ইউটিউব মার্কেটিং কি ? ইউটিউব মার্কেটিং কেন করবেন - বিস্তারিত

আসসালামুয়ালাইকুম সবাইকে। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমার নতুন পোস্টে আপনাদের স্বাগতম।

আজকের টপিক হলো ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে। 

আমরা সবাই ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে শুনেছি। কিন্তু এই ইউটিউব মার্কেটিং আবার কি ? কিভাবেই বা এটি করা হয়? এ সম্পর্কে জানতে আপনাকে পুরো পোস্ট পড়তে হবে। 

 

ইউটিউব মার্কেটিং কি ? 

কোনো পন্য বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে সেই পণ্যের প্রচারণা চালানোকে মার্কেটিং বলে। 

আর এই প্রচারনার কাজটি যখন ইউটিউব এর মাধ্যমে করা হয় তখন তাকে ইউটিউব মার্কেটিং বলে। ইউটিউব মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাগ যাতে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে পন্যের ভিডিও গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।

সুতরাং এ কথা বলা যায় যে , ইউটিউব চ্যানেল এ ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য অথবা সেবার প্রচারণা করার নামই হলো ইউটিউব মার্কেটিং।

ইউটিউব মার্কেটিংকে ভিডিও মার্কেটিং ও বলা যেতে পারে।

ইউটিউব মার্কেটিং কিভাবে করবেন?

ইউটিউব মার্কেটিং করতে হলে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খু্লতে হবে। চ্যানেল খোলার জন্য একটি গুগল একাউন্ট থাকতে হবে যাকে আমরা জিমেইল অ্যাকাউন্ট বলি। এই জিমেইল ব্যবহার করে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। 

চ্যানেল খোলার পর যা করতে হবে তা হলো, আপনার চ্যানেলকে সুন্দর করে সেটিং করতে হবে।

এজন্য আপনাকে ইউটিউবে সাইন ইন করে একটি ব্র্যান্ড একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি পরবর্তিতে আপনার চ্যানেলের নাম ও ইউজার নেম ইডিট করতে পারেন।এ কাজটি করতে "মাই চ্যানেল " অপশনে ক্লিক করে আপনি ব্র্যান্ড একাউন্ট তৈরি করার অনুমতি পাবেন ।

এরপর আপনার ব্র্যান্ড একাউন্টটি আপনার ব্যবসায়ের ধরন অনুযায়ী সাজিয়ে নিন। চ্যানেলের আইকন, কভার ফটো ,ব্যানার ইমেজ , চ্যানেল ডিসক্রিপশন ইত্যাদি দিয়ে আপনার ব্র্যান্ড একাউন্টটি সাজিয়ে নিন। এতে করে ভিউয়ার্সরা সহজেই আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে।

এরপর আপনি আপনার বিজনেস টপিকের ওপর ভিডিও তৈরি করা শুরু করুন। এজন্য খেয়াল রাখবেন যেন ভিডিওটি দর্শকদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয় । এজন্য আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে। ভিডিওতে একটি সুন্দর থাম্বনাইল দিতে হবে। এবং ভিডিও এডিটিংও সুন্দরভাবে করতে হবে যেন এর কোয়ালিটি ভালো হয়।রেগুলার ভিডিও আপলোড করতে হবে যেন তার এংগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও ভিডিও ডিউরেশন বেশি বড় করা যাবে না। কারন এখন সবাই ছোট ভিডিও দেখতেই বেশি পছন্দ করে। বেশি বড় ভিডিও হলে অডিয়েন্স বোড়িং ফিল করে। তাই ছোট ভিডিওতে অনেক তথ্য দেয়া থাকবে এমন ভিডিও তৈরি করবেন।

ভিডিও গুলি তৈরি করার পরের ধাপ হল ভিডিও গুলি এসইও এর মাধ্যমে অপটিমাইজ করা। 

এসইও এমন একটি পদ্ধতি যা বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে একটা ওয়েবসাইট বা চ্যানেলে বেশি পরিমাণ ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়াতে সহায়তা করে।

এছাড়াও অরগানিক ট্রাফিক পেতে আপনার ভিডিও গুলো বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন। কারন এখন অনেকেই বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে। এতে করে আপনার চ্যানেলের রিচ বৃদ্ধি পাবে।

উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ব্যবসায়ের জন্য ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারেন । 

ইউটিউব মার্কেটিং এর সুবিধাসমূহ: 

১. এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মার্কেটিং করার সুযোগ পাবেন।

২. ইউটিউব অ্যাডস ও গুগল অ্যাডস থেকে টার্গেট অডিয়েন্স পেতে পারেন।

৩.গুগল সার্চ এর মাধ্যমে অরগানিক ইউজার পাবেন।

৪.ইউটিউব মার্কেটিং বা ভিডিও মার্কেটিং করতে খরচও কম।

৫. ইউটিউব বেশ জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন তাই মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৬. এতে চিরকাল গ্রাহক পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

পরিশেষে বলা যায়,ইউটিউব একটি জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট। অনেক সফল ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসার মার্কেটিং এর জন্য এই প্লাটফর্ম বেছে নিয়েছে।তাই এর গুরুত্ব বলে বোঝানো যাবে না। 

আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তী আর্টিকেলে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ।।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles