয়ম নীতি ও গাইড রয়েছে। তবে তার ভিতরে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মারাত্মক যে নিয়ম-নীতি রয়েছে, সেটা হল ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি। এই কপিরাইট পলিসি ইউটিউব এর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি তাদের কপিরাইট পলিসি অমান্য করে কাজ করে, তাহলে ইউটিউব তাদের অ্যাকাউন্টে অর্নিং পাঠায়।
কয়েকবার ইউটিউব কপিরাইট পলিসি এর কপিরাইট পলিসির অর্নিং পাঠিয়ে একাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয়। যেহেতু এটা খুবই ভয়ঙ্কর এবং খুবই মারাত্মক একটি পলিসি। ভাই ইউটিউব এর সবচেয়ে বড় নিয়ম নীতি। এ কারণে আমরা এই বিষয় নিয়ে ডিটেল আলোচনা করব। আর ছোটখাটো যে নিয়ম গুলো রয়েছে ওগুলো তেমন একটা না মানলেও চলে। তবে এই কপিরাইট পলিসি আপনাকে অবশ্যই মানতেই হবে।
ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি কি?
ইউটিউব এর পলিসিঃ ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি হলো ইউটিউব এর অন্যের কোন কন্টেন। এখন আপনি যদি অন্য ইউটিউবারের ভিডিও ইমেজ অথবা মিউজিক নিজের চ্যানেলের ব্যবহার করেন তাহলে, আপনি ইউটিউব এর কপিরাইট পলিসির আন্ডারে পড়বেন। কারণ আপনি কপি করে আপনার ইউটিউবে আপলোড করছেন।
একইভাবে এই ইউটিউব এর পলিসি দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যেমনঃ
- ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম।
- ইউটিউব কপিরাইট স্ট্রাইক।
উপরোক্ত এই দুটি হল ইউটিউব এর আসল কপিরাইট পলিসি প্রকার। এই কপিরাইট ক্লেইম এবং কপিরাইট স্ট্রাইক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন ইউটিউবার এর জন্য। কেউ যদি কপিরাইট ক্লেইম অথবা কপিরাইট স্ট্রাইক না মানে। তাহলে হয়তো সে ইউটিউবে বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। শীঘ্রই ইউটিউব ইউটিউব চ্যানেলকে সাসপেন্ড করে দিতে বাধ্য হবে।
ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইমঃ
ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম এক ধরনের পলিসি। আপনি যদি অন্য কারোর ভিডিও কনটেন্ট কোয়ালিটি ইত্যাদি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ব্যবহার করেন তাহলে, অনেক সময় ইউটিউব আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে একটা কপিরাইট ক্লেইম দিবে।
এখন প্রশ্ন হলো আপনার ইউটিউব এর ভিডিও তে যদি কপিরাইট ক্লেইম আসে, তাহলে কি আপনার চ্যানেলের অথবা ভিডিওতে কোন সমস্যা হবে। না সমস্যা হবে না কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যে, আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও মনিটাইজেশন অন থাকলে, ওই ভিডিওর আসল সম্পূর্ণ টাকা আপনি পাবেন না। যে ভিডিওর অরিজিনাল ওনার তার কাছেই টাকাগুলো অটোমেটিক্যালি টান্সফার হয়ে যাবে।
তো আশা করি বুঝতে পারছেন কপিরাইট ক্লেইম আসলে কি? এখন আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন এর পূর্বে, আপনার ভিডিওতে ক্লেইম জোগাড় করেন, তাহলে কিন্তু আপনার ইউটিউব কোনো ক্ষতি করবে না কিন্তু, আপনার ওই ভিডিও থেকে ইনকাম আসার সম্ভাবনা একেবারেই কম। ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম আসলে, সেই ভিডিওর টাকা আপনি নিজে পাবেন না কখনোই।
ইউটিউবের কপিরাইট স্ট্রাইকঃ
ইউটিউবের কপিরাইট স্ট্রাইক ও এক ধরনের বিশাল বড় পলিসি। তবে ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম এর চেয়ে ভয়ঙ্কর, ইউটিউবের কপিরাইট স্ট্রাইক। ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক বা সাসপেন্ড হবে না। শুধুমাত্র আপনি আপনার ইনকামের টাকা টা নিজে পাবেন না। বরং অরিজিনাল ওনার এর কাছে অটোমেটিক্যালি টাকা টান্সফার হয়ে যাবে।
কিন্তু এদিকে ইউটিউবের কপিরাইট স্ট্রাইক সম্পূর্ণ ভিন্ন। এমনকি ইউটিউবের কপিরাইট স্ট্রাইক সবচেয়ে মারাত্মক একটি অপরাধ। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে যদি স্ট্রাইক আসে তাহলে, আপনার ইউটিউব চ্যানেল সাসপেন্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনারা ঠিকই শুনছেন। সর্বপ্রথম যদি আপনি আপনার ভিডিওতে অন্য কারোর কিছু অন্যান্য ব্যবহার করেন তাহলে,
ইউটিউব এর তরফ থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে একটি মারাত্মক স্ট্রাইক আসবে। সেটা সাধারণত অর্নিং হিসেবে। ওই স্ট্রাইক থাকা অবস্থায় যদি আবারো আপনার চ্যানেলে আরেকটি স্ট্রাইক আসে তাহলে, সেই স্ট্রাইক ও আপনার জন্য একটি অরনিং। কিন্তু তৃতীয়বার ইউটিউব আর কোনো অরনিং না দিয়ে সরাসরি আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড করে দিবে। তো তাহলে তো বুঝতে পারছেন ইউটিউবের কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে কি?
তো বন্ধুরা, এই ছিল ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি। এই ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি ইউটিউব এর আন্ডারে সবচেয়ে বড় মারাত্মক অপরাধ। এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেল সাসপেন্ড হতে সবচেয়ে উপযোগী হবে এই কপিরাইট পলিসি। আশা করি আপনারা ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি এবং ইউটিউব এর নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন ইতিমধ্যে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথাঃ বন্ধুরা, এতক্ষণ আমরা ইউটিউব সম্পর্কে, ইউটিউব এর নিয়ম বলি নিয়ম-নীতি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সত্যিকার অর্থে আপনি যদি ইউটিউব এর নিয়ম বলি নিয়মনীতি না মেনে কাজ করেন তাহলে, যেকোনো সময় ইউটিউব আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড করতে দ্বিধাবোধ করবে না।
বিশেষ করে তাদের নিয়ম কানুন এর ভিতরে সবচেয়ে বড় নিয়ম হচ্ছে, এবং মারাত্মক নিয়ম হলো যে, ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি। যদি আপনার ইউটিউব এর কপিরাইট পলিসি অমান্য করে ইউটিউবে কাজ করেন। তাহলে কিছুদিনের ভিতরেই আপনার একাউন্ট ইউটিউব নিজে থেকে সাসপেন্ড করে দিবে। তাই অবশ্যই আপনারা এই নিয়মকানুন নিয়ম-নীতি ইত্যাদি মেনে কাজ করবেন।
কেননা যেহেতু, ইউটিউব নিজে থেকে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড করে দিবে। আপনি যদি ইউটিউব এর নিয়ম নীতি সম্পর্কে না জেনে কাজ করেন তাহলে, তাইতো! হ্যাঁ বন্ধুরা, আপনারা যারা ইউটিউবার হতে চান তাদের জন্য এই পলিসি সম্পর্কে জানার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার একাউন্ট ইউটিউবে টিকিয়ে রাখার জন্য ইউটিউব এর নিয়ম বলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আশা করবো সবাই ইউটিউব এর পলিসি এবং নিয়ম নীতি মেনে কাজ করবেন।
সর্বোপরি
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা ইউটিউব এর নিয়ম নীতি এবং ইউটিউব এর পলিসি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। সত্যিকার অর্থে ইউটিউব এর নিয়ম নীতি পলিসি অমান্য করে কাজ করলে, ইউটিউব আপনার অ্যাকাউন্ট অবশ্যই সাসপেন্ড করে দিতে বাধ্য হবে। যেটা আমরা উপরের দিকে আরো বেশি ভালো হবে আপনাদেরকে বলে দিয়েছি।
যদিও আমরা ইউটিউব এর নিয়ম নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি, তবুও যদি আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকে অথবা মতামত থাকে, তাহলে সেটা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে একদমই ভুলবেন না। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
You must be logged in to post a comment.